ইরফান খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
লিঙ্ক সংশোধন
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৪ নং লাইন:
১৯৮৮ সালের [[মীরা নায়ার]] পরিচালিত, [[একাডেমি পুরস্কার]] মনোনীত হিন্দি চলচ্চিত্র [[সালাম বম্বে|সালাম বম্বেতে]] প্রথম অভিনয়ের মাধ্যমে সিনেমায় তিনি পদার্পণ করেন। চলচ্চিত্র জগতে ৩০ বছরের তাঁর দ্যুতিমান যাত্রায় ইরফান খান প্রায় ৫০টির কাছাকাছি [[ভারতের চলচ্চিত্র|দেশী]] ও বহু বিদেশী চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয়ের মাধ্যমে বারবার দর্শকদের বিমুগ্ধ করেন। তাঁর জীবদ্দশায় তিনি [[জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত)|জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]], চারটি বিভাগে [[ফিল্মফেয়ার পুরস্কার]] সহ বহু মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হন। তাঁর বহুমুখ কর্মশক্তিসম্পন্নতা তথা অত্যন্ত সহজাত অভিনয় ক্ষমতার জন্য একাধিক চলচ্চিত্র সমালোচক, সমবয়স্ক শিল্পীগণ ও অন্যান্য বহু সিনে বিশেষজ্ঞরা ইরফান খানকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের একজন অনন্য ও অন্যতম বিশিষ্ট অভিনেতা হিসেবে বারবার মনে করেছেন। ২০০৭ সালের বহু-প্রশংসিত [[মুম্বই]]-কেন্দ্রিক হিন্দি নাট্য-চলচ্চিত্র ''লাইফ ইন আ... মেট্রো'' ছিল তাঁর চলচ্চিত্র জীবনের একটি অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ ছবি। এই চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তিনি [[শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার|শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও]] জেতেন।
[[ব্রিটিশ একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস|বাফটা]] পুরষ্কার-মনোনীত ২০১৩ সালের রোমান্টিক প্রেম চলচ্চিত্র [[দ্য লাঞ্চবক্স|দ্য লাঞ্চবক্সে]] তাঁর অসামান্য অভিনয়, সমালোচক ও দর্শক উভয় শ্রেণীর থেকে প্রচুর প্রশংসা অর্জন করে।
ইরফান খান দীর্ঘ একবছর কঠিন নিউরো এন্ডোক্রিন [[ক্যান্সার|কর্কটরোগ]] রোগে ভুগছিলেন। [[লন্ডন|লন্ডনে]] তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ২৭শে এপ্রিল [[বৃহদন্ত্র|বৃহদন্ত্রে]] ইনফেকশনের জন্য মুম্বইয়ে অবস্থিত কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হলে, ২৯শে এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পূর্বে ইরফান খানের শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র হলো ২০২০ সালের [[আংরেজি মিডিয়াম]]।<br>
 
৩৫ বছরের কর্মজীবনে তিনি ৫০টির অধিক দেশীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, এবং [[শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত)|শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] ও চারটি [[ফিল্মফেয়ার পুরস্কার]]-সহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। চলচ্চিত্র সমালোচক, সমসাময়িক অভিনয়শিল্পী ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা তাকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী বলে গণ্য করে থাকেন। ২০১১ সালে [[ভারত সরকার]] তাকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা [[পদ্মশ্রী]]তে ভূষিত করে।