আতশবাজি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সংশোধন, সম্প্রসারণ, তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন, অনুবাদ, চিত্র, বিষয়বস্তু যোগ, বানান সংশোধন, অনুলিপি সম্পাদনা |
||
৯ নং লাইন:
'''তুবড়ীর ভাগ'''
সোরা- ষোলো ভাগ, লোহাচূর - দশ ভাগ, গন্ধক- তিন ভাগ, কাঠকয়লা - চার ভাগ
{{Multiple image |direction=vertical |align=right |width=260|header='''''আতশবাজি'''''|image3=Taipei101fireworks.jpg|image4=2013 Fireworks on Eiffel Tower 49.jpg|caption1=Fireworks over [[Port Jackson|Sydney Harbour]] on [[Sydney New Year's Eve 2006–07|New Year's Eve 2006–07]].|caption2=Fireworks closer view at [[Lunar New Year]] celebration in New York, 2003|caption3=২০০৫ সালে আয়োজিত হয় তাইওয়ানের তাইপে ১০১ এর সুউচ্চু দালানে এক বিশাল আতশবাজি প্রদর্শনী। যা ছিল পৃথিবীর প্রথম আকাশচুম্বী অট্টালিকা থেকে আতশবাজি প্রদর্শনী।|caption4=2013 ফ্রান্সের প্যারিসে [[Bastille Day]] এর আতশবাজি প্রদর্শনী।}}
'' 'আতশবাজি' ''
মূলত চারটি প্রাথমিক রূপ আছে আতশবাজি্র, যথা: শব্দ, আলো, ধোঁয়া এবং ভাসমান উপকরণ। এগুলি রঙিন শিখা যেমন লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, বেগুনি এবং সিলভার সহ নানান রঙের ঝলক (বৈদ্যুতিক স্পার্কের ন্যায়) সৃষ্টি করতে সক্ষম। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী, খেলা এবং বহু সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আতশবাজির ব্যবহার হয়।
২৩ ⟶ ২১ নং লাইন:
[[File:RoyalFireworks.jpg|thumb|left|1749 সালে ইংল্যান্ডের লন্ডন, [[টেম্স নদী]]-এর পাড়ে রাজকীয় আতশবাজি প্রদর্শনীর একটি নকশাকাটা কাপড়ের চিত্র]]
[[File:A firework display for Muḥammad Sháh, portrayed seated and leaning against a bolster..jpg|thumb|right|মুহাম্মদ শাহের জন্য একটি আতশবাজি প্রদর্শনী]]
[[File:Preparing Firework.jpg|thumb|
আতশবাজীর শুরুটা চীন থেকেই।.<ref>Gernet, Jacques (1962). ''Daily Life in China on the Eve of the Mongol Invasion, 1250–1276''. Translated by H.M. Wright. Stanford: Stanford University Press. Page 186. {{ISBN|0-8047-0720-0}}.</ref> নানান অনুষ্ঠানে চীনাদের আতসবাজির ব্যাবহার করার প্রমান রয়েছে।<ref name="temple-r">Temple, Robert K.G. (2007). ''The Genius of China: 3,000 Years of Science, Discovery, and Invention'' (3rd edition). London: André Deutsch, pp. 256–266. {{ISBN|978-0-233-00202-6}}</ref> ধীরে ধীরে আতশবাজি কেন্দ্রিক শিল্প গুলো স্বাধীন পেশায় পরিনত হতে থাকে এবং এই পেশায় সংশ্লিষ্টদের সম্মানের চোখে দেখা
হান রাজবংশ চলাকালীন (২০২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ - ২২০ খ্রিস্টাব্দ), লোকেরা উচ্চ শব্দ সহ একটি বিস্ফোরণ তৈরি করতে বাঁশের কান্ডকে আগুনের মধ্যে ছুঁড়ে মারত।<ref name=frcrk/> পরবর্তী সময়ে, বারুদ ব্যবহার করা হতো এসব শব্দ তৈরি করার জন্য।<ref name=frcrk/> এই বিস্ফোরিত বাঁশের ডাল "বাওঝু" (爆竹) বা or ''বোগান'' (爆竿)নামে পরিচিত ছিল এবং যা বিনিময়যোগ্য ছিল। <ref name=frcrk/> সম্ভবত দ্বাদশ এবং সম্ভবত একাদশ শতাব্দীর মধ্যে '' বাওঝাং '' (爆 仗) শব্দটি বিশেষত আতশবাজী দেখাতেন যারা তাদের বোঝাতে ব্যবহৃত হতো।<ref name=frcrk>{{cite book|first=Joseph|last=Needham|year=1986|publisher=[[Cambridge University Press]]|title=Science and Civilisation in China, Volume 5: Chemistry and Chemical Technology, Part 7: Military Technology: The Gunpowder Epic|isbn=0-521-30358-3|page=128–131}}</ref>
৩৪ ⟶ ২৯ নং লাইন:
