সূরা আদিয়াত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বিষয়বস্তু যোগ
Md Shayemur Rahman (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩০ নং লাইন:
 
== শানে নুযূল ==
সুরা আদিয়াত নাজিলের পটভূমি হল হিজরি অষ্টম সনের একটি যুদ্ধ। মুসলমানদের ওপর অতর্কিতে হামলার অশুভ উদ্দেশ্যে আরবের ইয়াবেস উপত্যকার মুশরিকরা মদীনার পার্শ্ববর্তী এলাকাতে জড়ো হলে মহানবী (সা.) এ সংবাদ পেয়ে আবু বকরের নেতৃত্বে তাদের প্রতিহত করতে এক সেনাদল পাঠান। কিন্তু তারা ছিল খুবই দুর্ধর্ষ। ফলে আবু বকর পালিয়ে যেতে বাধ্য হন এবং বহু মুসলমানও নিহত হয়। দ্বিতীয় দিন উমর ইবনে খাত্তাবের নেতৃত্বে পাঠানো সেনাদলও একইভাবে ব্যর্থ হয়। তৃতীয় দিন আমর ইবনে আস বলেন, ‘আমাকে যদি নেতা নিযুক্ত করা হয় তবে আমি কৌশলে তাদেরকে হারাব।’ তাকেও পাঠানো হল। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসলেন। কোনো কোনো বর্ণনায় বলা হয় আবুবকর ও উমর কেবল আলোচনার মাধ্যমে ওই শত্রুদের বশে আনার চেষ্টা করেন এবং ব্যর্থ হন। যাই হোক্ অবশেষে মহানবী (সা.) হযরত আলীকে নেতা নিযুক্ত করলেন এবং তিনি তাঁকে মসজিদে আহযাব অবধি পৌঁছে দিয়ে বিদায় নিলেন। হযরত আলী সেনাদলকে সঙ্গে নিয়ে রওনা দিলেন এবং রাত থাকতেই তাদের কাছে পৌঁছে গেলেন এবং আক্রমণ করে তাদের বহু লোককে হত্যা করলেন এবং অবশিষ্টকে শৃঙ্খলিত করে নিয়ে আসলেন। এ কারণে ঐ যুদ্ধকে ‘বাতুল আখদাল’ বলা হয়।
 
এদিকে হযরত আলীর নেতৃত্বে বিজয়ী মুজাহিদরা মদীনা পৌঁছানোর পূর্বেই সুরা আদিয়াত নাজিল হয়। মহানবী (সা.) ফজরের নামাজে এই নতুন সুরা পড়লে সাহাবিরা এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি হযরত আলীর নেতৃত্বাধীন সেনাদের বিজয়ের সুসংবাদ শোনান। মহানবী (সা) প্রফুল্ল চিত্তে মুজাহিদদের অভ্যর্থনা জানাতে বেরিয়ে আসেন। আর যখন তাঁর ওপর হযরত আলীর দৃষ্টি পড়ল সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘোড়া থেকে নেমে পড়লেন। তখন মহানবী বললেন, ‘হে আলী! যদি আমার উম্মতের বিপথগামিতার আশংকা না থাকত তবে তোমার সম্পর্কে আমি সেই কথা বলতাম যারপর মানুষ তোমার পদধূলিকে রোগ-মুক্তির জন্য নিয়ে যেত।’
 
== বিষয়বস্তুর বিবরণ ==