উসুলে ফিকহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
৪৩ নং লাইন:
 
উসুলে ফিকহের উতস মুলঃ
কুরান-সুন্নাহ উসুলে ফিকহের মুল উতস, কারনকারণ এই দুই উতস থেকেই মুজতাহিদগণ ইসলামী বিধি-বিধান ইসতিমবাত করার পথ-পদ্ধতি সম্পর্কে ধারনা লাভ করেছেন। কুরান-সুন্নাহের পরে আসে আরবী ভাষার গুরুত্ব, যেহেতু কুরান-হাদিস আরবী ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর প্রামানিক ও প্রয়োগিক ব্যাখ্যাও আরবীতেই হয়েছে সেজন্য আরবী ভাষার সাধারণ নিয়ম-কানুন ও ব্যকরান জ্ঞানের বিস্তারিত আলোচনা যেমনঃ আম-খাস, সরিহ-কিনায়াহ, মুতলাক-মুকাইয়াদ, হাকিকত-মাযাজ, মানতুক-মাফহুম ইত্যাদি ভাষা-সংক্রান্ত বিষয় উসুলে ফিকহের মৌলিক আলোচনা হিসাবে গন্য হয়েছে।
 
উসুলে ফিকহের শুরুর ইতিহাস ও রচনা শুরুঃ
৫৩ নং লাইন:
 
উসুলে ফিকহের উতপত্তিঃ
ইলমে ফিকাহ যতদিনের পুরাতন শাস্ত্র ঠিক তেমনি ইলমে উসুলে ফিকহও ততদিনের পুরানো, কারনকারণ এটা যুক্তি সম্মত নয় যে, ফিকহের মাসালা উদ্ঘাটন করার পদ্ধতি সম্পর্কে ধারনা ছাড়াই (ইসতিম্বাতে মাসায়িল) ফিকাহ শাস্ত্র অস্তিত্ব লাভ করবে। তবে উসুলে ফিকাহ একদিনে আজকের অবস্থানে এসে পৌছেনি, বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য স্তর অতিক্রম করে উসুলে ফিকাহ এই অবস্থায় এসে পৌছেছে। তাই আমরা যখন উসুলে ফিকাহের ইতিহাত নিয়ে আলোচনা করি তখন আমাদেরকে সেই স্তর বা পর্ব নিয়ে আলোচনা করতে হয়। সেই হিসাবে আমরা বলতে পারি উসুলে ফিকাহ নিচে বর্নিত যুগ বা স্তর অতিক্রম করে আজকের অবস্থানে এসে পৌছেছেঃ
 
একঃ নবুওয়াত-যুগঃ
৭৯ নং লাইন:
 
তৃতীয় কায়েদাঃ
একই বিষয়ে যদি দুইটি পরস্পর বিরোধি নস পাওয়া যায় এবং তাদের মধ্যে কে অগ্রবর্তী আর কোনটি পরবর্তী তা নিশ্চিতভাবে জানা থাকে তাহলে এখানে পরবর্তী নসকে “নাসেখ” ধরা হবে আর পুর্ব্বর্তী নস “মানসুখ” হয়ে যাবে। যদি নস দুইটির কালিক অবস্থান জানা না যায় তাহলে উভয়ের মাঝে সম্বনয় সাধানের চেষ্টা করা হবে, কারনকারণ যেহেতু উভয়ের মর্যাদা এক স্থরের তাই একটিকে বাদ দিয়ে আরেকটির উপর আমল করার যুক্তিকতা নেই। এর উদাহরন হিসাবে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের ইস্তিম্বাত পেশ করা যেতে পারে।
 
স্বামীর ইন্তেকালের পর গর্ভবতী স্ত্রীর ইদ্দত পালনের মাসয়ালাঃ
৯২ নং লাইন:
আয়াতটিকে মানসুখ করে দিয়েছে।
 
কারনকারণ বাকারার আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, স্বামীর মৃত্যুর পরে স্ত্রীর ইদ্দতের সময়সীমা হচ্ছে ৪ মাস ১০ দিন, চাই স্ত্রী গর্ভবতী হোক অথবা গর্ভবতী না হোক, আর সুরা তালাকের আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, গর্ভবতী স্ত্রী ইদ্দত পালন করবে সন্তান প্রসাব করা পর্যন্ত, চাই তার ইদ্দতের কারনকারণ স্বামীর ইন্তেকাল হয়ে থাক বা অন্য কোন কারনকারণ হয়ে থাক, (অর্থাৎ তালাক দিয়ে থাক)
 
