ইস্তিকলাল মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অনুবাদ সম্পন্ন |
রচনাশৈলী |
||
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ধর্মীয় ভবন|name=ইস্তিকলাল মসজিদ|native_name=Istiqlal džamija|religious_affiliation=[[ইসলাম]]|image=
== কার্যক্রম ==
৭ নং লাইন:
১৯৯৫ সালের মার্চে [[বসনিয়ার যুদ্ধ|যুদ্ধ বিধ্বস্ত]] বসনিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আলিয়া ইজেতবেগভিচের আমন্ত্রণে ইন্দোনেশিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি [[সুহার্তো]] ভ্রমণে আসলে তিনি ইন্দোনেশিয়ার পক্ষ থেকে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার জনগণের জন্য উপহার সরূপ এই মসজিদ নির্মাণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সুহার্তো তার প্রশাসনের মাধ্যমে এই মসজিদ নির্মাণের জন্য যাবতীয় কার্ক্রম পরিচালনা করেন। মসজিদের স্থাপত্য নকশা প্রণয়ন ও নির্মাণকাজ তত্ত্বাবধনের জন্য তিনি ইন্দোনেশিয়ার প্রখ্যাত [[স্থাপত্যবিদ্যা|স্থাপত্যবিদ]] ফৌজান নু'মানকে নিয়োগ করেছিলেন। ফৌজান ইতোপূর্বে ইন্দোনেশিয়ায় বাটাম গ্র্যান্ড মসজিদ, রাষ্ট্রপতির কার্যালয় মারদেকা প্রাসাদের বাইতুর-রহিম মসজিদ এবং পূর্ব জাকার্তার আত-তীন মসজিদ নির্মাণে ভূমিকা রাখেন।
১৯৯৫ সালে ইস্তিকলাল মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯৯৮ সালে সুহার্তো সরকারের পতনের কারণে মসজিদের নির্মাণকাজ সাময়িকভাবে স্থগিত ছিল। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মসজিদের নির্মাণকাজ সম্পন্ন ও উদ্বোধন করা হয়।<ref name="Deplu" />{{wide image|Istiqlal Mosque, Otoka, Sarajevo.jpg|450px|ইস্তিকলাল মসজিদের একটি পূর্ণ চিত্র|align-cap=center|Height=120px}}
== স্থাপত্য ==
ইস্তিকলাল মসজিদের স্থাপত্যে নকশায় ইন্দোনেশিয়ার স্থাপত্যরীতির প্রত্যক্ষরূপ দেখা যায়। মসজিদটি ইসলামী স্থাপত্যরীতির উত্তরাধুনিক দৃষ্টিভঙ্গীর অনন্য নিদর্শন। মসজিদের সম্মুখভাগ, জানালা ও খিলানসমূহের নকশায় সাধারণ জ্যামিতিক আদর্শ অনুসরণ করা হয়েছে। জানালা, খিলানসমূহ নিষ্কলুষ [[ইস্পাত]], [[অ্যালুমিনিয়াম|অ্যালুমেনিয়াম]] ও কাঁচ দ্বারা নির্মিত হয়েছে। মসজিদের বহিরাবরণ সাদা টাইলে আবৃত, ভিতরের দেয়াল, বিশেষ করে [[মিহরাব]], [[মিম্বর]] এবং জানালার চৌকাঠ ইন্দোনেশিয়ার কাঠের খোদাই করা ফুলের অলংকরণে সজ্জিত।<ref name="IslamFinder" />
সারায়েভোর পশ্চিমে ওটোকায় ২,৮০০ বর্গমিটার নির্মিত মসজিদটি সারায়েভোর বৃহত্তম মসজিদগুলির মধ্যে অন্যতম এবং এটির অবস্থান আশেপাশের এলাকা হতে সহজে সনাক্ত করা যায়। মসজিদের একমাত্র গম্বুজটি তামাটে রঙের। গম্বুজটি ২৭ মিটার উচ্চতা ও ২৭ মিটার ব্যস বিশিষ্ঠ। জাকার্তার আত-তীন মসজিদের ন্যায় ইস্তিকলাল মসজিদের গম্বুজটির মাধ্যমে মসজিদের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক আলো প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার জন্য গম্বুজটি চারদিকে তিনটি আনুভূমিক চক্রাকার জানালা রয়েছে। মসজিদের প্রধান প্রবেশ দরজার দুইপাশে, ইরানের আইয়ান স্থাপত্য নকশা অনুযায়ী দুইটি ৪৮ মিটার উচ্চতার মিনার রয়েছে। গম্বুজ এবং দ্বৈত মিনারগুলির অগ্রভাগটি তিনটি গোলক শোভিত রয়েছে যার উপরে তারা এবং অর্ধচন্দ্র যুক্ত আছে। মসজিদটি ইন্দোনেশিয়া এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার মধ্যে বন্ধুত্ব এবং সংহতির প্রতিনিধিত্ব করে, তাই মিনার দুইটি দুই জাতির প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
== তথ্যসূত্র ==
{{প্রবেশদ্বার|ইসলাম}}
[[বিষয়শ্রেণী:উইকিউপাত্তে স্থানাঙ্ক আছে]]
|