চীনা লিখন পদ্ধতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
৯৭ নং লাইন:
{{মূল নিবন্ধ|চীনা লিপি-পরিবার }}
চীনা অক্ষরগুলি সম্ভবত খ্রিস্টীয় ১ম সহস্রাব্দের প্রথমার্ধে জাপানি ভাষাতে অনুপ্রবেশ করে। সম্ভবত কোরিয়া হয়ে আগত চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের মাধ্যমে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। <ref name=omniglot>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.omniglot.com/writing/japanese.htm|লেখক=Simon Ager|বছর=2007|শিরোনাম=Japanese (Nihongo)|প্রকাশক=Omniglot|সংগ্রহের-তারিখ=2007-09-05}}</ref> ঐ সময়ে জাপানি ভাষাতে কোন স্থানীয় লিখন পদ্ধতি ছিল না। চীনা অক্ষর দিয়েই জাপানি কথ্য ভাষার শব্দগুলিকে প্রকাশ করা হত; এক্ষেত্রে চীনা অক্ষরগুলির অর্থ জাপানি কথ্য শব্দের অর্থের সাথে মিলে গেলেও জাপানি উচ্চারণগুলি সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। তবে এর উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রমও ছিল; মানইয়োগানা বলে একটি লিখন ব্যবস্থা ছিল যাতে চীনা অক্ষরের একটি ক্ষুদ্র দলকে উচ্চারণ নির্দেশ করতে ব্যবহার করা হত। এই মানইয়োগানা থেকেই পরবর্তীতে ধ্বনিভিত্তিক অক্ষরমালা হিরাগানা ও কাতাকানার উদ্ভব ঘটে।<ref name=RaghavacharyaEtAl2006>{{cite conference|author=Hari Raghavacharya|title=Perspectives for the Historical Information Retrieval with Digitized Japanese Classical Manuscripts|conference=Proceedings of the 20th Annual Conference of the Japanese Society for Artificial Intelligence|year=2006|display-authors=etal}}</ref>
চীনা অক্ষরগুলিকে ম্যান্ডারিন চীনা ভাষায় হান<sup>৪</sup>ৎসি<sup>৪</sup>) ''hànzì'' নামে ডাকা হয়। চীনের [[হান রাজবংশের]] নামে এই নামকরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জাপানে এই নামটিকে উচ্চারণ করা হয় “কানজি”। আধুনিক জাপানি লিখন ব্যবস্থাতে কানজি অক্ষরগুলি সিংহভাগ বিশেষ্য, ক্রিয়ামূল ও বিশেষণমূল নির্দেশ করতে ব্যবহার করা হয়। এগুলির পাশাপাশি হিরাগানা অক্ষরগুলিকে ব্যাকরণিক উপাদান ও কানজিতে চিত্রিত নয় এমন কিছু শব্দ লিখতে ব্যবহার করা হয়; আর কাতাকানা অক্ষরগুলিকে বিদেশী ভাষা থেকে আগত কৃতঋণ শব্দ, উদ্ভিদ ও প্রাণীসমূহের নাম এবং কিছু বৈজ্ঞানিক বা কারিগরি পারিভাষিক শব্দ লিখতে ব্যবহার করা হয়। জাপানি সরকার সাধারণ জীবনে ব্যবহার্য কানজি অক্ষরগুলির একটি প্রমিত তালিকার প্রবর্তন করেছে যার নাম জোইয়ো কানজি; এই তালিকাতে ২,১৩৬টি অক্ষর রয়েছে; তুলনামূলকভাবে একজন সাক্ষর চীনা এর প্রায় দুইগুণ বেশি (প্রায় ৪০০০) অক্ষরের জ্ঞান রাখেন।{{sfnp|Ramsey|1987|p=153}}
 
জাপানি ভাষার তুলনায় কোরীয় ও ভিয়েতনামি ভাষাতে চীনা অক্ষরগুলির ভূমিকা অনেক কম। অতীতে একসময় কোরীয় ভাষাতেও জাপানি ভাষার মত অনেক চীনা অক্ষরের প্রবর্তন করা হয়েছিল, যাদের নাম ছিল [[হানজা]]।{{sfnp|Ramsey|1987|p=153}} ১৯৭০-এর দশকের পর থেকে সামরিক সরকার ও পরবর্তী সরকারসমূহও জনগণের সাক্ষরতা বৃদ্ধির একটি সমাধান হিসেবে লেখ্য কোরীয় ভাষার প্রায় পুরোটাই শুধুমাত্র হানগুল বর্ণমালা ব্যবহার করে লেখার নীতি গ্রহণ করে। হানগুল বর্ণগুলি একটি বর্গাকৃতির ক্ষেত্রে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে লেখা হয়, এবং এরকম প্রতিটি বর্গক্ষেত্র একেকটি ধ্বনিদল নির্দেশ করে।{{sfnp|Hannas|1997|p=58}} তবে দক্ষিণ কোরিয়াতে এখনও রাস্তাঘাট ও দোকানপাটের ফলকে শৈলী বা নকশার কাজে, সংবাদপত্রের শিরোনামে স্থান সংকুলানের জন্য, বইপত্রে ও সরকারী নথিপত্রে কোন শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে চীনা অক্ষর ব্যবহার করা হয়।{{citation needed|date=July 2016}}