দেবী (হিন্দুধর্ম): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Chopal0071 (আলোচনা | অবদান)
→‎দেবী: নাম ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
Chopal0071 (আলোচনা | অবদান)
→‎ইতিহাস: বানান আর নাম ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
২৭ নং লাইন:
| quote = আমি এই মনুষ্যজাতির এবং এই জগতের রক্ষাকারী অভিভাবক, দ্যুলোককে শাসকরূপে সৃষ্টি করি এবং সুর্যকে সৃষ্টি করি৷<br>
জলের গভীরে ও সমূদ্রে এবং মহাকাশের অনুতে আমার স্থান৷ <br>
একইভাবে আমি ব্যাপ্ত আছি মহাবিশ্বের সকল স্থানে, এবং আমি আলোর আকাশে পৌছাইপৌঁছাই এবং আমার আলো ও মহিমা দ্বারা উর্দ্ধে দ্যুলোককে স্পর্শ করি৷
| align = center
| width = 72%
৩৬ নং লাইন:
[[ঋগ্বেদ|ঋগ্বেদে]] ছয় দেবী [[অদিতি]], [[বাক]], [[ভূমি]], [[অরণ্যানী]], [[রাত্রি]] ও [[উষা]]র কথা উল্লেখ আছে।<ref>http://archives.anandabazar.com/archive/1120929/29mukhomukhi1.html</ref> এছাড়া সরস্বতী, ভারতী, পৃথিবী, অগ্নায়ী, বরুণানী, অশ্বিনী, রোদসী, রাকাকে দেবী পদভিষিক্তা বলা হয়েছে। যাইহোক, দেবীগণ দেবতাদের ন্যায় খুব বেশি আলোচিত নন। বৈদিক যুগের শেষাংশে এবং বুদ্ধ যুগের পূর্বে দেবী [[লক্ষ্মী]]র উল্লেখ বৈদিক শ্রীসূক্তে আছে।। বৈদিক যুগেই সকল দেব-দেবীর বৈশিষ্ট্য চিত্রিত হলেও মূলত মধ্যযুগে এসে তারা একটিমাত্র সর্বশক্তিমান দেবীর প্রতিভাস হিসেবে চিত্রিত হন।<ref>Fuller, Christopher John (2004). ''The Camphor Flame: Popular Hinduism and Society in India.'' Princeton University Press, {{আইএসবিএন|978-0-691-12048-5}}, page 41</ref>
 
[[শাক্ত]]মতে দেবীকে সর্বশক্তিমান হিসেবে বিবেচিত করা হয়। অন্যান্য হিন্দুসনাতন ধর্মীয় মতাদর্শেও দেবীগণ দেবতার শক্তি ও ক্ষমতাকে চিত্রিত করেন এবং একে অপরের পরিপূরক রূপে আবির্ভূত হন। যেমন [[বৈষ্ণব]] মতাদর্শে [[লক্ষ্মী]] ও [[বিষ্ণু]] এবং [[শৈব]] মতাদর্শে [[পার্বতী]] ও [[শিব]] পরস্পর স্রষ্টাশক্তি।<ref>Stella Kramrisch (1975), The Indian Great Goddess, History of Religions, Vol. 14, No. 4, page 261</ref><ref>Ananda Coomaraswamy, Saiva Sculptures, Museum of Fine Arts Bulletin, Vol. 20, No. 118, page 17</ref>
 
হিন্দুসনাতন ধর্মীয় গ্রন্থে দেবী-অনুপ্রাণিত দর্শনের অনেককিছু উপস্থাপন করা হয়, যেমন দেবী উপনিষদ উল্লেখ করে যে শক্তিপীঠ মূলত [[ব্রাহ্মণ]], সে প্রাক্তি ও পৌরুষ থেকে উদ্ভূত, সুখ-দুঃখ, জন্ম-জন্মান্তর ও মহাবিশ্বের মূল। তিনি শিবের সৃজনশীল শক্তি, এবং এই বিষয়গুলি এছাড়াও [[ত্রিপুরা উপনিষদ]], [[গুহ্যকালী উপনিষদ]]-এও পাওয়া যায়।
 
[[দেব্যুপনিষদ্‌|দেবী উপনিষদে]] ঈশ্বরের প্রশ্নের জবাবে দেবী নিজেকে [[ব্রাহ্মণ]] বলে উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি জগৎ শাসন করেন, পূজা গ্রহণ করেন এবং ব্যক্তিকে আত্মাদান করেন। দেবী দাবি করেন তিনি পৃথিবী এবং আকাশ ও সেখানে বসবাসকারীগণের স্রষ্টা। তার পিতারূপে আকাশ ও মাতারূপে সমুদ্র সৃষ্টি পরমাত্মার প্রকাশ ঘটায়। তার সৃষ্টি কারও নির্দেশে ঘটেনি, বরং তিনিই সৃষ্টির মাঝে বিরাজ করেন। দেবী উপনিষদে তান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি [[যন্ত্র]], [[বিন্দু]], [[বীজ]], [[মন্ত্র]], [[শক্তি]] ও [[চক্র|চক্রের]] ব্যবহার উল্লেখ করে।
 
বিশ্বের প্রধান ধর্মগুলোর মধ্যে হিন্দুধর্মেসনাতন ধর্মে দেবীর ধারণা ঐশ্বরিক, যার আদ্যিকাল থেকে শক্তিশালী উপস্থিতি ছিল।
 
==উদাহরণ==