শান্তিপুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Satyanarayan Goswami (আলোচনা | অবদান)
→‎ইতিহাস ও সংস্কৃতি: সম্প্রসারণ, সংশোধন
৬৪ নং লাইন:
 
== ইতিহাস ও সংস্কৃতি ==
নদীয়ার শান্তিপুর একটি সুপ্রাচীন ও ঐতিহাসিক [[গঙ্গা নদী|গঙ্গা]] (সুরধনী) তীরবর্তী জনপদ। প্রায় হাজার বছরের প্রাচীন এই জনপদ বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতির পীঠস্থান ও বিখ্যাত তাঁত শিল্পের সূতিকাগার। মহাপুরুষ [[চৈতন্য মহাপ্রভু]]<nowiki/>র শিক্ষাগুরু [[অদ্বৈত আচার্য]]<nowiki/>র সাধনপীঠ শান্তিপুর স্টেশনের নিকটবর্তী বাবলা গ্রামে।গ্রামে বলে কেউ কেউ মনে করেন ।যদিও অদ্বৈত মহাপ্রভুর আদি বাড়ি শান্তিপুর শহরের দক্ষিণে গঙ্গা গর্ভে বিলীন বলে গবেষকদের অভিমত। চৈতন্যদেব, নিত্যানন্দ মহাপ্রভু ও অদ্বৈতাচার্যের মিলন ঘটেছিল এই বাবলায়।শান্তিপুরে। সন্ন্যাস গ্রহণের পর এখানেইএই শান্তিপুরেই চৈতন্যের সঙ্গে দেখা হয়েছিল শচীমায়ের। অদ্বৈতাচার্যের বংশেই জন্ম আরেক বৈষ্ণবসাধক [[বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী]]<nowiki/>র। তারও স্মৃতিমন্দির রয়েছে শান্তিপুরে। শান্তিপুরের কাছে বাগয়াচড়ায়হরিপুর গ্রামে কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের পৈত্রিক বাসভূমি এবং শান্তিপুর মিউনিসিপাল স্কুলের পাশে কবি [[করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়]] ও [[ফুলিয়া]]<nowiki/>য় আদি কবি [[রামায়ণ]] রচয়িতা [[কৃত্তিবাস ওঝা]]<nowiki/>র জন্মস্থান। অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতাব্দীর কবিগানের একজন বাধনদার [[সাতু রায়]] এর বাড়িও শান্তিপুর। এছাড়া শান্তিপুরের [[রাস যাত্রা|রাসযাত্রা]] জগৎ বিখ্যাত এবং দোলযাত্রা, সূত্রাগড় জগদ্ধাত্রী পূজা, হরিপুরের রামনবমী[[ধূলোটঅদ্বৈত প্রভুর জন্মতিথি মাঘি সপ্তমী বা মাকড়ি সপ্তমী, বৈশাখ মাসের শেষে রবিবার মুসলিম সম্প্রদায়ের গাজী মিয়ার বিয়ে এখানকার উল্লেখযোগ্য উৎসব]] জগৎ বিখ্যাতপরব<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.vikaspedia.in/education/9b69bf9b69c1-9859999cd9979a8/9aa9b69cd99a9bf9ae9ac9999cd9979c7-9ac9c79be9a89b0-99c9be9979be/9a49c09b09cd9a59b89cd9a59be9a8/9b69be9a89cd9a49bf9aa9c19b0|শিরোনাম=শান্তিপুর|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|প্রকাশক=বিকাশপিডিয়া|সংগ্রহের-তারিখ=২২.০১.১৭ |ভাষা=en}}</ref>। অদ্বৈতপাড়ায়বড়গোস্বামী অদ্বৈতবাড়ি প্রভুরসহ মন্দিরবিভিন্ন গোস্বামী বাড়ি ও গোকুলচাঁদের আটচালা মন্দির, [[চৈতন্য মহাপ্রভু|চৈতন্যদেবের]] ষড়ভূজ মূর্তি এবং মথুরেশ প্রতিষ্ঠিত বড় গোস্বামী বাড়িতে হাজার বছরের প্রাচীন কষ্টি পাথরের রাধারমণ বিগ্রহ (শান্তিপুরের বিখ্যাত রাস উৎসব এই রাধারমন বিগ্রহকে কেন্দ্র করেই সূচনা হয়) এবং অদ্বৈত মহাপ্রভু আনীত নেপালের গণ্ডকী নদী থেকে প্রাপ্ত নারায়ণ শিলা বর্তমান।
 
তন্ত্রসিদ্ধ কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের বংশধর শান্তিপুরে [[দক্ষিণাকালী]]মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন; তিনিযা একটি দালান-মন্দিরে দেবী ''আগমেশ্বরী'' নামে অধিষ্ঠিত। পটেশ্বরীতলায় আছেন দেবী ''পটেশ্বরী'' (চার-পাঁচশো বছর আগে তান্ত্রিক সাধকরা রাসপূর্ণিমাতে পঞ্চমুণ্ডির আসন স্থাপন করে তার উপর বৃহৎ বৃহৎ পটে আঁকা দক্ষিণাকালীমূর্তি 'পটেশ্বরী'র পূজা করতেন; পরে বারোয়ারি পূজা প্রবর্তিত হলে রাসোৎসবে পটেশ্বরী কালীমূর্তির শোভাযাত্রা শুরু হয়)। এছাড়া এখানে ''মহিষখাগী'', ''শ্যামাচাঁদুনী'', ''ঘাটচাঁদুনী'', ''বিল্বেশ্বরী'', ''সিদ্ধেশ্বরী'' প্রভৃতি লোকায়ত কালীমূর্তি অধিষ্ঠিতা আছেন।
 
মতিগঞ্জ-বেজপাড়ায় অষ্টাদশ শতকের গোড়ার দিকে প্রতিষ্ঠিত নিপুণ হাতের পোড়ামাটির কারুকাজযুক্ত ''জলেশ্বর শিবমন্দির'' বিদ্যমান। বউবাজার পাড়ায় আছে দক্ষিণাকালীর ''পঞ্চরত্ন মন্দির''।