উসুলে ফিকহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ বানান সংশোধন |
অ বানান সংশোধন |
||
৪৩ নং লাইন:
উসুলে ফিকহের উতস মুলঃ
কুরান-সুন্নাহ উসুলে ফিকহের মুল উতস,
উসুলে ফিকহের শুরুর ইতিহাস ও রচনা শুরুঃ
৫৩ নং লাইন:
উসুলে ফিকহের উতপত্তিঃ
ইলমে ফিকাহ যতদিনের পুরাতন শাস্ত্র ঠিক তেমনি ইলমে উসুলে ফিকহও ততদিনের পুরানো,
একঃ নবুওয়াত-যুগঃ
৭৯ নং লাইন:
তৃতীয় কায়েদাঃ
একই বিষয়ে যদি দুইটি পরস্পর বিরোধি নস পাওয়া যায় এবং তাদের মধ্যে কে অগ্রবর্তী আর কোনটি পরবর্তী তা নিশ্চিতভাবে জানা থাকে তাহলে এখানে পরবর্তী নসকে “নাসেখ” ধরা হবে আর পুর্ব্বর্তী নস “মানসুখ” হয়ে যাবে। যদি নস দুইটির কালিক অবস্থান জানা না যায় তাহলে উভয়ের মাঝে সম্বনয় সাধানের চেষ্টা করা হবে,
স্বামীর ইন্তেকালের পর গর্ভবতী স্ত্রীর ইদ্দত পালনের মাসয়ালাঃ
৯২ নং লাইন:
আয়াতটিকে মানসুখ করে দিয়েছে।
অন্যান্য সাহাবীগনের মন্তব্য হচ্ছে এই যে, উভয় আয়াতের মাঝে সম্বনয় সাধন করা হবে এইভাবে যে স্বামীর মৃত্যুর পরে স্ত্রীর ইদ্দের সময়কাল হবে দুরবর্তী সময়, অর্থাৎ ৪ মাস ১০ দিন আর প্রসাবের মধ্যে যে সময়টি অধিক সময়ের হবে সেই সময় পর্যন্ত তার ইদ্দত চলবে ।
চতুর্থ কায়েদাঃ
এক ধরনের বিষয়কে ইল্লতের ভিত্তিতে এক করে তার বিধান নির্ণয় করা হয়েছে। এই উদাহরন হিসাবে মদ্যপের হদ্দের মাসালা উল্লেখ করা যায়ঃ হযরত আলী থেকে বর্নিত যে তিনি হযরত উমর ফারুক রাঃ কে বলেনঃ “মানুষ মদ পান করার পরে মাতাল হয়ে পরে, আর মাতাল হলে আবল- তাবল বকতে থাকে, আর আবল-তাবল বলায় অবস্থায় অন্যকে অপবাদ দিয়ে থাকে আর অন্যকে অপবাদ দিলে তার উপর ৮০ দোরররা লাগানো হয়”। যখন হযরত উমর রঃ তার কাছে মদ্যপের হদ্দের ব্যাপারে জানতে চাইলেন,
পঞ্চম কায়েদাঃ
অনেক সময় সাহাবায়ে কেরাম শুধুমাত্র “মাসলাহা” কে কোন বিধান বা হুকুমের ভিত্তি বানিয়ে সমাধান প্রদান করেছেন, যেমন, একজন শ্রমিক যে কাজ করছে যদি সেই কাজে সে কোন ক্ষতি করে ফেলে তাহলে সে তার ক্ষতিপুরন দিতে বাধ্য থাকবে কি না, হযরত আলীর মতে দিতে বাধ্য থাকবে,
"لا يصلح الناس إلا ذاك" ।
অর্থঃ “এছাড়া অন্য কিছু মানুষের উপযুক্ত হবে না”।
১৩৩ নং লাইন:
আস-সিয়ার আল-কাবির
আস-সিয়ার আস-সাগির
জাহির-রিওয়াহ নাম করনের
ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম বাকির রাঃ এর আলোচনা নিচে উল্লেখ করা হলঃ
১৫৫ নং লাইন:
এক পর্যায়ে যখন আহলে-রায় ও আহলে হাদিসের মধ্যে ইখতিলাফ দেখা দিল, ইজতিহাদের যোগ্য না এমন ব্যক্তির মাধ্যমে ইজতিহাদ হতে শুরু হল, তখন এমন কিছু কায়েদা-মুলনীতির তীব্র প্রয়োজন দেখা দিল যার মাধ্যমে ইজতিহাদ নিয়ন্ত্রিত হবে। সেই প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে ইমাম শাফেয়ী রাঃ উসুলে ফিকহের বিষয়ে প্রথম কিতাব রচনা করেন। ইমাম শাফেয়ীর ফিকাহ সম্পর্কিত কিতাব “আল-উম্ম” এর ভুমিকায় যে রিসালা যোগ করেছেন তার ছিল মুলত উসুলে ফিকহ বিষয়ক আলোচনা।
উসুলে ফিকহ সংকলনঃ
ধারনা করা যায় যে, ইলমে উসুলে ফিকহ প্রাথমিক পর্যায়ে ফকিহদের আলোচনাতে সাধারন কায়েদা হিসাবে প্রকাশ পায়,
