কুরআন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Asik12 (আলাপ)-এর সম্পাদিত 4262985 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
ইফতেখার নাইম (আলাপ)-এর সম্পাদিত 4262994 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৪৯ নং লাইন:
 
===সংকলন===
মহানবী স. এর জীবদ্দশায় তার তত্ত্বাবধানে প্রথম পূর্ণ কুরআন লিপিবদ্ধ হয়। কিন্তু এগুলো এক জায়গায় একত্রিত করা হয়নি। প্রথম খলিফা [[হযরত আবু বকর]] রা.-এর যুগে দ্বাদশ [[হিজরি]] সালে [[ইয়ামামা]]রইয়ামামার [[যুদ্ধ|যুদ্ধে]] সত্তর জন [[হাফেজ|হাফেজে]] কুরআন [[শাহাদাত]] বরণ করেন।এতে হযরত [[ওমর]] রা. উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তিনি [[খলিফা]] [[আবু বকর]] রা.-কে বলেন, "এভাবে [[জিহাদ]]ে [[হাফেজ]]গন [[শহীদ]] হতে থাকলে কুরআনের অনেক অংশ বিলুপ্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। অতএব, আপনি কুরআন [[মাজিদ]] একত্রে [[সংকলন]]ের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।" প্রথমে [[আবু বকর]] রা. রাজি না হলেও [[ওমর]] রা. এর অনুরোধে রাজি হন। কুরআন সংরক্ষণের এ দ্বায়িত্ব [[মুহাম্মাদ|রাসূল স.]] এর যুগের ওহি লেখক সাহাবি [[যায়েদ ইবনে সাবেত]] রা. এর উপর প্রদান করা হয়।
[[জায়েদ ইবনে সাবিত|যায়েদ ইবনে সাবেত]] রা. নিজে [[হাফেজ]]ে কুরআন ছিলেন। তিনি কুরআন [[সংকলন]] করার ব্যাপারে দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করেন। একটি হলো-কুরআনের আয়াতটি সংশ্লিষ্ট [[সাহাবা]] মুখস্থ বলবেন, অপরটি হলো তিনি মহানবী স. এর যুগে লিখিত ঐ [[আয়াত]]টি প্রদর্শন করবেন। তিনি লিখিত ছাড়া কুরআনের [[আয়াত]] সত্যায়নের জন্য যথেষ্ট মনে করেননি। তিনি বহু যাচাই বাছাই করতঃ সাহাবায়ে কেরামের নিকট রক্ষিত রাসুলুল্লাহ স. এর জীবদ্দশায় লিখিত বিভিন্ন পাণ্ডুলিপি থেকে সে সময়ের আবিষ্কৃত বিশেষ [[কাগজ]]ে গ্রন্থাকারে কুরআন লিপিবদ্ধ করেন।
লিপিবদ্ধ কুরআনটি [[হযরত আবু বকর]] রা.-তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। তার ওফাতের পর এটি হযরত [[ওমর]] রা.-এর হেফাজতে থাকে। তার শাহাদাতের পর তারই ওসিয়ত অনুসারে কুরআনের এ প্রতিলিপিটি নবি করিম স. এর স্ত্রী বিবি [[হাফসা বিনতে উমর|হাফসা]] রা.-এর নিকট গচ্ছিত থাকে।
তৃতীয় [[খলিফা]] [[উসমান]] রা. -এর যুগে ইসলামি সম্রাজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটে। [[ইসলাম]]ের এ প্রসারের ফলে বিভিন্ন [[জাতি]] ও [[ভাষাবাষি]] লোকেরা দলে দলে [[ইসলাম]] কবুল করে। তাদের অনেকেই কুরআনের গঠন পদ্ধতি অনুসরণ করে কুরআনের বিশেষ [[শব্দ]] উচ্চারণ করতে পারত না। বিশেষ করে [[আরমেনিয়া]] এবং [[আজারবাইজান]] যুদ্ধে সমবেত [[মুসলমান]]দের কুরআন পাঠ পদ্ধতির বিভিন্নতা দেখে বিশিষ্ট [[সাহাবি]] [[হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান|হুযাইফা]] রা. [[খলিফা]] [[উসমান]] রা.-কে বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি অবিলম্বে এ নিয়ে নেতৃস্থানীয় [[সাহাবা]]দের সাথে পরামর্শ করে চার জন বিশিষ্ট [[সাহাবা]] সমন্বয়ে একটি বোর্ড গঠন করেন। এ চার জন [[সাহাবা]] হচ্ছেন-
* [[জায়েদ ইবনে সাবিত|যায়েদ ইবনে সাবিত]] রা.
* [[আবদুল্লাহ ইবনুল জুবায়ের|আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর]] রা.