চলচ্চিত্রের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
২টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0
Riju122 (আলোচনা | অবদান)
→‎চলচ্চিত্রের পূর্বসূরী: ২ নাম্বার লাইন পরিবর্তন
২ নং লাইন:
[[File:Institut Lumière - CINEMATOGRAPHE Camera.jpg|thumb|[[ফ্রান্স]] এর লিও শহরের লুমিয়ের ইনস্টিটিউটে রাখা ‘লুমিয়ের সিনেমাটোগ্রাফ’ যন্ত্র ]]
'''চলচ্চিত্রের ইতিহাস''' ঠিক কবে থেকে শুরু তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়নি। ১৮৯৫ সালের ২৮শে ডিসেম্বর তারিখে [[প্যারিস]] শহরে লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয় তাদের তৈরী দশটি ছোট ছোট [[চলচ্চিত্র]] প্রথমবারের জন্য বাণিজ্যিকভাবে প্রদর্শন করেন। চলমান ছবিকে প্রজেকশন বা অভিক্ষেপনের মাধ্যমে প্রথম সফলভাবে প্রদর্শনের নিদর্শন হিসাবে এই তারিখটিকেই গণ্য করা হয়। চলমান ছবিকে ক্যামেরার সাহায্যে গ্রহণ এবং প্রদর্শনের পূর্ববর্তী কিছু নজির থাকলেও হয় তার গুণমান ছিল নিম্ন নয়ত সেগুলোর কোনোটাই ‘লুমিয়ের সিনেমাটোগ্রাফ’-এর মত বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। এই ঘটনার পরে পরেই সারা বিশ্ব জুড়ে প্রচুর ফিল্ম প্রোডাকশন কোম্পানি তৈরী হয়ে যায় আর মাত্র এক দশকের মধ্যেই চলচ্চিত্র তার অভিনবত্ত্ব কাটিয়ে উঠে এক বিশাল সর্বজনীন বিনোদনশিল্পে পরিণত হয়।
 
ভারতীয় চলচ্চিত্রের শতবর্ষীয় উদযাপন অনুষ্ঠানে দাবি করা হয় যে, ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাস শুরু হয় ১৯১৩ সালে, কিন্তু এটা মূলত সত্য নয়।  ব্রিটিশ জাদুঘরের ইমেজ কিউরেটর ল্যুক ম্যাককার্নান এর মতে, ১৯১৩ সালের পূর্বের ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাস একটি খণ্ডিত অংশ কিন্তু তাই বলে তা কম আকর্ষণীয়ও নয়।  এই ইতিহাস এখনো পুরোপুরি বোধগম্য যেমন নয় তেমনই উপেক্ষিতও বটে’। আমরা সেইসব সিনেমা আজ দেখতে পারিনা কারণ ধারণা করা হয় ভারতীয় নির্বাক সিনেমার প্রায় ৯৯ শতাংশ হারিয়ে গেছে কিন্তু আমরা যা জানতে পারি তা হলো ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসেরও একটি পুরোনো ইতিহাস আছে।
 
গোড়ার দিকের চলচ্চিত্র ছিল সাদা-কালোয় তোলা, দৈর্ঘ্য ছিল এক মিনিটেরও কম, আর ছিল নির্বাক। ১৮৯০ সাল থেকেই একাধিক শট সম্বলিত, বেশ কয়েক মিনিট দৈর্ঘ্যের ছবি তৈরী হতে থাকে। ১৮৯৮ সালে তৈরী হয় প্রথম ঘূর্ণায়মান ক্যামেরা যা দিয়ে প্যানিং শট নেওয়া সম্ভব ছিল। ১৮৯৭ সালেই প্রথম ফিল্ম ষ্টুডিও তৈরী হয়ে যায়। স্পেশাল এফেক্ট, এক ঘটনাক্রম থেকে অন্য ঘটনাক্রমে ছবির কন্টিন্যুইটি বা অবিচ্ছেদ্যতা বজায় রাখা, ইত্যাদি নানারকম প্রয়োগকৌশলের ব্যবহার শুরু হয়ে যায়।