বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
AstroPhysics by Ali (আলোচনা | অবদান)
→‎মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব: নতুন অনুচ্ছেদ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
→‎চাঁদ: নতুন অনুচ্ছেদ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৯৭ নং লাইন:
দ্রুতবেগে সম্প্রসারণের ফলে মহাবিশ্বের সবকিছু একে অন্য থেকে দূরত্বে চলে যাচ্ছে। গ্যালাক্সি গুলোর মধ্যকার পারস্পরিক দূরত্ব বেড়ে চলেছে। গ্যালাক্সি গুলো একে অন্য থেকে দুরে চলে যাচ্ছে এ কথা ভুল। বরং গ্যালাক্সির মধ্যকার স্পেস দুরে চলে যাচ্ছে।
একটি কিশমিশ মিশ্রিত কেকের দিকে লক্ষ্য করে দেখুন। কেক গুলো তৈরি করে কিশমিশ গুলো এক সেঃমিঃ পরপর স্থাপন করা হয়েছে। এবার আপনি যখন এটিকে ওভেনে গরম করতে দিবেন, এক ঘণ্টা পর বের করলে দেখবেন কিশমিশ গুলোর দূরত্ব প্রায় তিন সেঃমিঃ হয়ে গেছে। কিভাবে? কিশমিশ গুলো কি তাহলে দুরে সরে গিয়েছে? না, আসলে কিশমিশের মধ্যকার ফাকা জায়গা বা স্পেস দুরে সরে গিয়েছে, মুলতঃ কিশমিশ সরে যায়নি। অর্থাৎ গ্যালাক্সি গুলোর মধ্যকার স্পেস এক্সপ্যান্ড হচ্ছে। [[ব্যবহারকারী:AstroPhysics by Ali|AstroPhysics by Ali]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:AstroPhysics by Ali#top|আলাপ]]) ২২:৩০, ২ মে ২০২০ (ইউটিসি)
 
== চাঁদ ==
 
[[চাঁদ]] পৃথিবীর একমাত্র [[প্রাকৃতিক উপগ্রহ]] এবং সৌর জগতের পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ। পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে চাঁদের কেন্দ্রের গড় দূরত্ব হচ্ছে ৩৮৪,৩৯৯ কিলোমিটার (প্রায় ২৩৮,৮৫৫ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় ৩০ গুণ। চাঁদের ব্যাস ৩,৪৭৪.২০৬ কিলোমিটার (২,১৫৯ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের এক-চতুর্থাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। এর অর্থ দাড়াচ্ছে, চাঁদের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের ৫০ ভাগের ১ ভাগ। এর পৃষ্ঠে [[অভিকর্ষ]] বল পৃথিবী পৃষ্ঠে অভিকর্ষ বলের এক-ষষ্ঠাংশ। [পৃথিবী] পৃষ্ঠে কারও ওজন যদি ১২০ পাউন্ড হয় তা হলে চাঁদের পৃষ্ঠে তার ওজন হবে মাত্র ২০ পাউন্ড। এটি প্রতি ২৭.৩২১ দিনে পৃথিবীর চারদিকে একটি পূর্ণ আবর্তন সম্পন্ন করে। প্রতি ২৯.৫ দিন পরপর চন্দ্র কলা ফিরে আসে অর্থাৎ একই কার্যক্রিয় আবার ঘটে। পৃথিবী-চাঁদ-সূর্য তন্ত্রের জ্যামিতিতে পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের কারণেই চন্দ্র কলার এই পর্যানুক্রমিক আবর্তন ঘটে থাকে।
চাঁদই একমাত্র জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তু যাতে মানুষ ভ্রমণ করেছে এবং যার পৃষ্ঠতলে মানুষ অবতরণ করেছে। প্রথম যে কৃত্রিম বস্তুটি পৃথিবীর অভিকর্ষ অতিক্রম করেছিল এবং চাঁদের কাছ দিয়ে উড়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল তা হল সোভিয়েত ইউনিয়নের লুনা ১। লুনা ২ প্রথবারের মত চাঁদের পৃষ্ঠতলকে প্রভাবান্বিত করেছিল। চাঁদের দূরবর্তী যে অংশটা স্বাভাবিকভাবে লুকায়িত থাকে তার প্রথম সাধারণ ছবি তুলেছিল লুনা ৩ এই তিনটি ঘটনাই সোভিয়েত ইউনিয়নের পরিচালনায় ১৯৫৯ সালে সংঘটিত হয়। ১৯৬৬ সালে লুনা ৯ প্রথমবারের মত চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে এবং লুনা ১০ প্রথমবারের মতো চাঁদের কক্ষপথ পরিক্রমণ করতে সমর্থ হয়। যুক্তরাষ্ট্র এদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে পাল্লা দিতে অ্যাপোলো প্রকল্প শুরু করে। পরে ১৯৬৯ সালে, [[অ্যাপোলো-১১]] অভিযান প্রথমবারের মতো চাঁদে মনুষ্যবাহী নভোযান অবতরণ করাতে সমর্থ হয়। নিল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিনছিলেন প্রথম মানুষ যাঁরা চাঁদে হেঁটেছেন । পরে আরও ১০ মানুষ কেবল চাঁদে হেঁটেছিল। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে ছয়টি নভোযান চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে। [[অ্যাপোলো]] অভিযানের পর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা চাঁদে মানুষ পাঠানোর সকল পরিকল্পনা ত্যাগ করে। ২০০৯ সালে প্রথম দিকে ভারত, [[চন্দ্রযান]] নামে একটি মহাকাশযান চাঁদে পাঠায়। কিন্তু প্রকল্পটি ব্যর্থ হয়। মহাকাশযান চাঁদে পৌঁছার পর পরেই তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু অল্প সময়ে যে তথ্য পাঠিয়েছে তা মানব জাতিকে নতুন করে আশার আলো দেখিয়েছে চাঁদে জীবের অস্তিত্ব থাকার কারণ সেখানে পানির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে৷ তবে ২০১৯ সালের ২২ জুলাই ভারতের ইসরো, [[চন্দ্রযান-২]] নামে পুনরায় একটি মহাকাশযানের সফল উৎক্ষেপণ করে| [[বিশেষ:অবদান/2A03:2880:13FF:15:0:0:FACE:B00C|2A03:2880:13FF:15:0:0:FACE:B00C]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:2A03:2880:13FF:15:0:0:FACE:B00C|আলাপ]]) ১৯:৫৭, ৬ মে ২০২০ (ইউটিসি)