মৈত্রেয় বুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
২টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩৫ নং লাইন:
 
==জন্মগ্রহণ==
আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ চক্রবর্তীরাজা শঙ্খের রাজধানী কেতুমতী (বর্তমান বারাণসী) নগরে অথবা মতান্তরে শম্ভল নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করবেন।তখন জম্বুদ্বীপে ৮৪ হাজার নগর থাকবে।নব্বই কোটি রাজপুত্র থকবে।জম্বুদ্বীপের পরিধি হবে ১ লক্ষ লীগ।কেতুমতী নগর কন্টক বিহীন স্বচ্ছ সবুজ তৃণাবৃত থাকবে।এই তৃণের উচ্চতা হবে আঙ্গুলের মত এবং উহা নরম কাপড়ের মত সুকোমল হবে।আবহাওয়া সব সময় অনুকূলে থাকবে।বৃষ্টিপাত সময়োপযোগী হবে এবং বাতাস অতি উষ্ণ হবে না,অতি শীতল হবে না।নদ-নদী ও পুষ্করিনীতে জল পূর্ণ থাকবে।মটর এবং শিমের আকৃতিতে মসৃণ শ্বেত বালুরাশি হবে।সমস্ত জম্বুদ্বীপ ফুলে ফুলে সজ্জিত থাকবে।গ্রামে নিগমে জনসাধারণ খুব কাছাকাছি বসবাস করবে।তারা শান্ত নিরাপদ এবং নিঃশংক থাকবে।তাদের প্রীতি,সুখ ও আনন্দ মুখর আয়োজন অনুষ্ঠান হবে।তাদের খাদ্য পানীয় প্রচুর পরিমাণে থাকবে।কুরুরাজ্যের রাজধানী অলকানন্দের ন্যা্য জম্বুদ্বীপ সদা উল্লাসিত থাকবে।কেতুমতী ১২ লীগ লম্বা এবং ৭ লীগ প্রস্থ জম্বুদ্বীপের রাজধানী।রাজধানীতে পদ্ম প্রস্ফুটিত পুষ্করিনী থাকবে।পুষ্করিনীর জল স্বচ্ছ,পরিষ্কার,সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত।জনসাধারণের পক্ষে সহজেই পুষ্কারিনীতে সকল সময়ে উঠতে নামতে কোন অসুবিধা হবে না।কেতুমতী নগরের সপ্ত রং সজ্জিত সাত সারি তাল গাছ থাকবে।কেতুমতী শহরের অভ্যন্তরে পীত লোহিত শ্বেত কল্পতরু (২৪) সজ্জিত থাকবে।এই কল্পতরু হতে স্বর্গীয় মনিরত্ন ঝুলতে থাকবে এবং ইচ্ছানুযায়ী ধন-সম্পদ কল্পতরু হতে পাওয়া যাবে।এই কেতুমতী নগরে শঙ্খ নামে একজন চক্রবর্তী রাজার আবির্ভাব হবে।অতীত জন্মে তিনি ও তার পিতা একজন পচ্চেক বুদ্ধের জন্য একটা পর্ণকুটির তৈরী করে দিয়েছিলেন।তারা পচ্চেক বুদ্ধকে এখানে তিন মাস বর্ষাবাসের জন্য আহবান করেছিলেন এবং বর্ষাবাসের পর ত্রিচীবর (৩৫) দান করেছিলেন।এই পর্ণকুটিরে সাতজন পচ্চে বুদ্ধ(৩৫) কে এইভাবে বসবাস করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।মৃত্যেুর পর তারা তাবতিংস দেবলোকে উৎপন্ন হয়েছিলেন।শক্র তার পিতাকে মর্তে মহাপনাদ রাজপুত্র হিসেবে জন্মগ্রহণ করার অনুরোধ করেন।