ইরফান খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ভূমিকা সম্প্রসারণ |
তথ্য সংযোজন। |
||
১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে}}
{{Infobox person
| name = ইরফান খান
| image = Irrfan Khan May 2015.jpg
| image_size =
| caption = ২০১৫ সালে ইরফান খান
| birth_name = সাহেবজাদা ইরফান আলী খান<ref name=irrfan>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Irrfan Khan's Profile |ইউআরএল=http://www.irrfan.com/profile.htm# |সংগ্রহের-তারিখ=১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131208092152/http://www.irrfan.com/profile.htm# |আর্কাইভের-তারিখ=৮ ডিসেম্বর ২০১৩ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
| birth_date = {{
| birth_place = [[জয়পুর]], [[রাজস্থান]], [[ভারত]]▼
▲| death_date = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|df=yes|2020|04|29|1967|01|07}}
| death_cause = [[মলাশয়ের ক্যান্সার|ক্যান্সার জড়িত কারণে মলাশয়ে ইনফেকশন]] (নিউরোএন্ডক্রাইন টিউমার)
▲| death_place = [[মুম্বাই]], [[মহারাষ্ট্র]], ভারত
| spouse = {{বিবাহ|সুতপা সিকদার|১৯৯৫|২০২০|কারণ=মৃত্যু}}▼
| nationality = ভারতীয়
| other_names = লেজেন্ড ইরফান খান
| occupation = চলচ্চিত্র অভিনেতা▼
| alma mater = ''জাতীয় নাট্য বিদ্যালয়'', [[নয়া দিল্লি]]
▲| occupation = চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক
| years_active = ১৯৮৫–২০২০
| children = ২
| awards =
| honours = [[পদ্মশ্রী|পদ্মশ্রী সম্মাননা]]<nowiki> (২০১১ সালে)</nowiki>
}}
'''ইরফান খান''' (৭ জানুয়ারি ১৯৬৭ - ২৯ এপ্রিল ২০২০) ছিলেন একজন খ্যাতিনামা [[বলিউড|ভারতীয় চলচ্চিত্র]] অভিনেতা। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে তিনি তাঁর অতুলনীয় ও অকল্পনীয় সহজাত অভিনয় ক্ষমতার জন্য পরিচিত। বলিউড, ব্রিটিশ ভারতীয়, [[হলিউড]] এবং
১৯৮৮ সালের [[মীরা নায়ার]] পরিচালিত, [[একাডেমি পুরস্কার]] মনোনীত হিন্দি চলচ্চিত্র [[সালাম বম্বেত|সালাম বম্বেতে]] প্রথম অভিনয়ের মাধ্যমে সিনেমায় তিনি পদার্পণ করেন। চলচ্চিত্র জগতে ৩০ বছরের তাঁর দ্যুতিমান যাত্রায় ইরফান খান প্রায় ৫০টির কাছাকাছি [[ভারতের চলচ্চিত্র|দেশী]] ও বহু বিদেশী চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয়ের মাধ্যমে বারবার দর্শকদের বিমুগ্ধ করেন। তাঁর জীবদ্দশায় তিনি [[জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত)|জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]], চারটি বিভাগে [[ফিল্মফেয়ার পুরস্কার]] সহ বহু মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হন। তাঁর বহুমুখ কর্মশক্তিসম্পন্নতা তথা অত্যন্ত সহজাত অভিনয় ক্ষমতার জন্য একাধিক চলচ্চিত্র সমালোচক, সমবয়স্ক শিল্পীগণ ও অন্যান্য বহু সিনে বিশেষজ্ঞরা ইরফান খানকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের একজন অনন্য ও অন্যতম বিশিষ্ট অভিনেতা হিসেবে বারবার মনে করেছেন। ২০০৭ সালের বহু-প্রশংসিত [[মুম্বই]]-কেন্দ্রিক হিন্দি নাট্য-চলচ্চিত্র ''লাইফ ইন আ... মেট্রো'' ছিল তাঁর চলচ্চিত্র জীবনের একটি অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ ছবি। এই চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তিনি [[শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার|শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও]] জেতেন।
[[ব্রিটিশ একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস|বাফটা]] পুরষ্কার-মনোনীত ২০১৩ সালের রোমান্টিক প্রেম চলচ্চিত্র [[দ্য লাঞ্চবক্স|দ্য লাঞ্চবক্সে]] তাঁর অসামান্য অভিনয়, সমালোচক ও দর্শক উভয় শ্রেণীর থেকে প্রচুর প্রশংসা অর্জন করে।
