বহির্জাগতিক প্রাণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৫৯ নং লাইন:
ভিনগ্রহের প্রাণীদের ''আকৃতি'' কতটুকু বিশাল হতে পারে তারও ধারণা করা সম্ভব। প্রাণীদের ক্ষেত্রে দৈহিক শক্তি তাদের পেশির প্রস্থচ্ছেদের উপর নির্ভরশীল। যেহেতু শক্তির বৃদ্ধির সূত্র হলো:<br />
::'''শক্তির বৃদ্ধি : দৈহিক আকৃতি<sup>2</sup>'''
তাই কোনো প্রাণীর আকৃতি দ্বিগুণ করা হলে তার শক্তি বৃদ্ধি পাবে চারগুণ (2<sup>2</sup>=4)। কিন্তু এই নিয়মের সাথে আরেকটা নিয়মও অতোপ্রতভাবে জড়িত, তা হলো:<br />
::'''প্রাণীর আকৃতি : দৈহিক ওজন<sup>3</sup>'''
অর্থাৎ কারো আকৃতি দ্বিগুণতিনগুণ করা হলে তার ওজন বেড়ে যাবে আটগুণ (2<sup>3</sup>=8)। এই দুটো নিয়ম এক করলে দেখা যায় কারো আকৃতি দ্বিগুণ করলে তার শক্তি ও ওজনের অনুপাত আগের তুলনায় অর্ধেক হয়ে যাবে। অর্থাৎ বৃহতাকৃতির মানেই হলো দৈহিক শক্তির অপচয়। [[নাসা|নাসা'র]] বিজ্ঞানীদের হিসাবনিকাশ অনুযায়ী এই অজানা প্রাণীদের ওজন ৪.৫৪ কেজি (১০ পাউন্ড) থেকে ১০ টনের মধ্যে থাকবে, এর বেশি বা কম নয়।<ref name=BP4/>
 
আবার আকৃতি বড় হলে পানির নিচে চলাচলে অনেক সুবিধা। কেননা [[আর্কিমিডিস|আর্কিমিডিসের]] তত্ত্ব অনুযায়ী ''আকৃতির বিশালতা বাড়লে পানির প্লাবতাও বেশি জায়গা জুড়ে কাজ করবে''। এই তত্ত্ব অনুযায়ী ভিনগ্রহের প্রাণীদের জলচর হবার সম্ভাবনা থাকলেও তারা 'জলচর হবে না' -এমন তত্ত্বই বেশি প্রচলিত। কেননা বুদ্ধিমত্তার জন্য পানির চেয়ে স্থলভাগ এগিয়ে আছে। সামুদ্রিক জীবন অনেক সহজ, উত্থান-পতন কম তাই সামুদ্রিক প্রাণীরা বুদ্ধির দিক দিয়ে স্থলভাগের প্রাণীদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। কেননা পানিতে প্রতিকুল পরিবেশের সাথে লড়াই স্থলভাগের তুলনায় কম করতে হয়। অনেকে [[ডলফিন|ডলফিনের]] উদাহরণ টেনে এই তত্ত্বের বিরোধিতা করতে চাইলেও ডলফিনের বিবর্তন ইতিহাস বলে যে, তাদের পূর্বপুরুষ সামুদ্রিক প্রাণী ছিলো না, বরং তারা স্থলচর স্তন্যপায়ীর বংশধর: বিবর্তনের শেষের দিকে এসে তারা জলে আশ্রয় নিয়েছে।<ref name=BP4/>