দেবতাদের মধ্যে স্থপতি বিশ্বকর্মা মহাপনাদের জন্য একটা প্রাসা্দ নি্র্মাণ করেছিলেন।গৌতম বুদ্ধের সময় মহাপনাদ ভদ্দজী স্থবির ছিলেন।এক সময় গঙ্গা নদীর তলদেশ হতে মহাপনাদের প্রাসাদ স্বোদর হয়ে এসেছিল।এই প্রাসাদ ভবিষ্যত শঙ্খের জন্যে অপেক্ষা করছে।এই শঙ্খরাজ অতীত জন্মে পচ্চেক বুদ্ধকে পর্ণকুটির নির্মাণ করে দিয়েছিলেন।যখন চক্রবর্তী শঙ্খ জগতে আবির্ভূত হবেন,তখন কেতুমতী নগরের মধ্যস্থলে মহাপনাদ প্রাসাদ স্বতঃস্ফুর্তভাবে বের হয়ে আসবে।এই প্রাসাদ এত চোখজ্বলসানো যে উহার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করা কঠিন হবে।রাজা শঙ্খ সপ্তরত্নের অধিকারী হবেন।যথা-চক্ররত্ন,হস্তীরত্ন,অশ্বরত্ন,মনিরত্ন,স্ত্রীরত্ন,গৃহপতিরত্ন ও বিনায়ক রত্ন।রাজার শীল প্রভাবে রাজ্যে কল্পতরুর আবির্ভাব হবে।রাজ্যের জনসাধারণের শীল প্রভাবে বিনা চাষে স্বয়ং জাত তন্ডুল উৎপন্ন হবে।উহা বিশুদ্ধ,সুগন্ধযুক্ত এবং কনবদ্ধ তুষবিহীন হবে।কেতুমতী বাসীদের যে যত তন্ডুল চাইবে,সে তত পরিমাণ তন্ডুল পাবে।কেতুমতী বাসীগণ অত্যন্ত ধনী হবে,তারা মানসিক ও শারিরীক দিক দিয়ে অত্যন্ত সুখী হবে।রাজা শঙ্খের ৮৪ হাজার নর্তকী থাকবে।তার এক সহস্র পুত্র থাকবে।তার শ্রেষ্ঠ পুত্র তার প্রধান মন্ত্রী হবে।রাজা বিনা অস্ত্রে বিনা যুদ্ধে ধর্মানুসারে সসাগরা জম্বুদ্বীপ জয় করবেন।আর্য মৈত্রে্য বুদ্ধ কেতুমতী রাজ্যর এক বিখ্যাত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করবেন।তার পিতার নাম হবে সুব্রক্ষ।তিনি চক্রবর্তী রাজা শঙ্খের প্রধান পুরোহিত হবেন।তার মাতার নাম হবে ব্রক্ষবর্তী।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধের গৃহী নাম হবে অজিত।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ কেতুমতী নগরের এক অরণ্যে জন্মগ্রহণ করবেন।তার মাতা ব্রক্ষবতীর দন্ডায়মান অবস্থায় বুদ্ধের জন্ম হবে।তিনি যখন মাতৃকুক্ষি হতে নিষ্ক্রান্ত হবেন,প্রথমে দেবগণ তাকে গ্রহণ করবেন।মাতৃকুক্ষি হতে নিষ্ক্রান্ত হয়ে ভূমিস্পর্শে আসার আগে দেবগণ তাকে গ্রহণ করে তার মাতার সম্মুখে স্থাপন করে ব্লবেনঃ-দেবী!সুপ্রসন্ন হউন,আপনার মহাশক্তি সম্পন্ন পুত্র জন্মগ্রহণ করেছেন।বোধিসত্ত্ব যখন তার মাতৃকুক্ষি হতে নিষ্ক্রান্ত হবেন তখন তিনি সুনির্মল থাকবেন;জল,শ্রেষ্মা,রুধির অথবা কোন প্রকার অশুচি দ্বারা লিপ্ত হবেন না।