ইরফান খান দীর্ঘ একবছর কঠিন নিউরো এন্ডোক্রিন [[ক্যান্সার|কর্কটরোগ]] রোগে ভুগছিলেন। [[লন্ডন|লন্ডনে]] তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ২৭শে এপ্রিল [[বৃহদন্ত্র|বৃহদন্ত্রে]] ইনফেকশনের জন্য মুম্বইয়ে অবস্থিত কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হলে, ২৯শে এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পূর্বে ইরফান খানের শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র হলো ২০২০ সালের [[আংরেজি মিডিয়াম]]।
৩৫ বছরের কর্মজীবনে তিনি ৫০টির অধিক দেশীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, এবং [[শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত)|শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] ও চারটি [[ফিল্মফেয়ার পুরস্কার]]-সহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। চলচ্চিত্র সমালোচক, সমসাময়িক অভিনয়শিল্পী ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা তাকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী বলে গণ্য করে থাকেন। ২০১১ সালে [[ভারত সরকার]] তাকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা [[পদ্মশ্রী]]তে ভূষিত করে।
বলিউডে তার অভিষেক ঘটে [[একাডেমি পুরস্কার|শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কার]] মনোনীত ''[[সালাম বম্বে!]]'' (১৯৮৮) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। এরপর কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি নাট্যধর্মী ''হাসিল'' (২০০৩) ও ''মকবুল'' (২০০৪) চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে অভিনয় করে সমাদৃত হন এবং প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য [[শ্রেষ্ঠ খল অভিনয়শিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার]] অর্জন করেন। ''[[লাইফ ইন আ... মেট্রো]]'' (২০০৭) চলচ্চিত্রটির সফলতা তার কর্মজীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় এবং এই কাজের জন্য তিনি প্রশংসিত হন ও [[শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার]]সহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেন। ক্রীড়া নাট্যধর্মী ''[[পান সিং তোমার (চলচ্চিত্র)|পান সিং তোমার]]'' (২০১১) চলচ্চিত্রে [[পান সিং তোমার]]ের ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি সমাদৃত হন এবং [[শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত)|শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] ও [[শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার]] অর্জন করেন। শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে [[বাফটা পুরস্কার]] মনোনীত ''[[দ্য লাঞ্চবক্স]]'' (২০১৩) চলচ্চিত্রে তার অভিনয় বৈশ্বিক সমালোচক ও দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করে। এরপর তিনি আরও কয়েকটি ব্যবসাসফল ও সমাদৃত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, সেগুলো হল ''[[হায়দার (চলচ্চিত্র)|হায়দার]]'' (২০১৪), ''[[পিকু (চলচ্চিত্র)|পিকু]]'' (২০১৫), ''[[তালবার (চলচ্চিত্র)|তালবার]]'' (২০১৫), ও ''[[ব্ল্যাকমেইল (২০১৮-এর চলচ্চিত্র)|ব্ল্যাকমেইল]]'' (২০১৮)। তার অভিনীত সর্বোচ্চ আয়কারী হিন্দি চলচ্চিত্র হল হাস্যরসাত্মক নাট্যধর্মী ''[[হিন্দি মিডিয়াম]]'' (২০১৭), এটি ভারত ও চীনে স্লিপার হিট তকমা লাভ করে। এই কাজের জন্য তিনি [[শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার]]সহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেন।
|