প্যালিনড্রোম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বাংলাদেশে প্যালিন্ড্রোমের বিকাশে সহায়তাকারীদের তথ্য প্রকাশ
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৯ নং লাইন:
 
বাংলায় অর্থপূর্ণ প্যালিনড্রোমিক বাক্য গঠন করা বেশ কষ্টসাধ্য। তবুও সরল কিছু শব্দ সহযোগে ছোট ছোটো প্যালিনড্রোমিক বাক্য গঠন করা যায়। বই চাইব, তুমি কি মিতু, বিকল্প কবি, ঘুরবে রঘু, সীমার মাসী, ইভার ভাই, নাম লেখালেম না ইত্যাদি হলো প্রচলিত প্যালিনড্রোমিক ছোট্টো বাক্য।
 
<br />
==বাংলাদেশে প্যালিনড্রোম==
বাংলা ভাষায় বা বাংলা সাহিত্যে একটি বাক্য সবার কাছে পরিচিত তা হলো " রমাকান্ত কামার "। তবে আশ্চর্যের বিষয় এটা যে প্যালিনড্রোম বাক্য তা বাংলাদেশে প্রায় লোক জানতো না। দুই একজন যারা জানতো তারা ভাবতো এটা গণিতের বিষয়। তবে এটা যে সাহিত্যেরও একটি বিষয় তা কেউ জানতো না।
 
বাংলাদেশে সর্ব প্রথম প্যালিন্ড্রোম লেখেন ডাঃ সৌমিত্র চক্রবর্তী তিনি ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে থাকাকালীন তিনটি বাক্য লেখেন তা হলো -
 
'''রাধা নাচে অচেনা ধারা '''
 
'''রাজন্যগণ তরঙ্গরত, নগণ্য জরা'''
 
'''কীলক-সঙ্গ নয়নঙ্গ সকল কী?'''
 
'''কীর্তন মঞ্চ ‘পরে পঞ্চম নর্তকী। '''<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=নবযৌবন|শেষাংশ=যৌবন|প্রথমাংশ=নব|বছর=২০২০|প্রকাশক=বেহুলাবাংলা|অবস্থান=|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=978-984-505-241-2|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=নবপ্লাবন|শেষাংশ=প্লাবন|প্রথমাংশ=নব|বছর=২০২০|প্রকাশক=বেহুলাবাংলা|অবস্থান=|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=978-984-505-258-0|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref>
 
শুধুমাত্র নিচের বাক্যটি ব্যতিত উপরের তিনটি বাক্য সৌমিত্র চক্রবর্তী লেখা। বর্তমানে তিনি বিএসএমএমইউ তে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন। যা এতদিন দাদা ঠাকুরের প্রকাশ পেয়েছিল।
 
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি যার অবদান তিনি হলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আহসান উল্লাহ হলে সিকিউরিটি গার্ড হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি প্রায় ৮/১০ বছর প্যালিনড্রোম নিয়ে গবেষণা করেন। তিনিই বাংলা সাহিত্যে প্রথম প্যালিনড্রোম কবিতার বই লিখতে সক্ষম হন। তা প্রচার করার জন্য তিনি উপহার স্বরূপ বিভিন্ন গুণিজনকে বই উপহার দেন। তারমধ্যে জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, ড. জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, সৌমিত্র শেখর এবং কবি নির্মলেন্দু গুণ অন্যতম।
 
তাকে নিয়ে প্রথম আলো, ইত্তেফাক ও কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রতিবেদন ছাপা হয়। [https://www.kalerkantho.com/print-edition/oboshore/2020/02/18/875623]
 
এই উৎসাহ পেয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে প্রচার করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে গণিতবিদ চমক হাসান তাঁর দ্বারস্থ হলে তিনি প্যালিন্ড্রোম লেখার কলাকৌশল লেখেন। শুধু তাই নয় তিনি বাংলা ভাষায় প্রথম প্যালিনড্রোম গান লিখতে সুর করতে এবং গাইতে সক্ষম হন। চমক হাসান হলেন বিশ্বের তৃতীয় ব্যক্তি যিনি বাংলা ভাষায় প্যালিনড্রোম গান গেয়েছেন।
 
ফরিদ উদ্দিন এ বিষয়টি আরো প্রচার করা জন্যে লেখা আহবান করেন। সেইসাথে তিনি ঘোষণা দেন যারা ভালো লিখবেন তাদের পুরষ্কার দেওয়া হবে। এই আহবানে সাড়া দিয়ে একদল তরুণ লেখা পাঠাতে শুরু করেন। তারমধ্যে বাংলাদেশ প্রথম একজন খুদে প্যালিনড্রোমিস্ট আরাত্রিকা আরশ বাংলা অভিধান থেকে অনেক শব্দ খুঁজে বের করেন যা সরাসরি প্যালিনড্রোম। একজন লিখিকা ফাহিমা সরকার লেখেন বাংলা ভাষায় সর্বোচ্চ প্যালিনড্রোম কবিতা। বাংলায় প্রথম প্যালিন্ড্রোম অনুবাদ করেন অমিয় কুমার বর্মন। সুমাইয়া জাহান সুপ্তি লেখেন প্রথম অণুগল্প। স্মৃতি পৌলমি বাংলাদেশের প্রথম প্যালিন্ড্রোম মহিলা কন্ঠ শিল্পী।বাংলাদেশে প্রথম শব্দ প্যালিন্ড্রোম রচয়িতা মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম রনজু।সর্বপ্রথম যিনি প্যালিনড্রোম সনেট, ছড়া, গজল, লিমেরিক ও বহুমুখী প্রথম তিনি হাফেজ আহমেদ এবং উচ্চারণ প্যালিনড্রোম প্রথম লেখেন খোরশেদ জামান। এই লেখাগুলো ছাপানোর জন্য একটি বাংলা সাহিত্যে প্রথম এ্যাম্বিগ্রাম আয়না প্যালিনড্রোম ( প্রচ্ছদ) তৈরি করে দেন মোঃ মুরসালিন।
 