অন্যান্য সাহাবীগনের মন্তব্য হচ্ছে এই যে, উভয় আয়াতের মাঝে সম্বনয় সাধন করা হবে এইভাবে যে স্বামীর মৃত্যুর পরে স্ত্রীর ইদ্দের সময়কাল হবে দুরবর্তী সময়, অর্থাৎ ৪ মাস ১০ দিন আর প্রসাবের মধ্যে যে সময়টি অধিক সময়ের হবে সেই সময় পর্যন্ত তার ইদ্দত চলবে ।
 
চতুর্থ কায়েদাঃ
এক ধরনের বিষয়কে ইল্লতের ভিত্তিতে এক করে তার বিধান নির্ণয় করা হয়েছে। এই উদাহরন হিসাবে মদ্যপের হদ্দের মাসালা উল্লেখ করা যায়ঃ হযরত আলী থেকে বর্নিত যে তিনি হযরত উমর ফারুক রাঃ কে বলেনঃ “মানুষ মদ পান করার পরে মাতাল হয়ে পরে, আর মাতাল হলে আবল- তাবল বকতে থাকে, আর আবল-তাবল বলায় অবস্থায় অন্যকে অপবাদ দিয়ে থাকে আর অন্যকে অপবাদ দিলে তার উপর ৮০ দোরররা লাগানো হয়”। যখন হযরত উমর রঃ তার কাছে মদ্যপের হদ্দের ব্যাপারে জানতে চাইলেন, কারনকারণ হযরত উমরের ধারণা হচ্চিল যে, মানুষ মদ পানে থেকে বেচে থাকার ব্যাপারে শিথীলতা দেখাচ্ছে। এই ধরনের ইস্তিম্বাতকে উসুলের পরিভাষায় “কিয়াস” বলা হয়ে থাকে।
 
পঞ্চম কায়েদাঃ
অনেক সময় সাহাবায়ে কেরাম শুধুমাত্র “মাসলাহা” কে কোন বিধান বা হুকুমের ভিত্তি বানিয়ে সমাধান প্রদান করেছেন, যেমন, একজন শ্রমিক যে কাজ করছে যদি সেই কাজে সে কোন ক্ষতি করে ফেলে তাহলে সে তার ক্ষতিপুরন দিতে বাধ্য থাকবে কি না, হযরত আলীর মতে দিতে বাধ্য থাকবে, কারনকারণ এই বাধ্যকতা না থাকলে শ্রমিকেরা অন্যেক জিনিস নিয়ে অবহেলা দেখাবে, হযরত আলীর বক্তব্যঃ
"لا يصلح الناس إلا ذاك" ।
অর্থঃ “এছাড়া অন্য কিছু মানুষের উপযুক্ত হবে না”।
১৩৩ নং লাইন:
আস-সিয়ার আল-কাবির
আস-সিয়ার আস-সাগির
জাহির-রিওয়াহ নাম করনের কারনকারণ এই যে, এই কিতাবগুলো তার নির্ভরযোগ্য ছাত্রদের থেকে বর্নিত হয়েছে, তাই এই কিতাবগুলো তার থেকে প্রমানিত “তাওয়াতুর” বা মাশহুরের সাথে। এই যুগে মাসয়ালার তাখরীজ, ফকিহদের ইস্তিদলাল-ইস্তিম্বাত-মুনাকাশায় মাধ্যমে উসুলে-ফিকহের পরিধি সম্প্রসারিত হতে শুরু করে।
 
ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম বাকির রাঃ এর আলোচনা নিচে উল্লেখ করা হলঃ
১৫৫ নং লাইন:
এক পর্যায়ে যখন আহলে-রায় ও আহলে হাদিসের মধ্যে ইখতিলাফ দেখা দিল, ইজতিহাদের যোগ্য না এমন ব্যক্তির মাধ্যমে ইজতিহাদ হতে শুরু হল, তখন এমন কিছু কায়েদা-মুলনীতির তীব্র প্রয়োজন দেখা দিল যার মাধ্যমে ইজতিহাদ নিয়ন্ত্রিত হবে। সেই প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে ইমাম শাফেয়ী রাঃ উসুলে ফিকহের বিষয়ে প্রথম কিতাব রচনা করেন। ইমাম শাফেয়ীর ফিকাহ সম্পর্কিত কিতাব “আল-উম্ম” এর ভুমিকায় যে রিসালা যোগ করেছেন তার ছিল মুলত উসুলে ফিকহ বিষয়ক আলোচনা।
উসুলে ফিকহ সংকলনঃ
ধারনা করা যায় যে, ইলমে উসুলে ফিকহ প্রাথমিক পর্যায়ে ফকিহদের আলোচনাতে সাধারন কায়েদা হিসাবে প্রকাশ পায়, কারনকারণ দেখা যায় যে, একজন ফকিহ যখন তার ফতওয়া উল্লেখ করতেন তখন তার সাথে এর দলিল, এবং এই দলিল থেকে এই মাসায়ালা উদ্ঘাটনের পদ্ধতির দিকে ইঙ্গিত করতেন, আবার দুই ফকিহের মাঝে কখনো ইখতিলাফ দেখে দিলে উভয়ে তার বক্তব্যকে বিভিন্ন উসুল দ্বারা প্রমান করার চেষ্ঠ করতেন। তবে সর্বপ্রথম কে এই উসুলে ফিকহের রচনা শুরু করেন এই ব্যাপারে গবেষকদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে, যেমন কারো মতে উসুলে ফিকহের গোড়া পত্তন করেন ইমাম জাফর সাদিক, আবার কারো মতে ইমাম আবু হানিফার বিশিষ্ট ছাত্র আবু ইউসুফ, কিন্তু এদের কারো রচনাই আমাদের হাতে পৌছে নি। তাই অধিকাংশ গবেষক আলেমদের মত এটাই যে উসুলে ফিকহ নিয়ে প্রথম রচনা শুরু করেন ইমাম শাফেয়ী রাঃ।
আর-রিসালাহ এর সার-সংক্ষেপঃ
ইমাম শাফেয়ী রাঃ উসুলে ফিকহের বাব-ফসল অর্থাৎ বিভিন্ন মাসালা ও অধ্যায় একত্রিত করেন, তিনি কিতাবুল্লাহ, সুন্নাতে রাসুল নিয়ে আলোচনা করেন, এবং তিনি দেখান সেখান থেকে মাসালা উদ্ঘাটন করার পথ-পদ্ধতি, কুরান-হাদিসের পরস্পর সম্পর্ক। কুরান-হাদিসের শাব্দিক অর্থ অর্থাৎ আম-খাস, মুশতারাক-মুজমাল-মুফাসসাল, নিয়ে আলোচনা করেন, ইজমা, ইজমার হাকিকত, কিয়াস, ইস্তিহসান নিয়ে তিনি এমনভাবে আলোচনা করেন যেভাবে তার পুর্বে আর কাউকে আলোচনা করতে দেখা যায়নি। এইভাবে বলা যায় যে, ইমাম শাফেয়ী রাঃ উসুলে ফিকহের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। এই ক্ষেত্রে ইমাম শাফেয়ী ছিলেন প্রথম পথিক, কিংবা এতটুকু বলা যায় যে, তিনি এই পথের প্রথম পথিক না হলে অন্য কারো রচনা আমাদের হাতে এসে পৌছেনি। এর অর্থ এই না যে, ইমাম মালিকের “মুয়াত্তা” ইমাম আবু হানিফার চেয়ে ইমাম শাফেয়ী এগিয়ে গেছেন, অন্যান্য ইমামদের মৌলিক অবদান থাকা স্বত্বেও ইমাম শাফেয়ীকে এই ক্ষেতে অগ্রগণ্য ধরা হয় কারনকারণ তার পুর্ব্বর্তীদের সময়ে তাদভীন বা রচনার সুগোগ তখনও সৃষ্টি হয়নি। আবার ইমাম শাফেয়ীর ব্যাপারে এই বলা যায় না যে, তিনি এই বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বা সর্ব দিকে নিয়ে আলোচনা করেছেন, এমন না বরং ইমাম শাফেয়ির পরেও এমন অনেক আলেম এসেছেন যারা উসুলে ফিকাহতে অনেক নতুন বিষয়ের সংযুক্তি করেছেন।
 
