সিলেটি রন্ধনশৈলী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সিলেটি রন্ধনশৈলী হচ্ছে সিলেটিদের খাদ্য সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
"Sylheti cuisine" পাতাটি অনুবাদ করে তৈরি করা হয়েছে
(কোনও পার্থক্য নেই)

০৬:৩৭, ৩০ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সিলেটি রন্ধনশৈলী (সিলেটি: ꠍꠤꠟꠐꠤ ꠞꠣꠘꠗꠣ) মুলত সিলেটিদের খাদ্য সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করে। যার মধ্যে মশলাদার মুরগির টিক্কা মশলা থেকে শুরু করে টক জাতীয় হাতকরা, নুনর বড়া থেকে শুরু মিষ্টান্নজাতীয় তুশা শিন্নি এবং হুটকি শিরা অন্তর্গত। হাতকরা একটি সাধারণ পদ যা মাছ এবং মাংসের সাথে বিভিন্ন খাবার রান্নায় ব্যবহৃত হয়। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, হাতকরা তরকারি ভাত দিয়ে খেতে সবথকে ভালো লাগে।[১] সিলেটিরা মূলত ভাত ও মাছ খাওয়া থাকলেও তাদের রন্ধনশৈলী সিলেটের বহিরাগতদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।[২][৩] বারাক উপত্যকা থেকে সুরমা উপত্যকার বহু সংস্কৃতির লোক,[৪] ও সিলেটি প্রবাসীরা যুগ যুগ প্রচলিত সিলেটি খাবার এবং আস্বাদনকে প্রভাবিত করেছে। এর মধ্যে খাসি, কুকি এবং অন্যান্য উপজাতির রন্ধনশৈলী লক্ষণীয়।[৫] এই অঞ্চলে প্রাপ্ত শাকসবজি এবং পশুপাখির উপর নির্ভর করে সিলেটের রন্ধনশৈলী সমৃদ্ধ হয়েছে। মূলত দেশীয় কিছু বৈচিত্র্য সহ, সিলেটিদের খাদ্য সংস্কৃতি পরিবেশিত হয় যেখানে কিছু বাহ্যিক প্রভাবও রয়েছে। শাহ জালালের ৩৬০জন সফর সঙ্গী এই অঞ্চলে কেবল তাদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিই নিয়ে আসেনি, তাদের নিজস্ব রান্নার স্বতন্ত্র স্টাইলও নিয়ে আসে। যার মধ্যে মুরগী, গরুরমাংস এবং ছাগল দিয়ে রান্না করা মুঘলাই, মধ্য-প্রাচ্য এবং উত্তর ভারতীয় স্টাইলের অনেকগুলি মাংসের খাবার রয়েছে। মুঘলাই পরটা, পোলাও, কোরমা, কালিয়া, রোস্ট, বিরিয়ানী এবং কোফতা তরকারি হিসেবে, এবং জরদা, ফিরনি এবং পায়েস ডেজার্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

ভাত

চাটগাইয়া এবং সিলেটি বাদে বেশিরভাগ বাংলাদেশী সিদ্ধ ভাত খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।[৬][৭][৮][৯][১০] সিলেট অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য ধান হল আউশ, আমান, বোরো, ইরি, বিরইন, কালোজিরা, সোনালী জিরা ইত্যাদি। আলা ভাত (আতপ চাল) সিলেটিদের প্রধান খাদ্য।[১১] এটা কিছুটা চটচটে এবং সুস্বাদু।[১২] সিলেটিরা বিভিন্ন স্বাদের মিষ্টান তৈরিতে আঠালো ভাত পছন্দ করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে সিলেটে উৎপন্ন ধানে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে একই ধরণের ধানের চেয়ে কম আর্সেনিক রয়েছে।[১৩][১৪] বায়োমেডিকাল স্পেকট্রোস্কোপি এবং ইমেজিং জার্নাল অনুসারে, সিলেটি ভাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টিউপাদান সেলেনিয়াম এবং জিঙ্কের পরিমাণ অধিকতর।[১৫] ভারতপাকিস্তানের সুপরিচিত বাসমতী সুগন্ধি চালের তুলনায় বেশ কয়েকটি জাতের সিলেটি সুগন্ধি চালও কম আর্সেনিক দূষিত।[১৬][১৭]

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Mumbai Food: Bangladeshi Dishes Straight From Sylhet At Restaurant In BKC"Mid Day। এপ্রিল ১৪, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২০ 
  2. "The area covered by sylhet division is 12569 km²"coursehero.com। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০২০ 
  3. "A fillet from sylhet"The Statesman (India)। সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২০ 
  4. "In Assam's Barak Valley, insecurities about citizenship drive Bengali Hindus to the BJP"। scroll.in। এপ্রিল ১৫, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০ 
  5. "সিলেটের উপভাষা ও জীবনধারা : ড. শ্যামল কান্তি দত্ত"Bhorer Kagoj। ১৬ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০ 
  6. "আতপ চাল খাওয়ার অভ্যাস কত দিনে হবে?"। Bangla Tribune। ৫ অক্টো ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০ 
  7. "ওএমএসে আতপ চাল পেয়ে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা"। banglanews24.com। ২০ সেপ্টে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০ 
  8. "আতপ চাল, তাই ক্রেতা শূন্য ওএমএসের চালের দোকান"NTV (Bangladesh)। ২০ সেপ্টে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০ 
  9. "চট্টগ্রামসহ দুই বিভাগের জন্য আতপ চাল কিনছে সরকার"The Daily Prothom Alo। ১৩ ফেব্রু ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০ 
  10. "বঙ্গে নতুন উপদ্রপ- আতপ চালের 'নক্তা'"bdnews24.com। ১৯ সেপ্টে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০ 
  11. "চুঙ্গা পিঠা : বাঁশ দিয়ে প্রাতঃরাশ"Sylheter Dak। ২৬ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানু ২০১৮ 
  12. "আমরা যে কারণে পুষ্টিবঞ্চিত"The Daily Prothom Alo। ৫ সেপ্টে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০ 
  13. "Low-Arsenic Rice Discovered in Bangladesh Could Have Major Health Benefits"IOS Press। ফেব্রু ১৮, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০ 
  14. "Low-arsenic rice"। frontline.thehindu.com। ফেব্রু ২০, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০ 
  15. "Scientists find lower arsenic Bangladeshi rice strain"। thehindubusinessline.com। ফেব্রু ১৪, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০ 
  16. "Low-arsenic rice discovered in Bangladesh could have major health benefits"ScienceDaily। ফেব্রু ১২, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০ 
  17. "Low-Arsenic, Super-Nutritious Rice Discovered"Newsmax। ফেব্রু ১২, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০