চতুর্থ মুহাম্মদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Abtahi Lama (আলোচনা | অবদান)
ছবি যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Abtahi Lama (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৩৭ নং লাইন:
}}
 
'''চতুর্থ মুহাম্মদ''' ({{lang-ota|محمد رابع}} ''Meḥmed-i rābiʿ''; [[Turkish language|Modern Turkish]]: ''IV. Mehmet''; যিনি পরিচিত ''Avcı Mehmet'' বা '''শিকারী মুহাম্মদ''' নামে; ২ জানুয়ারি ১৬৪২ - ৬ জানুয়ারি ১৬৯৩) ছিলেন [[উসমানীয় সাম্রাজ্যের|উসমানীয় সাম্রাজ্য]] সুলতান। একটি অভ্যুত্থানে তাঁর পিতাকে সিংহাসনচ্যুত করার পর মাত্র ৬ বছর বয়সে তাঁকে সিংহাসনে বসানো হয়। চতুর্থ মুহাম্মদ ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শাসনকালকারী উসমানীয় সুলতান (৩৯-৪০ বছর)। উল্লেখ্য যে, সর্বোচ্চ শাসনকালকারী উসমানীয় সুলতান হলেন [[প্রথম সুলাইমান]] (৪৬ বছর)। অল্পবয়স থেকেই শিকারে তাঁর অসীম আগ্রহ গড়ে উঠে এবং এই কারণে তাঁকে ''avcı'' (শিকারী) নামে অবিহিত করা হয়। <ref name=eoe>{{Cite book |last=Börekçi |first=Günhan |editor-last=Ágoston |editor-first=Gábor |editor2=Bruce Masters |title=Encyclopedia of the Ottoman Empire |chapter=Mehmed IV |date=2009 |page=370-1 }}</ref>
যেখামে চতুর্থ মুহাম্মদের শাসনামলের প্রথম ও শেষ বছর উসমানীয় সাম্রাজ্যের সামরিক পরাজয় ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য কুখ্যাত, মধ্যবর্তী সময়ে বিখ্যাত [[কোপ্রুলুকোপরুলু উজির]]দের হাত ধরে উসমানীয়রা হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করেছিল। ইতিহাসে এই সময়টা [[কোপ্রুলুকোপরুলু যুগ]] নামে পরিচিত। মুহাম্মদ খুব ধার্মিক শাসক ছিলেন এবং একইসাথে দীর্ঘ শাসনামলে অনেকগুলো সামরিক বিজয়ের কারণে তাঁকে [[গাজী]] বলা হয়ে থাকে। <ref>{{cite book |last=Baer|first=Marc David |title=Honored by the Glory of Islam: Conversion and Conquest in Ottoman Europe |publisher=Oxford University Press |date=2008 |pages=165 |isbn=978-0-19-979783-7}}</ref>
 
==রাজত্বকালের উল্লেখযোগ্য ঘটনাপ্রবাহ==
তাঁর অধীনেই উসমানীয় সাম্রাজ্য ইউরোপে ভৌগোলিক বিস্তৃতির শীর্ষে পৌঁছায়। অল্পবয়স থেকেই শিকারে তাঁর অসীম আগ্রহ গড়ে উঠে এবং এই কারণে তাঁকে ''avcı'' (শিকারী) নামে অবিহিত করা হয়।<ref name=eoe/>
চতুর্থ মুহাম্মদের শাসনের প্রথম পর্যায় কুখ্যাত [[নারীদের সালতানাত]] এর সমাপ্তি ও মহান [[কোপরুলু যুগ]] এর সূচনা প্রত্যক্ষ করে। [[কোপরুলু পরিবার|কোপরুলু পরিবারের]] ধারাবাহিক [[উজিরে আজম|উজিরে আজমরা]] কার্যকরভাবে সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখেন। কোপরুলু উজিরদের সময় সাম্রাজ্য নতুন সামরিক সাফল্য প্রত্যক্ষ করে। এসময় [[ট্রান্সিলভানিয়া]]য় কর্তৃত্ব পুনপ্রতিষ্ঠা করা হয়, ১৬৬৯ সালে [[ক্রিট]] জয় সম্পন্ন হয় এবং দক্ষিণ [[ইউক্রেন|ইউক্রেনে]] সীমানা বিস্তার করা হয়।
 
উজিরে আজম [[কারা মোস্তফা পাশা]] ১৬৮৩ সালে দ্বিতীয়বার [[ভিয়েনা]] অবরোধ করতে গেলে এই যুগের সাফল্য বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাদের মিত্র [[হাবসবার্গ]], [[জার্মান]] ও [[পোলিশ]]রা উসমানীয়দের হটিয়ে দেয়। হলি লীগের মৈত্রী ভিয়েনার পরাজয়ের সুবিধা আদায় করে নেয় এবং [[কার্লোউইতজের চুক্তি]] স্বাক্ষর হয়। উসমানীয়রা বেশ কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করে।
 
তাঁর অধীনেই উসমানীয় সাম্রাজ্য ইউরোপে ভৌগোলিক বিস্তৃতির শীর্ষে পৌঁছায়। অল্পবয়স১৬৮৩ থেকেইসালে শিকারে[[ভারনার তাঁরযুদ্ধ|ভারনার অসীমযুদ্ধের]] আগ্রহপর গড়েইউরোপে উঠেউসমানীয় এবং[[ইউরোপে এইউসমানীয় কারণেযুদ্ধ|সম্প্রসারণ]] তাঁকে ''avcı'' (শিকারী) নামে অবিহিত করাসমাপ্ত হয়।<ref name=eoe/>
 
==ক্ষমতাচ্যুতি ও মৃত্যু==
ইউরোপে খ্রিস্টান সম্মিলিত বাহিনীর সাথে চলমান যুদ্ধে ক্রমাগত ব্যর্থতার জন্য ১৬৮৭ সালে সৈন্যদের বিদ্রোহে (মূলত [[জেনিসারি বাহিনী]] দ্বারা সংঘটিত) তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। ইতিহাসে এই যুদ্ধ ''Great Turkish War'' বা ''War of the Holy League'' নামে পরিচিত। এরপর তিনি [[এদির্ন|এদির্নে]] অবসর জীবনযাপনের জন্য চলে যান এবং ১৬৯৩ সালে সেখানেই স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন।
<ref name=eoe/>
[[File:OttomanEmpireIn1683.png|thumb|১৬৮৩ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ ভৌগোলিক বিস্তৃতি, যেটা চতুর্থ মুহাম্মদের শাসনকালে হয়]]
 
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্রতালিকা}}