ঈদের নামাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
Shafiulalamchowdhury (আলোচনা | অবদান)
আফতাবুজ্জামান (আলাপ)-এর সম্পাদিত 4258298 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
১৩ নং লাইন:
তবে বাস্তবে সকল দেশে মুসলিম সমাজে ঈদের নামাজ একটি ধর্মীয় উৎসব হিসেবে প্রতি বৎসর উদযাপিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সহ বহু দেশে নামাজ তো পড়াই হয়, অধিকন্তু ঈদের দিনটি উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়।
 
== ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ==
ঈদের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। ঈদের নামাজ সাধারণত খোলা মাঠে তথা ঈদগাহে পড়া হয়। তবে এরূপ স্থানের অভাবে বা আপৎকালে মাসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা যায়।
 
===সময়===
চোখের দেখায় সূর্য দিগন্ত থেকে আনুমানিক দুই মিটার উচ্চতায় পৌঁছালে ঈদের নামাজ পড়া হয়। [[জোহর]] নামাজের আগেই ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়। সুন্নাত হিসেবে ঈদুল ফিতরের নামাজ কিছুটা দেরী করে এবং ইদুল আজহার নামাজ দ্রুত আদায় করা হয়। ইদুল ফিতরে [[ফিতরা]] প্রদান করতে হয়। ঈদ সকালে কিছুটা সময় পাওয়া গেলে ফিতরা আদায়ে সুবিধা হবে। অন্যদিকে ঈদুল আজহায় ঈদের নামাজ সম্পন্ন করে [[আল্লাহ|আল্লাহর]] উদ্দেশ্যে পশু কুরবানী করা হয়। সেজন্য ঈদের নামাজ যত দ্রুত সম্ভব আদায় করতে হবে। এই ব্যাপারে হাদিসে সুস্পষ্ট বিধান প্রদত্ব রয়েছে।
=== অতিরিক্ত বারো তাক্ববির ===
এছাড়াঈদের কেউ কেউনামাজে অতিরিক্ত বারো তাক্ববির পড়েন। এক্ষেত্রেরয়েছে। প্রথম রাক্বাতের শুরুতে অতিরিক্ত সাত তাক্ববির এবং দ্বিতীয় রাক্বাতের শুরুতে অতিরিক্ত পাঁচ তাক্ববির দিতে হয়। প্রথম রাক্বাতে [[ছানা]] পাঠের পর কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলে পর পর সাতবার তাক্ববির বলতে হয়। দ্বিতীয় রাক্বাতে সুরা পাঠা শুরুর পূর্বে অতিরিক্ত পাঁচ তাক্ববির বলতে হয়।<ref>সুনানে ইবনে মাজাহ | হাদিস নং ১২৭৭, ১২৭৮, ১২৭৯, ১২৮০</ref> এছাড়া অন্য সকল নিয়ম সাধারণ দুই রাকাত নামাজের মতই।
 
যদিও হানাফি মাজহাব মতে এই অতিরিক্ত তাক্ববিরের সংখ্যা ছয়টি। কিন্তু অধিকাংশ হাদিস অতিরিক্ত বারো তাক্ববীরের মত সমর্থন করে। মক্কা-মদিনা সহ সৌদী আরবের সব অঞ্চলে এবং সকল আরব দেশে এই অতিরিক্ত বারো তাক্ববিরে ঈদের সালাত আদায় করা হয়ে থাকে।
=== অতিরিক্ত তাক্ববির ===
ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাক্ববির রয়েছে। প্রথম রাক্বাতের শুরুতে অতিরিক্ত তিন তাক্ববির এবং দ্বিতীয় রাক্বাতে অতিরিক্ত তিন তাক্ববির দিতে হয়। প্রথম রাক্বাতে [[ছানা]] পাঠের পর কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলে পর পর তিন তাক্ববির বলতে হয়। দ্বিতীয় রাক্বাতে সুরা পাঠান্তে রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাক্ববির বলতে হয়। অতিরিক্ত তাক্ববির বলার পর কানের লতি থেকে হাত নামিয়ে আনতে হয়।
 
এছাড়া কেউ কেউ অতিরিক্ত বারো তাক্ববির পড়েন। এক্ষেত্রে প্রথম রাক্বাতের শুরুতে অতিরিক্ত সাত তাক্ববির এবং দ্বিতীয় রাক্বাতের শুরুতে অতিরিক্ত পাঁচ তাক্ববির দিতে হয়। প্রথম রাক্বাতে [[ছানা]] পাঠের পর কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলে পর পর সাতবার তাক্ববির বলতে হয়। দ্বিতীয় রাক্বাতে সুরা পাঠা শুরুর পূর্বে অতিরিক্ত পাঁচ তাক্ববির বলতে হয়।<ref>সুনানে ইবনে মাজাহ | হাদিস নং ১২৭৭, ১২৭৮, ১২৭৯, ১২৮০</ref>
 
সুতরাং ইমাম ৬ তাকবীরে ঈদের সালাত পড়ুক অথবা ১২ তাকবীরে পড়ুন সকল অবস্থায় তার পেছনে সালাত পড়া জায়েয। কেবল তাকবীরের সংখ্যাকে কেন্দ্র করে ঈদের মাঠে ঝগড়া-মারামারি করা বা ঈদের মাঠ ভাগ করা শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। আল্লাহু আলাম।
=== খুৎবা===
ঈদের নামাজে ইমাম কর্তৃক খুৎবা পড়া সুন্নত এবং মুসুল্লিদের খুৎবা শোনা ওয়াজিব। [[জুমার নামাজ|জুমার নামাজের]] ন্যায় প্রথমে বিষয় ভিত্তিক [[খুৎবা]] এবং পরে সানি খুৎবা পাঠ করতে হয়। খুৎবার মাধ্যমে ঈদের নামাজের সমাপ্তি হয়। সাধারণতঃ খুৎবার পরে [[দুয়া]] করা হয়।
 
==মহিলাদের অংশগ্রহণ==
বেশিরভাগ ইসলামী চিন্তাবিদ মহিলাদের ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ সহ ভারতীয় উপমহাদেশে মহিলাদের ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করার হার তুলনামূলক ভাবে কম।
 
==শোলাকিয়া ঈদগাহ==
{{মূল নিবন্ধ|শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান}}
৩৮ ⟶ ৩৫ নং লাইন:
 
{{প্রবেশদ্বার|ইসলাম}}
 
{{সালাত}}
{{ঈদ}}