ফরিদ উদ্দিন এর ভাষ্যমতে বাংলা ভাষায় প্রায় শব্দকে ভেঙে প্যালিনড্রোম বানানো সম্ভব।
 
==বাংলাদেশে প্যালিনড্রোম==
 
বাংলা ভাষায় বা বাংলা সাহিত্যে একটি বাক্য সবার কাছে পরিচিত তা হলো " রমাকান্ত কামার "। তবে আশ্চর্যের বিষয় এটা যে প্যালিনড্রোম বাক্য তা বাংলাদেশে প্রায় লোক জানতো না। দুই একজন যারা জানতো তারা ভাবতো এটা গণিতের বিষয়। তবে এটা যে সাহিত্যেরও একটি বিষয় তা কেউ জানতো না।
বাংলাদেশে সর্ব প্রথম প্যালিন্ড্রোম লেখেন ডাঃ সৌমিত্র চক্রবর্তী তিনি ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে থাকাকালীন তিনটি বাক্য লেখেন তা হলো -
'''রাধা নাচে অচেনা ধারা '''<br />
'''রাজন্যগণ তরঙ্গরত, নগণ্য জরা'''<br />
'''কীলক-সঙ্গ নয়নঙ্গ সকল কী?''' <br />
'''কীর্তন মঞ্চ ‘পরে পঞ্চম নর্তকী'''<br />
 
শুধুমাত্র নিচের বাক্যটি ব্যতিত উপরের তিনটি বাক্য সৌমিত্র চক্রবর্তী লেখা। বর্তমানে তিনি বিএসএমএমইউ তে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন। যা এতদিন দাদা ঠাকুরের প্রকাশ পেয়েছিল।
 
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি যার অবদান তিনি হলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আহসান উল্লাহ হলে সিকিউরিটি গার্ড হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি প্রায় ৮/১০ বছর প্যালিনড্রোম নিয়ে গবেষণা করেন। তিনিই বাংলা সাহিত্যে প্রথম প্যালিনড্রোম কবিতার বই লিখতে সক্ষম হন। তা প্রচার করার জন্য তিনি উপহার স্বরূপ বিভিন্ন গুণিজনকে বই উপহার দেন। তারমধ্যে জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, ড. জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, সৌমিত্র শেখর এবং কবি নির্মলেন্দু গুণ অন্যতম।
তাকে নিয়ে প্রথম আলো, ইত্তেফাক ও কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রতিবেদন ছাপা হয়। https://www.kalerkantho.com/print-edition/oboshore/2020/02/18/875623 এই উৎসাহ পেয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে প্রচার করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে গণিতবিদ চমক হাসান তাঁর দ্বারস্থ হলে তিনি প্যালিন্ড্রোম লেখার কলাকৌশল লেখেন। শুধু তাই নয় তিনি বাংলা ভাষায় প্রথম প্যালিনড্রোম গান লিখতে সুর করতে এবং গাইতে সক্ষম হন। চমক হাসান হলেন বিশ্বের তৃতীয় ব্যক্তি যিনি বাংলা ভাষায় প্যালিনড্রোম গান গেয়েছেন।
 
ফরিদ উদ্দিন এ বিষয়টি আরো প্রচার করা জন্যে লেখা আহবান করেন। সেইসাথে তিনি ঘোষণা দেন যারা ভালো লিখবেন তাদের পুরষ্কার দেওয়া হবে। এই আহবানে সাড়া দিয়ে একদল তরুণ লেখা পাঠাতে শুরু করেন। তারমধ্যে বাংলাদেশ প্রথম একজন খুদে প্যালিনড্রোমিস্ট আরাত্রিকা আরশ বাংলা অভিধান থেকে অনেক শব্দ খুঁজে বের করেন যা সরাসরি প্যালিনড্রোম। একজন লিখিকা ফাহিমা সরকার লেখেন বাংলা ভাষায় সর্বোচ্চ প্যালিনড্রোম কবিতা। বাংলায় প্রথম প্যালিন্ড্রোম অনুবাদ করেন অমিয় কুমার বর্মন। সুমাইয়া জাহান সুপ্তি লেখেন প্রথম অণুগল্প। স্মৃতি পৌলমি বাংলাদেশের প্রথম প্যালিন্ড্রোম মহিলা কন্ঠ শিল্পী।বাংলাদেশে প্রথম শব্দ প্যালিন্ড্রোম রচয়িতা মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম রনজু।সর্বপ্রথম যিনি প্যালিনড্রোম সনেট, ছড়া, গজল, লিমেরিক ও বহুমুখী প্রথম তিনি হাফেজ আহমেদ এবং উচ্চারণ প্যালিনড্রোম প্রথম লেখেন খোরশেদ জামান। এই লেখাগুলো ছাপানোর জন্য একটি বাংলা সাহিত্যে প্রথম এ্যাম্বিগ্রাম আয়না প্যালিনড্রোম ( প্রচ্ছদ) তৈরি করে দেন মোঃ মুরসালিন।
 
ফরিদ উদ্দিন এর ভাষ্যমতে বাংলা ভাষায় প্রায় শব্দকে ভেঙে প্যালিনড্রোম বানানো সম্ভব।
 
==বাংলা প্যালিনড্রোমিস্ট==