মাতৃকুক্ষি হতে নিষ্ক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে অন্তরীক্ষ হতে দুটা জল ধারা নির্গত হবে একটা শীতল,অপরটা উষ্ণ।এই জল ধারায় বোধিসত্ত্ব ও তার মাতার প্রক্ষালন কার্য সম্পন্ন হবে।তারপর তিনি সমপাদদোপরি স্থিত হবেন এবং উত্তরাভিমুখী হয়ে সপ্ত পদ গমন করবেন।দেবগণ তার মস্তকপরি শ্বেতছত্র ধারণ করবেন।তিনি সর্বদিকে দৃষ্টিপাতপূর্বক এই মহত্ব ব্যঞ্জক বাক্য উচ্চারণ করবেন-এই পৃথিবীতে আমি অগ্র,আমি জ্যেষ্ঠ এবং আমি শ্রেষ্ঠ।ইহাই আমার সর্বশেষ জন্ম আর আমার পুনঃজন্ম নাই।বোধিসত্ত্বের জন্মের সাথে দেবলোক,মারভুবন,ব্রক্ষলোক এবংশ্রমণ ব্রাহ্মণ ও দেব-মনুষ্য সহিত এই পৃথিবীতে দেবগণের দেবানুভাব অতিক্রম করে অপ রিমেয় বিপুল দীপ্তি বিশ্বে প্রাদুর্ভূত হবে।অনন্ত ঘন অন্ধকারাচ্ছন্ন লোকান্তরিক নিরয় যে স্থানে মহাবলশালী চন্দ্র ও সূর্যের কিরণ ও প্রবেশ করতে অক্ষম,সে স্থানেও দেবগণের দেবানুভাব অতিক্রম করে অপরিমেয় বিপুল দীপ্তি প্রাদুর্ভূত হবে।যে সকল প্রানী ঐ স্থানে উৎপন্ন হয়েছে তারাও এই আলোকে পরস্পরকে জানতে সক্ষম হবে ওহে,অন্যান্য প্রাণীও এই স্থানে উৎপন্ন হয়েছে।দশ সহস্র জগৎ সম্পন্ন ব্রক্ষান্ড কম্পিত হবে,প্রকম্পিত হবে,সঞ্চারিত হবে।দেবতাগণের দেবতানুভাব অতিক্রম করে অপরিমেয় বিপুল দীপ্তি বিশ্বে প্রাদুর্ভূত হবে।আর্য মৈত্রেয় বোধিসত্ত্বের জন্মের পর নৈমিত্তিক ব্রাহ্মণ তাকে দেখে তার বত্রিশ মহাপুরুষ লক্ষণের প্রতি আকৃষ্ট হবেন।এই বত্রিশ মহাপুরুষ লক্ষণ সমন্বিত ব্যক্তির মাত্র দুই গতি,অন্য গতি নাই।যদি তিনি গৃহবাসী হন,তাহলে তিনি চক্রবর্তী রাজা হবেন,ধার্মিক ধর্মরাজ চতুরন্ত বিজেতা হন,তার রাজ্য শান্তি দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত হয়,তিনি সপ্ত রত্নের অধিকারী হন,যথা-চক্ররত্ন,হস্তীরত্ন,অশ্বরত্ন,মনিরত্ন,স্ত্রীরত্ন,গৃহপতিরত্ন ও মন্ত্রীরত্ন।তিনি সুর বীর শত্রু সেনা মর্দনক্ষম সহস্রাধিক পুত্র লাভ করেন।তিনি এই সসাগরা পৃথিবী দন্ড ও অস্ত্রবিনা ধর্ম্মানুসারে জয় করে বাস করেন।যদি তিনি গৃহত্যাগ করে প্রবজ্যা আশ্রয় নেন,তাহলে জগতে তিনি মায়াবরণ মুক্ত অর্হৎ সম্যক সম্বুদ্ধ হন।নৈমিত্তিক ব্রাক্ষণদের ভবিষ্যৎ বাণী শুনে বোধিসত্ত্বের পিতা সুব্রক্ষ তাকে যাতে সংসার ত্যাগী সন্ন্যাসী হতে না পারেন তজ্জন্য সচেষ্ট হবেন।তিনি তার ভোগ বিলাসের বিবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
 
==গৃহীজীবন==