বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
→‎নজরুল: নতুন অনুচ্ছেদ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
 
৬৩ নং লাইন:
জাপানে গিয়েছিলাম চেরি ব্লুজম দেখতে। রাস্তার ধারে, পাহাড়ের গায়ে পরিকল্পিত ভাবে লাগানো। ফিরে এসে মনে হল আমাদেরই বা কম কি ? শুধু নিতে হবে পরিকল্পনা পাঠ।
শহরগুলোর মিউনিসিপ্যালিটি, গ্রামের পঞ্চায়েতগুলে পরিকল্পিতভাবে ফুটপাতে রাস্তার ধারে, এইসব গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করলে আমাদের বঙ্গবাসীর গ্রীষ্মকালটা সুন্দর হয়ে উঠে। [[ব্যবহারকারী:ড. সেখ রমজান আলি|ড. সেখ রমজান আলি]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:ড. সেখ রমজান আলি#top|আলাপ]]) ০৩:৩০, ২১ মে ২০২০ (ইউটিসি)
 
== নজরুল ==
 
তোমাকে মালা দিতে গিয়ে
     -- রমজান আলি
 
 
তোমার জন্মৃমত্যু দিনে 
তোমার মূর্তিতে  মালা দিতে গিয়ে দেখি 
তুমি ঢাকা পড়ে গেছো 
ঠোঁটটা বাঁকিয়ে  কেমন করে তাকালে তুমি
ধমক দিলে না রাগ করলে
 তা বুঝে ওঠার আগেই 
বিপুল হাততালির মধ্য দিয়ে
 পরের জন মালা নিয়ে হাজির
 
 
সেই যে বিয়াল্লিশের বিপ্লবে
 তুমি নীরব হয়ে গেলে  
তারপর চৌঁত্রিশ বছর ধরে তোমাকে
 কেউ একটা কথা বলাতে পারে নি
মুজাফফর থেকে শ্যামাপ্রসাদ
কেউ পারেনি, কেউ না, কেউ না
কি নীরব ইস্পাত দৃঢ় অভিমান তোমার ! 
 
 
আর গুরু রবীন্দ্রনাথ ,
 সে তো আলাদা পাতা
'বসন্ত' আর 'সঞ্চিতা'র বিনিময়
 
 
আজ হাড়ে হাড়ে বুঝি 
তোমার অভিমানের কারণ
চুয়াল্লিশ বছর আগে শুধু নয় 
আজও তোমাকে ক্ষণে ক্ষণে হারিয়ে চলেছি
 
জন্ম নেওয়া সেই মাটির ঘরটা 
আজ আর নেই
 নগর সভ্যতা তাকে গ্রাস করেছে
হাজী পালোয়ানের মাজারে
 কিংবা পীরপুকুর মসজিদে 
তোমার সেই পায়ের ধুলো 
শ্রাবণ মেঘে ধুয়ে মুছে গেছে।
 
লেটো গান গেয়ে 
যে মানুষগুলোকে হাসি খুশিতে
 চাটাইয়ের উপর শুইয়ে দিতে
 তারাও আজ আর নেই
 
অথচ আজ অনেক আছে -- 
 শূন্যতার পর শূন্যতার পাহাড় আছে
বজ্র-বিদ্যুৎ ভরা মেঘ আছে
প্রেমহীন ভালোবাসা আছে
মনুষ্যত্বহীন মানুষ আছে
 
 
'সওগাত' আজ আর নেই 
 আর কেউ 'বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী' লেখে না
 আজ 'মুক্তি' নামে কবিতা লিখতে 
ভয় পায় মনন
 
 'ক্ষমা' চাওয়ার স্বভাবটাই তো চলে গেছে
জেলখানায় বসে সেরম অনশন দেখেছে কেউ ?
 
তুর্ক  মহিলার ঘোমটা  
কে আর খুলবে ?
এখন তো বোরখা পরাতেই ব্যস্ত সবাই
 
 
 শৈলজাটাকে ওরা তোমার কাছ থেকে 
দূরে আটকে রেখেছে
সে আর দেখা করতে আসে না
 
ঢাকা থেকে বীরেন্দ্র 
তোমাকে চিঠি লিখতে ভয় পায় 
গিরিবালাকে বোঝানো হচ্ছে যে
 তুমি ওর মা হতে পারো না
 প্রমীলাকে বারবার বলা হচ্ছে
আবার আশালতা হও
 ওয়া পাশ যাও , ওয়া পাশ যাও
 
 
দেখে যাও তোমার হাতে গড়া 
মজুর-স্বরাজ পার্টি চেহারাটা
শ্রমিকদের কথা আজ আর কেউ ভাবে না
তাদের পায়ে ফোটে বসরার গোলাপ
 
 তোমার 'ধূমকেত', 'লাঙ্গল' এখন 
মালিকের লাভ দ্যাখে
 
তোমার সেই সব বন্ধুরা 
যে যার ধর্মের পথে চলে গেছে 
 ধর্মের যোজন ফাঁকে হাত গলিয়ে
মানবতা আজ কান্দে
 
 
পোঁ ধরে চলার জন্যই আজ যেন আমাদের জন্ম 
এত তেল মালিশেও 
মেরুদণ্ডটা সোজা হলো না
 
সত্যের তরবারিটায় মরচে ধরেছে
অসহিষ্ণুতা অসাম্যের  সমবেত গানে 
আমরা গলা মিলিয়েছি
 
সুযোগ বুঝে
তোমার সেই 'কান্ডারী'রা এখন
একশো তেত্রিশ কোটি মানুষের গ্রাস কেড়ে
তৃপ্তিতে জাবর কাটে 
 
 
তোমার রক্তে তাদের সর্বনাশ লেখা হয়নি 
আজও ভারত সায়রের জলে
কিংবা পাহাড়তলিতে 
 বন্দিনী ভারতলক্ষ্মীর চিতা-ভষ্ম  মেশে
 
পরশুরাম তার কুঠারটা নিয়ে 
 জঙ্গলে অবিরাম গাছ কেটে চলে
সারা জীবন তাকে জঙ্গলমহলই আটকে রাখা হলো
 
আজো এই পৃথিবীটা নরেই ভর্তি ,
 নারী আর অর্ধেক হলো না।
 
বিদ্রোহীরাই তো রোমান্টিক
তবু তোমার ছবির উপর সাঁটা 'বিদ্রোহী' শব্দটা
শত চেষ্টাতেও মলিন হয়নি
 
 
 তার উপর আবার একটা প্রবাদ 
তুমি নাকি  'মুসলমান কবি '
নিজের শাস্ত্রেই এখন নিজের প্রাণটাকে 
কষে বেন্ধে ফেলেছি আমরা।
 
তুমি বরং অভিমান করেই থাকো।
তুমি বরং প্লাস্টিকের মূর্তিতেই থাকো 
তোমাকে আঘাত করবে
 
  তোমার মাথাটায় ওরা কোপ মারবে
কিন্তু সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না । [[ব্যবহারকারী:ড. সেখ রমজান আলি|ড. সেখ রমজান আলি]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:ড. সেখ রমজান আলি#top|আলাপ]]) ১২:৪০, ২৭ মে ২০২০ (ইউটিসি)