সাধারণ পূর্বপুরুষ ও বিবর্তনের প্রমাণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ বানান সংশোধন |
প্রলয়স্রোত (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
৭৯ নং লাইন:
ভেগাস স্নায়ু থেকে স্বরযন্ত্রের দূরত্ব মাত্র কয়েক ইঞ্চি, তাই ভেগাস স্নায়ু থেকে সরাসরী স্বরযন্ত্রে এ স্নায়ু আসাটাই সবচেয়ে সহজ যৌক্তিক পথ হত, কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে প্রায় ১ ফুটের কাছাকাছি দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এই স্নায়ু স্বরযন্ত্রে বিস্তৃত হয়। মানুষের ক্ষেত্রে ৩ ফুট অতিরিক্ত পথ এ স্নায়ুকে পাড়ি দিতে হলেও জিরাফের ক্ষেত্রে তার লম্বা ঘাড়ে এ স্বরযন্ত্রের স্নায়ুকে পাড়ি দিতে হয় {{রূপান্তর|4|m|ft|abbr=on}} লম্বা পথ।
স্বরযন্ত্রের স্নায়ুর এ দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার রহস্য উন্মোচিত হয়ে যায়, যখন এর বিবর্তনীয় পটভূমিকে বুঝা যায়। মেরুদন্ডী প্রাণীর পূর্বপুরুষ মাছে এ স্নায়ু [[ব্র্যাঙ্কিয়াল আর্চ]] থেকে নিচে নেমে আসে; সব মেরুদন্ডী প্রানীদের প্রাথমিক পর্যায়ের মাছ সদৃশ ভ্রুণে এই স্নায়ুটি ৬নং ব্র্যাঙ্কিয়াল আর্চ এর রক্তনালীর পাশাপাশি উপর থেকে নিচে নেমে আসে। এটি অপেক্ষাকৃত বড় ভ্যাগাস স্নায়ুর একটি শাখা, যা মস্তিষ্ক থেকে পেছনের দিক দিয়ে নিচে নেমে আসে এবং পুর্ণবয়স্ক মাছের শরীরে এটি সেই একই অবস্থানেই থাকে, যা মস্তিষ্ককে ফুলকার সাথে যুক্ত করে পানি পাম্প করে বের করে দেবার জন্য সহায়তা করে। স্তন্যপায়ীদের বিবর্তনের সময়, ৫ম ব্রাঙ্কিয়াল আর্চ এর রক্ত নালী অপসৃত হয়ে যায়, ৪র্থ এবং ৬ষ্ঠ আর্চ থেকে রক্তনালীগুলো নিচে নেমে আসে ভবিষ্যতের শরীরের উপরের অংশ বুকে, যেখানে তারা মহাধমনী বা অ্যাওর্টা এবং একটি লিগামেন্ট এর পরিনত হয়, যে লিগামেন্টটি অ্যাওর্টা আর পালমোনারী আর্টারীকে সংযুক্ত রাখে। কিন্তু স্বরযন্ত্রের স্নায়ু তখনো ৬ নং আর্চের পেছনে, সেই ভ্রুণতাত্ত্বিক কাঠামোর সাথে সংযুক্তাবস্থায় থাকতে হয়, যা পরবর্তীতে স্বরযন্ত্র তৈরী করে এবং সেই সব কাঠামোর সাথে যাদের অবস্থান মস্তিষ্কের কাছাকাছি। যখন ভবিষ্যৎ মহাধমনী পেছন দিকে বিবর্তিত হয় হৃৎপিন্ডর দিকে, স্বরযন্ত্রের স্নায়ুও বাধ্য হয় এর সাথে সাথে পেছনের দিকে সরে যেতে, অনেক বেশি উপযোগী হতো যদি এটি মহাধমনীকে পাশ কাটিয়ে যেত, প্রথমে ভেঙ্গে এর পর আবার যুক্ত হয়ে আরো সরাসরি একটি পথ বেছে নিতে, কিন্তু প্রাকৃতিক নির্বাচন সেটা করতে পারেনি, কোন স্নায়ুকে কেটে আবার পরে সুবিধামত জোড়া লাগিয়ে দেবার ধাপটি আসলে ফিটনেস কমিয়ে দেয়। পেছন দিক বরাবর অ্যাওর্টার বিবর্তনের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে ল্যারিনজিয়াল নার্ভ অনেক লম্বা এবং রিকারেন্ট বা যে দিক থেকে এটি নিচে নামে আবার সেই পথে এটি ঘুরে উপরে উঠে যায় তার গন্তব্যে। এবং সেই বিবর্তনীয় ধাপটির পুণরাবৃত্তি হয় ভ্রুণতাত্ত্বিক বিকাশের সময়, কারণ ভ্রুণ হিসাবে স্তন্যপায়ী প্রাণক্রা পুর্বসুরী মাছের মত বিন্যাস এর স্নায়ু এবং রক্তনালী নিয়ে যাত্রা শুরু
====ভাস ডিফারেন্সের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির শিকড়====
|