উইকিপিডিয়া:আলাপ পাতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
2A03:2880:23FF:C:0:0:FACE:B00C-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে ZI Jony-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{PGen}}
{{Guideline|WP:TP|WP:TALKPAGE}}
 
:''এই পাতায় আলাপ পাতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ব্যবহারকারী পাতার জন্য দেখুন: [[উইকিপিডিয়া:ব্যবহারকারীর পাতা]]।''
আশুমহন শেখ ভূস্বামী ও দানবীর
:''এই বিষয়ে আরো তথ্যের জন্য দেখুন: [[উইকিপিডিয়া:আলাপ পাতার নির্দেশাবলী]]।''
{{clear}}
 
উইকিপিডিয়ার প্রায় প্রতিটি পাতার একটি '''আলাপ পাতা''' (এটি '''আলোচনা পাতা''' বা '''আলোচনা''' নামেও পরিচিত) রয়েছে। আলাপ পাতা হচ্ছে কোনো নিবন্ধ বা অন্য কোনো পাতার জন্য, ঐ নিবন্ধ বা পাতার উন্নয়নের উদ্দেশ্যে সম্পাদকদের আলোচনাস্থান। আলাপ পাতাগুলোর নাম সংশ্লিষ্ট নিবন্ধ নামের মতোই। শুধু [[উইকিপিডিয়া:নামস্থান|নামস্থান]] হিসেবে নিবন্ধের বা পৃষ্ঠার নামের আগে ''আলাপ'' বা ''আলোচনা'' সংযুক্ত থাকে।
==জন্ম== আনুমানিক সপ্তদশ শতাব্দীতে তৎকালিন ব্রিটিশ ভারতের খুলনা জেলার বর্তমান তেরখাদা উপজেলার আটলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
 
উদাহরণস্বরূপ, ''[[অস্ট্রেলিয়া]]'' নামক একটি পাতা আছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া দেশটির সম্মন্ধে আলোচনা করা হয়েছে। সেই একটি অন্য একটি পাতা ''[[আলাপ:অস্ট্রেলিয়া]]'' রয়েছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া নিবন্ধটির সম্ভাব্য উন্নয়নের জন্য সম্পাদকগণ আলোচনা করেন।
==বংশ পরিচয়== যতোদুর লোকমুখে শোনা যায় তার পূর্ব পুরুষগন ব্যবসায়ের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান কুয়েত থেকে এদেশে এসেছিলেন এবং এ অঞ্চলে দেশীয় মেয়ে বিবাহ করে এখানে স্হায়ী হন। তাহারা মূলত মধ্যপ্রাচ্যের শেখ।
 
ব্যবহারকারী পৃষ্ঠাগুলোরও আলাপ পাতা রয়েছে (যেমন: ''[[ব্যবহারকারী:Wikitanvir]]'')। এই পাতাগুলোও আলোচনার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। তবে এই আলোচনা নিবন্ধ সম্পর্কিত নাও হতে পারে। এটি ব্যবহৃত হয় আপনার সাথে অন্য ব্যবহারকারীদের আলোচনার উদ্দেশ্যে। যখন কেউ আপনার সাথে যোগাযোগ করতে চায় তখন সে [[Special:mytalk|আপনার আলাপ পাতায়]] মন্তব্য বা প্রশ্ন রাখতে পারেন। আপনার আলাপ পাতায় কেউ প্রশ্ন বা মন্তব্য রাখলে বা আপনি ব্যতীত কেউ কোনো পরিবর্তন করলে আপনাকে না একটি বার্তা দিয়ে জানানো হবে। আপনি সে সময় উইকিপিডিয়াতে লগইন করা অবস্থায় না থাকলে, পরবর্তীতে লগইন করার পর আপনাকে বার্তা দিয়ে উক্ত পরিবর্তন সম্পর্কে অবহিত করা হবে।
==বসতি স্থাপন== অতীতে বৃহত্তর খুলনা অঞ্চল সুন্দরবনের অংশ ছিলো। খুলনা জেলার উওর অংশে তুলনামূলক লবণাক্ততা কম থাকায় এবং মাছের প্রপ্যতা বেশি হওয়ায় পাশাপাশি এখানের জমি উচ্চ হওয়ার জন্য আশুমহন শেখ এর পূর্বপুরুষেরা বন পরিষ্কার করে আটলিয়া গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। উল্লেখ্য আশুমহন শেখ এর পরিবার এ অঞ্চলের প্রথম মুসলিম পরিবার।
 