আর-রিসালাহ এর সার-সংক্ষেপঃ
ইমাম শাফেয়ী রাঃ উসুলে ফিকহের বাব-ফসল অর্থাৎ বিভিন্ন মাসালা ও অধ্যায় একত্রিত করেন, তিনি কিতাবুল্লাহ, সুন্নাতে রাসুল নিয়ে আলোচনা করেন, এবং তিনি দেখান সেখান থেকে মাসালা উদ্ঘাটন করার পথ-পদ্ধতি, কুরান-হাদিসের পরস্পর সম্পর্ক। কুরান-হাদিসের শাব্দিক অর্থ অর্থাৎ আম-খাস, মুশতারাক-মুজমাল-মুফাসসাল, নিয়ে আলোচনা করেন, ইজমা, ইজমার হাকিকত, কিয়াস, ইস্তিহসান নিয়ে তিনি এমনভাবে আলোচনা করেন যেভাবে তার পুর্বে আর কাউকে আলোচনা করতে দেখা যায়নি। এইভাবে বলা যায় যে, ইমাম শাফেয়ী রাঃ উসুলে ফিকহের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। এই ক্ষেত্রে ইমাম শাফেয়ী ছিলেন প্রথম পথিক, কিংবা এতটুকু বলা যায় যে, তিনি এই পথের প্রথম পথিক না হলে অন্য কারো রচনা আমাদের হাতে এসে পৌছেনি। এর অর্থ এই না যে, ইমাম মালিকের “মুয়াত্তা” ইমাম আবু হানিফার চেয়ে ইমাম শাফেয়ী এগিয়ে গেছেন, অন্যান্য ইমামদের মৌলিক অবদান থাকা স্বত্বেও ইমাম শাফেয়ীকে এই ক্ষেতে অগ্রগণ্য ধরা হয়
উসুলে ফিকাহের গবেষণা-রচনা পদ্ধতিঃ
১৬৪ নং লাইন:
দুইঃ হানাফি পদ্ধতি
প্রথম পদ্ধতিঃ শাফেয়ী পদ্ধতিঃ
শাফী, মালিকি ও হামবালী মাজহাবের অধিকাংশ আলেম এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন, তাই এই পদ্ধতিকে “জুমহুর” আলেমের পদ্ধতিও বলা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট এই যে এখানে উসুলকে ফিকাহ থেকে আলাদা করে গবেষণা করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে উসুলকে ফুরুর সাথে সম্পৃক্ত না রেখে তাত্ত্বিক ভাবে শুধুমাত্র মুলনীতি (উসুল) নিয়েই আলোচনা হয়েছে। উসুলকে সাব্যস্ত করা হয়েছে এতে ফুরুর সাথে উসুলের মিল থাকুক বা না থাকুক সেই দিকে মনোযোগ প্রদান করা হয়নি। এই পদ্ধতিকে “মুতাকাল্লিমিনদের” পদ্ধতি আখ্যা দেওয়া হয়েছে
এই পদ্ধতির কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট হচ্ছেঃ
১৭৬ নং লাইন:
- ফুরুর আলোচনা শুধুমাত্র উসুলের উদাহরন হিসাবে বা বিশদ ব্যাখ্যার কারণে এসেছে”
দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ হানাফী পদ্ধতিঃ
এই পদ্ধতিতে উসুলের আলোচনা করা হয়েছে মুলত ফুরুর ভিত্তিতে, অর্থাৎ পুর্ব্ববর্তী মুজতাহিদের ফাতওয়া-মাসায়িল সামনে রেখে সেখান থেকে তাদের ইসতিমবাতের কায়েদা বা মুলনীতি উদ্ঘাটন করার চেষ্ঠা করা হয়েছে।
এই পদ্ধতির বিশেষ বৈশিষ্ট নিম্মরুপঃ
- এখানে প্রয়োগিক ইজতিহাদের মুলনীতি উল্লেখ করা হয়েছে
১৮৬ নং লাইন:
উভয় পদ্ধতির একটি মুলনীতির উদাহরনঃ
মুতাকাল্লীম ও হানাফী পদ্ধতির পার্থক্য উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মাঝে বিদ্যমান পার্থক্য নিম্মের উদাহরনের মাধ্যমে স্পষ্ট করার চেষ্টা করা হলঃ
প্রত্যেক নামাজের জন্যে শারিয়াতে একটি দীর্ঘ সময় নির্ধারন করা হয়েছে, এবং নামাজ ওয়াজিব হওয়ার সাবাব বা
{أقم الصلاة لدلوك الشمس}[21]
অর্থঃ “নামাজ কায়েম কর সুর্য হেলে পরার সময়”।
|