ত্রিদেবী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
2409:4060:11C:29C8:DCD:DFCE:994:3FA0-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Nahian~bnwiki-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
২৮ নং লাইন:
পালনকর্তা [[বিষ্ণু]]র স্ত্রী [[লক্ষ্মী]] ধন, সমৃদ্ধি ও কামনা-বাসনার দেবী। যদিও, লক্ষ্মী বস্তুগত সম্পদের দেবী রূপে ততোধিক বিবেচিত হন না, বরং তাকে শ্রী, উৎকর্ষ, সৌভাগ্য, সুখ ও মহত্বের দেবী রূপেই পূজা করা হয়।
 
সংহারক [[শিব|শিবের]] পত্নী [[পার্বতী]] শক্তি, প্রেম ও অধ্যাত্মের,অসুর বিজয়ী দেবী। তাকে তার বিনাশস্বরূপিণী রুদ্রমূর্তি [[কালী]] ,দুর্গা,তারা,ইত্যাদি,রূপেও দেখা যায়। পার্বতীকে আবার "আদ্যাশক্তি"ও বলা হয়, যাঁর তেজে সমস্ত দেবকুল একাত্ম হয়ে আছে।
 
==শিব ও শক্তি==
শৈবধর্মের প্রধান দেবতা [[শিব|শিবের]] অর্ধাঙ্গিনীকে ''শক্তি'' বলা হয়। শক্তি বা [[দুর্গা]](পার্বতী) হলেন হিন্দু দেবতাগণের শক্তিদায়িনী। সগুণ রূপে, শক্তি ছাড়া শিবের কোনো অস্তিত্ব নেই, আবার শিব ছাড়া শক্তির কোনো অস্তিত্ব নেই। নির্গুণ রূপে, শক্তি একক, তাকে সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না।
 
[[শিব]] হলেন আধ্যাত্মিক চেতনার স্থাণু, স্থির ও মহৎ আধার। অন্যদিকে, শক্তি হলেন সেই চেতনার গতিময় স্বরূপ। শক্তি শিবের পত্নী তথা তার সামর্থ্যের চিহ্ন।
৭৩ নং লাইন:
 
ব্রহ্মা বিষ্ণু শিব হচ্ছেন ত্রিমূর্তি।
ত্রিদেবের শক্তিরআবির্ভাবের উৎস হচ্ছেন তৃদেবি।আদ্যাশক্তি মহামায়া।
নারীদের কাছেই একমাএ জন্ম দেওয়ার শক্তি থাকে।
 
৮৬ নং লাইন:
==ত্রিদেবীর মাহাত্ম্য==
শক্তি বা বিমর্ষ পরম চেতনায় সমাহিত, তিনিই সৃষ্টি, পালন ও ধ্বংসের প্রয়োজনীয় রসদ। তাকে ছাড়া পরম চেতনায় উপনীত হওয়া সম্ভব নয়। যেইরকম শক্তিকে সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না, শুধু এক শক্তি থেকে অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয় মাত্র, তেমনি আদি পরাশক্তি বিভিন্ন কার্য সম্পন্ন করতে নিজের রূপের বারংবার পরিবর্তন ঘটান। ভগবান পুরুষ ও নারী ― দুই রূপেই উপস্থিত। কিন্তু শক্তির সমস্ত স্বরূপই ত্রিদেবীর মহালক্ষ্মী, মহাসরস্বতী ও মহাকালী রূপে প্রকাশিত। অর্থাৎ, নিরাকার ঈশ্বর সৃষ্টিশক্তির মাধ্যমে ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেন (মহাসরস্বতী বা শ্রুতি বা বিদ্যা), স্থিতিশক্তির মাধ্যমে সেই জগতের সংরক্ষণ করেন (মহালক্ষ্মী বা আলোক বা সম্পদ) এবং সংহারশক্তির মাধ্যমে ধ্বংস করেন (মহাকালী বা তাপ বা সামর্থ্য)। দেখা যায়, দেবতারা সৃষ্টি, পালন কিংবা ধ্বংস করতে পারেন না, কারণ তাদের সেই গুণ নেই। তাই আদ্যাশক্তি তাদের সেই পথে চালিত করেন। পরব্রহ্ম আদি পরাশক্তি শক্তির উৎসরূপী তিনটি কুষ্মাণ্ড তৈরি করেন। প্রথম অণ্ড প্রস্ফুটিত হয়ে প্রথম পুরুষ নারায়ণ ও প্রথম প্রকৃতি নারায়ণীর (ইনি লক্ষ্মী নন, এখানে নারায়ণী হলেন বিষ্ণুর বোন পার্বতী) জন্ম হয়। নারায়ণীকে গৌরী দেবীও বলা হয়। এই সময় তিনি সাকার স্বরূপে ছিলেন না। শিব আদ্যাশক্তির পূজা করলে, গৌরী দেবী শিবের বাম অংশ থেকে সাকার স্বরূপে আবির্ভূত হন। দ্বিতীয় অণ্ড থেকে সংহারক শিব ও বিদ্যার দেবী সরস্বতীর জন্ম হয়। অণ্ড থেকে শিবের জন্ম হয় ''প্রধান পুরুষ'' রূপে, এবং সরস্বতীর জন্ম হয় নিরাকার স্বরূপে, যিনি পরে চারটি বেদের জন্ম দেন। বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে ব্রহ্মা পরম জ্ঞানকে আহ্বান করেন, তখন সরস্বতী সাকার স্বরূপে প্রকট হন। তৃতীয় অণ্ড থেকে ব্রহ্মা ও লক্ষ্মীর জন্ম হয়। ব্রহ্মা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির দায়িত্ব নেন এবং লক্ষ্মী তার রসদ জোগান দেওয়ার ভার নেন।
#নারায়ণ (প্রথম পুরুষ বা ব্রহ্মের আদি স্বরূপ) এবং গৌরী দেবী বা দুর্গা (পার্বতী)(আদ্যাশক্তির শক্তি স্বরূপ)।
#শিব (প্রধান পুরুষ বা ব্রহ্মের মহাস্বরূপ) ও সরস্বতী (আদ্যাশক্তির জ্ঞান স্বরূপ)।
#ব্রহ্মা (পরম পিতামহ) ও লক্ষ্মী (আদ্যাশক্তির শ্রীস্বরূপ)।