কারাকোরাম গিরিপথ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Pratik89Roy (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Pratik89Roy (আলোচনা | অবদান)
৩৪ নং লাইন:
কারাকোরাম গিরিবর্ত্ম [[ভারত|ভারতের]] [[জম্মু ও কাশ্মীর]] রাজ্যের [[লাদাখ]] অঞ্চলের [[লেহ জেলা]] ও [[চীন|চীনের]] স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল [[জিনজিয়াং]] প্রদেশের মধ্যে [[কারাকোরাম]] পর্বতশ্রেণীতে {{স্থানাঙ্ক|35|30|48|N|77|49|23|E}} স্থানাঙ্কে অবস্থিত। <ref name="hinduopinion">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.thehindu.com/opinion/op-ed/pass-to-better-relations-with-china/article4663659.ece|শিরোনাম=Pass to better relations with China|বছর=2013|প্রকাশক=The Hindu |পাতাসমূহ=|সংগ্রহের-তারিখ=7 July 2013|অবস্থান=India}}</ref> সিয়াচেনের উত্তর-পূর্ব কোনায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে {{রূপান্তর|5540|m|disp=or|abbr=on|sigfig=5}} উচ্চতায় অবস্থান।
 
== ভূরাজনৈতিকভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব ==
কারাকোরাম গিরিবর্ত্ম [[ভারত|ভারতের]] [[জম্মু ও কাশ্মীর]] রাজ্য ও [[চীন|চীনের]] [[জিনজিয়াং]] প্রদেশের সীমান্তের ওপর অবস্থিত হওয়ায় এই গিরিবর্ত্মের রাজনৈটিক গুরুত্ব অপরিসীম। এই গিরিবর্ত্মের ঠিক পশ্চিম দিকে অবস্থিত [[সিয়াচেন হিমবাহ]] অঞ্চলের অধিকারের ওপর [[ভারত]] ও [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] [[সিয়াচেন দ্বন্দ্ব|দ্বন্দ্ব]] এই গিরিবর্ত্মের গুরুত্ব অনেকাংশে বৃদ্ধি করেছে। ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে [[চীন]] ও [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] মধ্যে সীমান্ত চুক্তিতে কারাকোরাম গিরিবর্ত্মকে [[ভারত]], [[পাকিস্তান]] ও [[চীন|চীনের]] সীমান্তের সংযোগবিন্দু বলে উল্লেখ করা হলেও ভারত এই চুক্তিতে অংশগ্রহণ করেনি।<ref>{{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ = Anderson
৪৪ নং লাইন:
|ইউআরএল = http://books.google.fi/books?id=E7-menNPxREC&pg=PA180&lpg=PA180&dq=tripoint+karakoram+pass&source=bl&ots=G99I3chY3i&sig=Mq1BZU-mLkbX9-De9vlA3kERnoI&hl=fi&ei=bEVFSuK6HcqysAa_3pgP&sa=X&oi=book_result&ct=result&resnum=1
|আইএসবিএন = 978-1-57958-375-0}}</ref> বর্তমানে এই সংযোগবিন্দু কারাকোরাম গিরিবর্ত্ম থেকে ১০০ কিলোমিটার পশ্চিমে [[সিয়াচেন মুজতাঘ]] পর্বতশ্রেণীর [[পশ্চিম ইন্দিরা টোল|পশ্চিম ইন্দিরা টোলের]] নিকটে যে স্থানে [[প্রকৃত ভূমি অবস্থান রেখা]] [[ভারত]]-[[চীন]] সীমান্তের সাথে মিলিত হয়, সেই স্থানে অবস্থিত।
 
==পরিকাঠামো উন্নয়ন==
কারাকোরাম পাসের উত্তরে অর্থাৎ চিনা এলাকায় রাস্তাঘাট এবং পরিকাঠামো অনেক দিন আগেই উন্নত করে নিয়েছে চিন। কিন্তু পাসের দক্ষিণে ভারতের পরিকাঠামো এত দিন অনুন্নতই ছিল। ফলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ভারত চাইলেই কারাকোরামের গিরিপথ দিয়ে হানা দিতে পারবে না, কিন্তু চিন চাইলেই ওই গিরিপথ দিয়ে দক্ষিণ চলে আসতে পারবে— এই ভাবনা স্বস্তি দিত বেজিংকে। ভারতের নতুন রাস্তা বেজিঙের সেই স্বস্তি গায়েব করে দিচ্ছে ।
 
ভারতে দারবুক থেকে দৌলত বেগ ওল্ডি পর্যন্ত ২৫৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ শেষ । ওই রাস্তায় একাধিক সেতু বানাতে হয়েছে। সবচেয়ে বড় যে সেতু, সেটা তৈরি হয়েছে শিয়ক নদীর উপরে। ২০১৯-এর অক্টোবরে সেই সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী [[রাজনাথ সিংহ]]। দৌলত বেগ ওল্ডিতে ভারত বিমানঘাঁটিও বানিয়ে ফেলেছে আগেই। এই রাস্তা পৌঁছে গিয়েছে কারাকোরাম পাসের খুব কাছে। চিনের অস্বস্তি সেখানেই। এ বার ওল্ডি থেকে কারাকোরাম পাস পর্যন্ত ১৭-১৮ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করে ফেললেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। অনেক রকম ভাবেই এই কাজকে আটকানোর চেষ্টা করছিল চীন ।
 
== তথ্যসূত্র ==