চলচ্চিত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Riju122 (আলোচনা | অবদান)
Riju122-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে 37.111.248.63-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
১৬ নং লাইন:
১৮৯৪ সালের দিকেই ডিকসন শব্দ এবং ছবি একসাথে ধারণের পরীক্ষা শুরু করেছিলেন। কিন্তু তার সে প্রচেষ্টাকে এড়িয়ে গিয়ে [[নির্বাক চলচ্চিত্র]] প্রাধান্য বিস্তার করে এবং জনমনে বিশেষ ছাপ ফেলতে সক্ষম হয়। ঊনবিংশ শতকের শেষ পর্যন্ত নির্বাক চলচ্চিত্রই ছিল একমাত্র চলমান শিল্প মাধ্যম। বিংশ শতকের শুরুতে চলচ্চিত্র বর্ণনামূলক ধারায় রূপ নিতে শুরু করে। অনেকগুলো দৃশ্যকে একসাথে জোড়া লাগিয়ে এবং প্রত্যেকটির জন্য বর্ণনাভঙ্গি নির্দিষ্ট করে, প্রচার করা হতে থাকে। ধীরে ধীরে দৃশ্যগুলোকে বিভিন্ন আক্র এবং কোণ থেকে নেয়া অনেকগুলো শটে ভাগ করা হয়। এছাড়া চলমান ক্যামেরার মাধ্যমে চলচ্চিত্র গল্প ফুটিয়ে তোলার কৌশল আবিষ্কৃত হয়। তখনও ছবি নির্বাক ছিল। কিন্তু, প্রতিটি শটের সাথে মিল রেখে সঙ্গীত এবং বাজনা বাজানোর জন্য সিনেমা হলে বা মঞ্চে অর্কেস্ট্রা দল থাকতো। বড় বড় প্রযোজনা কোম্পানিগুলো এসবের ব্যবস্থা করতো।
[[চিত্র:Le Voyage dans la lune.jpg|thumb|200px|Georges Méliès পরিচালিত ''Le Voyage dans la Lune'' (চন্দ্রাভিযান) (১৯০২) চলচ্চিত্রের একটি শট। প্রাচূন বর্ণনামূলক চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম]]
[[হলিউড|হলিউডের]] উত্থানের মাধ্যমে [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে]] চলচ্চিত্র বিকশিত হয়ে উঠলেও [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধের]] কারণে [[ইউরোপ|ইউরোপে]] এই শিল্পটি ততোটা বিকশিত হয়ে উঠতে পারেনি। অবশ্য ১৯২০-এর দশক থেকে [[সের্গে আইজেনস্টাইন]], [[এফ ডব্লিউ মার্নো]] এবং [[ফ্রিৎস ল্যাং]] এর মতো ইউরোপীয় পরিচালকরা [[ডি ডব্লিউ গ্রিফিথ]], [[চার্লি চ্যাপলিন]], [[বুস্টার কিটন]] প্রমুখ মার্কিন পরিচালক ও অভিনেতাদের সাথে মিলে ইউরোপে চলচ্চিত্র বিস্তারের কাজ শুরু করেন। এই দশকেই প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে চলচ্চিত্রের শটগুলোর সাথে ঐকতান বজায় রেখে শব্দ, সঙ্গীত এবং কথোপকথন যুক্ত করা সম্ভব হয়। উদ্ভব হয় [[সবাক চলচ্চিত্র|সবাক চলচ্চিত্রের]]। ইংরেজতে এগুলোকে "টকিং পিকচার" বা সংক্ষেপে "টকি" (talky) বলা হতো। ১৯৫৯ সালে নির্মিত মহাকাব্যিক চলচ্চিত্র [[বেন-হার]] ১১ টি অস্কার পুরস্কার জয় করে এবং চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক আলাদা মাত্রা এনে দেয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=সিনেমা|ইউআরএল=https://www.serareview.com/review/all/list-of-best-movie|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ মে ২০২০}}</ref>
 
এর পরে চলচ্চিত্র শিল্পে সবচেয়ে বড় সংযোজন ছিল "প্রাকৃতিক রঙ" যুক্ত করা। শব্দ যুক্ত করার পর খুব দ্রুত নির্বাক চলচ্চিত্র এবং মঞ্চের বাদ্য-বাজনা বিলীন হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু সাদাকালোর বদলে চলচ্চিত্র রঙের ব্যবহার করার প্রচলন অনেক ধীরে ধীরে হয়েছে। এর মূল কারণ ছিল রঙিন চলচ্চিত্রের খরচ এবং সামঞ্জস্য। প্রথমদিকে সাদা-কালো এবং রঙিন চলচ্চিত্রের প্রতি দর্শকদের দৃষ্টিভঙ্গি একই রকম ছিল। কিন্তু ক্রমাগত বেশি বেশি রঙিন চলচ্চিত্র নির্মিত হতে থাকে এবং [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] পর আমেরিকায় রঙিন চলচ্চিত্রই প্রাধান্য বিস্তার করে। কারণ প্রযোজকরা বুঝতে পারছিলেন, রঙিনের দিকে দর্শকদের ঝোঁক বেশি। আরও একটি কারণ ছিল, টেলিভিশন ১৯৬০-এর দশকের আগে রঙিন হয়নি। তাই টিভির সাদাকালোকে হারানোর জন্য চলচ্চিত্র রঙের সংযোজন আবশ্যক ছিল। ১৯৬০-এর দশকের পরে রঙিন চলচ্চিত্রই নির্মাতাদের মূল আকর্ষণ হয়ে উঠে।