ব্রিটিশ লর্ড এর দরবারে আশুমহন শেখ সম্পাদনা
 
তৎকালিন খুলনা'র উওরাঞ্চল নড়াইল জমিদারির আওতাধীন ছিলো। এবং তৎকালিন সময়ে ব্রিটিশ লর্ড এর কার্যালয়ে প্রদীপের জ্বালানি হিসেবে ঘি ব্যবহার করা হতো। সূর্যাস্ত আইন অনুযায়ী সকল জমিদারগন কলকাতাতে জমিদারির খাজনা নির্দিষ্ট দিনে সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বে ব্রিটিশ লর্ড এর কার্যালয়ে জমা দিতেন। একবার ব্রিটিশ লর্ড নড়াইল এর জমিদার এর নিকট খাজনা বাবদ সাতচল্লিশ কলশী ঘি দিতে বলেন। নড়াইল এর জমিদার নিরুপায় হয়ে আশুমহন শেখ এর স্মরনাপন্ন হন। আশুমহন শেখ নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে সাতচল্লিশ কলশী ঘি নিয়ে নৌকা যোগে নড়াইল জমিদার বাড়ি হাজির হন। অথপর নড়াইল জমিদার ঘি সমেত আশুমহন শেখ কে সাথে নিয়ে কলকাতা গমন করেন। অথপর লর্ড সাহেব এতো ঘি যোগাড় করার রহস্য জানতে চাইলে জমিদার আশুমহন শেখ এর ব্যপারে লর্ড সাহেব কে বলেন। লর্ড সাহেব কৌতূহলী হয়ে আশুমহন শেখ কে এতো ঘি কি ভাবে যোগাড় করলে জানতে চাইলেন। জবাবে আশুমহন শেখ বল্লেন মাই লর্ড এ সকল ঘি আমার নিজস্ব গরুর দুধ থেকে প্রস্তুত করা। লর্ড সাহেব আরো কৌতূহলী হয়ে বল্লেন তোমার কতগুলো গরু আছে, জবাবে আশুমহন শেখ বল্লেন মাই লর্ড আমার কতগুলো গরু আছে তা গরুর রশি না গুনে বলা সম্ভব নয়। আর ছোট বাছুর যে কতো আছে তা বলা সম্ভব নয়। শুনে লর্ড সাহেব বল্লেন তোমার গরু রাতের বেলা রাখো কোথায়? জবাবে আশুমহন শেখ বল্লেন জঙ্গলে । একথা শোনার পর ব্রিটিশ লর্ড আশুমহন শেখ কে গরু রাখার জন্য একশো একর জমি প্রদান করেন, যা আজো আশুমহন শেখ এর গো-চর নামে রেকর্ড কৃত।
 
সমাজ সেবা ও দানশীলতা সম্পাদনা
 
তৎকালিন সময়ে এ অঞ্চলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা ব্যবস্থা বলতে যা ছিলো তা কেবল মাত্র মক্তব।মক্তবের মাধ্যমে মানুষ ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করতো। এমত অবস্থায় মুসলিম শিক্ষা বিস্তারের জন্য আশুমহন শেখ এর জামির উপরে উওর খুলনার সবচেয়ে বড় আলিয়া মাদ্রাসা "আটলিয়া আলিয়া মাদ্রাসা " প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে আশুমহন শেখ এর জমির উপরে একটা গুচ্ছ গ্রাম, একটা ঈদগাহ ( আটলিয়া ঈদগাহ) , আটলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আটলিয়া বাজার, তিনটা পুকুর , তিনটা খেলার মাঠ, অসংখ্য মসজিদ , দুইটা কবরস্থান রয়েছে।
 
মেজবানি সম্পাদনা
 
আশুমহন শেখ এর একবার মনোবাসনা হলো তিনি এখানকার মানুষকে পেটপুরে তিন বেলা খাবার খেতে দিবেন। তার ইচ্ছা অনুযায়ী বৃহত্তর খুলনা, বৃহত্তর ষশোর এর পূর্বাংশ, বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলার দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল এবং বর্তমানে বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট অঞ্চলের সকল হাট বাজারে ঢোল পিটিয়ে মেজবানির দাওয়াত দেওয়া হলো। সময় নির্ধারণ হল পূর্ণিমার তিথির পূর্ব দিন।স্থান নির্বাচন করা হলো কাটাখালী নদী কুল ঘেষা আটলিয়া গ্রামের খানে-খোদা নামক স্থানে। নির্দিষ্ট দিনে আনুমানিক দুই শত গরু, হাজার টি খাসি, প্রায় দশ হাজার কলশী দই দিয়ে মেজবানি আয়োজন করা হলো। মেজবানি প্রায় তিন মাস তেরদিন স্থায়ী হলো।ধারনা করা হয় মেজবানিতে প্রায় তিন থেকে পাঁচ লক্ষ লোকের সমাগম হয়েছিলো। মেজবানিতে আগোত লোকজন কে মাটির মালশা তে খাবার ও মাটির পাত্রে পানি পরিবেশন করা হয়েছিলো। খানে-খোদা নামক স্থানে খনন করলে এখনো সেই মেজবানির মালশা ও মাটির তৈরী পানি পানের পাত্র পাওয়া যায়।
 
কুরবানী তে গরু জবেহ করার রেওয়াজ সম্পাদনা
 
অত্র এলাকা হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চল হওয়ার কারনে এখানকার এবং তাদের বাধার দরুন সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান কুরবানী'র ঈদে গরু জবেহ করতে পারতেন না। আশুমহন শেখ নড়াইল এর জমিদার এর নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে এ এলাকায় সর্বপ্রথম কুরবানী'র ঈদে গরু জবেহ করার রেওয়াজ চালু করেন।
 
মসজিদ নির্মাণ সম্পাদনা
 
এখানে মুসলিম জনসংখ্যা কম হওয়ায় অত্র এলাকায় মসজিদ ছিলো না। আশুমহন শেখ এখানে সর্ব প্রথম মসজিদ নির্মাণ করেন। যা অষ্টাদশ শতকের শুরুতে নির্মিত এবং উওর খুলনা'র প্রথম মসজিদ।
 
ধান চাষাবাদে সহায়তা সম্পাদনা
 
কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ার কারনে এখানকার মানুষ জমি চাষাবাদের জন্য লাঙল ও গরুর সহায়তা নিতো। আশুমহন শেখ এর অসংখ্য গরু থাকায় তিনি গরিব চাষিদের বিনা অর্থে চাষাবাদ ও ধান মাড়াই করার জন্য গরু দিতেন।
 
মৃত্যু সম্পাদনা
 
এ সমাজ সেবক ও দানবীর আনুমানিক অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে মৃত্যু বরন করেন এবং তাকে আটলিয়া তে তার বসতি বাড়ি এবং অষ্টাদশ শতকে প্রতিষ্ঠিত মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়।
 
== গুরুত্বপূর্ণ টীকা ==