উসুলে ফিকাহের গবেষণা-রচনা পদ্ধতিঃ
১৬৪ নং লাইন:
দুইঃ হানাফি পদ্ধতি
প্রথম পদ্ধতিঃ শাফেয়ী পদ্ধতিঃ
শাফী, মালিকি ও হামবালী মাজহাবের অধিকাংশ আলেম এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন, তাই এই পদ্ধতিকে “জুমহুর” আলেমের পদ্ধতিও বলা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট এই যে এখানে উসুলকে ফিকাহ থেকে আলাদা করে গবেষণা করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে উসুলকে ফুরুর সাথে সম্পৃক্ত না রেখে তাত্ত্বিক ভাবে শুধুমাত্র মুলনীতি (উসুল) নিয়েই আলোচনা হয়েছে। উসুলকে সাব্যস্ত করা হয়েছে এতে ফুরুর সাথে উসুলের মিল থাকুক বা না থাকুক সেই দিকে মনোযোগ প্রদান করা হয়নি। এই পদ্ধতিকে “মুতাকাল্লিমিনদের” পদ্ধতি আখ্যা দেওয়া হয়েছে কারনকারণ এই পদ্ধতিতে যারা গবেষণা করেছেন তাদের বেশির ভাগই ছিলেন ইলমে কালামে পারদর্শি বা বিশেষজ্ঞ আলেম। তাই উসুলের আলোচনাতে তারা কালামের আলোচনার ধারায় আলাচনা করেছেন বলে স্পষ্ট লক্ষ্য করা যায়, যেমন তাদের আলোচনাতে “আকলি-তাহসিন”, “আকলি-তাকবিহ”, ইবাদাত ছাড়া অন্যান্য আহকাম মুয়াল্লাল বা উদ্দেশ্যের সাথে এসেছে বা তার কারনকারণ আমাদের বোধগম্য ইত্যাদি বিষয় উসুলে সন্নিবেশিত হয়েছে। এভাবে ইলমে-কালামের প্রভাবে উসুলে ফিকহের মধ্যে এমন অনেক বিষয় এসে পরেছে যার সম্পর্ক মোটেও উসুলের সাথে থাকার কথা ছিল না। উদাহরন হিসাবে “আল-মুসতাসফা” কিতাবের কথা উল্লেখ করা যায়। ইমাম গাজালী রাঃ তার এই কিতাবে কিতাবুল্লাহর ভুমিকাতে মানতিক, বুরহান নিয়ে প্রায় ৫০ পৃষ্ঠা আলোচনা করেছেন, এরপর কিতাবের বিভিন্ন স্থানে এমন অনেক আলোচনা করেছেন যার শুরুতে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে এই আলোচনা উসুলে ফিকহের সাথে সম্পর্ক রাখে না তবে তিনি প্রয়োজনের খাতিরে আলোচনার অবতারনা করেছেন। এই পদ্ধতির একটি বড় বৈশিষ্ট এই যে, এখানে উসুলকে কখনো ফুরুর অনুগত করার চেষ্ঠা করা হয়নি, বরং উসুলের আলোচনাতে মাজহাবের মাসালা বা ফতওয়ার দিকে কোন খেয়াল না করে শুধুমাত্র উসুলের দিকেই খেয়াল রাখা হয়েছে।
 
এই পদ্ধতির কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট হচ্ছেঃ
১৭৬ নং লাইন:
- ফুরুর আলোচনা শুধুমাত্র উসুলের উদাহরন হিসাবে বা বিশদ ব্যাখ্যার কারণে এসেছে”
দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ হানাফী পদ্ধতিঃ
এই পদ্ধতিতে উসুলের আলোচনা করা হয়েছে মুলত ফুরুর ভিত্তিতে, অর্থাৎ পুর্ব্ববর্তী মুজতাহিদের ফাতওয়া-মাসায়িল সামনে রেখে সেখান থেকে তাদের ইসতিমবাতের কায়েদা বা মুলনীতি উদ্ঘাটন করার চেষ্ঠা করা হয়েছে। কারনকারণ হানাফী মাজহাবের মুজতাহিদ আলেমগন ইসতিমবাতের বিশেষ কোন পথ-পদ্ধতি লিপিবদ্ধ করে যাননি, তাই তাদের পরবর্তী আলেমগন তাদের ইজতিহাদ করা মাসায়িল থেকে, কিসের ভিত্তিতে তারা (পুর্ব্বর্তীগন) এই ফতওয়া দিয়েছিলেন তার ভিত্তি পেশ করতে চেয়েছেন এবং এর মাধ্যমে তাদের মুলনীতি উল্লেখ করতে চেয়েছে।
এই পদ্ধতির বিশেষ বৈশিষ্ট নিম্মরুপঃ
- এখানে প্রয়োগিক ইজতিহাদের মুলনীতি উল্লেখ করা হয়েছে
১৮৬ নং লাইন:
উভয় পদ্ধতির একটি মুলনীতির উদাহরনঃ
মুতাকাল্লীম ও হানাফী পদ্ধতির পার্থক্য উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মাঝে বিদ্যমান পার্থক্য নিম্মের উদাহরনের মাধ্যমে স্পষ্ট করার চেষ্টা করা হলঃ
প্রত্যেক নামাজের জন্যে শারিয়াতে একটি দীর্ঘ সময় নির্ধারন করা হয়েছে, এবং নামাজ ওয়াজিব হওয়ার সাবাব বা কারনকারণ এই ওয়াক্ত। যেমন উদাহরন স্বরুপ যুহরের নামাজের সময় বেলা ১২ টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তবে এখন প্রশ্ন হল ওয়াক্তের কোন অংশ নামাজ ওয়াজিব হওয়ার সাবাব বা কারন।কারণ। মুতাকাল্লীমদের মতে নামাজ ওয়াজিব হওয়ার সাবাব ওয়াক্তের প্রথম অংশ, এর প্রমান হিসাবে তারা কুরানের আয়াত পেশ করে থাকেনঃ
{أقم الصلاة لدلوك الشمس}[21]
অর্থঃ “নামাজ কায়েম কর সুর্য হেলে পরার সময়”।