সং রাজবংশীয় আমলে (৯৬০-১২৭৯) ক্রেতা সাধারণ আতশবাজি বাজার থেকেই কিনতে পারতেন বলে নিদর্শন পাওয়া গেছে।.<ref name="gernet1962">Gernet, Jacques (1962). ''Daily Life in China on the Eve of the Mongol Invasion, 1250–1276''. Translated by H.M. Wright. Stanford: Stanford University Press, pp. 186. {{ISBN|0-8047-0720-0}}.</ref> ১১১০ সনে সং সম্রাট “সম্রাট হুইজং” তার রাজদরবারে বিশাল এক আতশবাজির প্রদর্শনির আয়োজন করেছিলেন বলে ইতিহাসবিদেরা বর্ণনা করেন।<ref name="kelly2004">Kelly, Jack (2004). ''Gunpowder: Alchemy, Bombards, and Pyrotechnics: The History of the Explosive that Changed the World''. New York: Basic Books, Perseus Books Group, page 2.</ref> ১২৬৪ সালের এক নথি প্রমান করে যে “সম্রাজ্ঞী দোয়াগের” –এর সম্মান স্বরূপ তার পুত্র সং সম্রাট লিজং এক ভোজনের দাওয়াতে রকেটের আদলে বানানো একটি আতশবাজির প্রদর্শন করেন, যা সম্রাজ্ঞী দোয়াগের কে চমকে দেয়। <ref>Crosby, Alfred W. (2002), ''Throwing Fire: Projectile Technology Through History''. Cambridge: Cambridge University Press. {{ISBN|0-521-79158-8}}. Pages 100–103.</ref> যুদ্ধের ক্ষেত্রে রকেট হিসাবে ব্যবহার সাধারণ ছিল, যেমনটি হিউলংজিং লিউ বোয়েন (১৩১১–১৩৭৫) এবং জিয়াও ইউ দ্বারা সংকলিত (ফ্লা.সি. ১৩৫০–১৪১২) দ্বারা প্রমাণিত।<ref>Needham, Volume 5, Part 7, 489–503.</ref> ১২৪০ সালে আরবরা চীন থেকে বন্দুক এবং তার ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছিল। হাসান আল-রম্মাহ নামে একজন সিরিয়ান রকেট, আতশবাজি এবং ইত্যাদি সম্পর্কিত ঘটনা নিয়ে লিখেছিলেন। তিনি আতশাবজিকে “চীনা ফুল” হিসাবে প্রকাশ করেন।<ref name="temple-r"/><ref name="kellyj">Kelly, Jack (2004). ''Gunpowder: Alchemy, Bombards, & Pyrotechnics: The History of the Explosive that Changed the World''. Basic Books, page 22. {{ISBN|0-465-03718-6}}.</ref>
আতশবাজি ১৪’শ শতকে ইউরোপে প্রস্তুত শুরু হলেও তা জনপ্রিয় হয়ে উঠে ১৭’হ শতকে।<ref name=Ullmann>{{Ullmann|author=T. T. Griffiths, U. Krone, R. Lancaster|title=Pyrotechnics|year=2017|doi=10.1002/14356007.a22_437.pub2}}</ref><ref name="ssec">[https://web.archive.org/web/20160106154801/https://ssec.si.edu/stemvisions-blog/evolution-fireworks "The Evolution of Fireworks"], Smithsonian Science Education Center. ssec.si.edu.</ref><ref name="werret-181"/> পিটার দ্য গ্রেট এর রাষ্ট্রদূত লেভ ইজমেলভ একবার চীন থেকে রিপোর্ট করেছিলেন যে, "তারা এমন আতশবাজি তৈরি করতে সক্ষম যা ইউরোপের কেউ কখনও দেখেনি।"<ref name="werret-181">{{cite book|last=Werrett|first=Simon|title=Fireworks: Pyrotechnic arts and sciences in European history|year=2010|publisher=The University of Chicago Press|location=Chicago|isbn=978-0-226-89377-8|page=181}}</ref> 1758 সালে, জেসুইট ধর্মপ্রচারক পিয়ের নিকোলাস লে চেরন ডি'আইঙ্কারভিলি যিনি সেই সময়ে বেইজিং এ বসবাস করতেন, তিনি প্যারিস অফ সায়েন্সেস বইটিতে লিখেছেন কীভাবে বিভিন্ন ধরণের চাইনিজ আতশবাজি তৈরি করা হত ঐ সময়ে, যা লেখার পাঁচ বছর পরে প্রকাশিত হয়।<ref name="werret-183">{{cite book|last=Werrett|first=Simon|title=Fireworks: Pyrotechnic arts and sciences in European history|year=2010|publisher=The University of Chicago Press|location=Chicago|isbn=978-0-226-89377-8|page=183}}</ref><ref name="werret-183"/> অ্যামাডি-ফ্রেঞ্চোইস ফ্রেজিয়ার তার সংশোধিত রচনা ''Traité des feux d'artice pour le spectacle '' (ফায়ার ফায়ারসে ট্রিটসিস) ১৭৪৭ সালে প্রকাশ করেছিলেন,<ref name=werret-144>{{cite book|last=Werrett|first=Simon|title=Fireworks: Pyrotechnic arts and sciences in European history|year=2010|publisher=The University of Chicago Press|location=Chicago|isbn=978-0-226-89377-8|pages=144–145}}</ref> যাতে আতশবাজিকে তাদের সামরিক ব্যবহারের চেয়ে বিনোদনমূলক এবং আনুষ্ঠানিক কাজে বেশি ব্যবহারের প্রমান মেলে। আইস-লা-চ্যাপেলের শান্তি চুক্তি উদযাপনের জন্য ১৭৪৯ সালে, জর্জ ফ্রিডেরিক হ্যান্ডেল রচনা করেন ''মিউজিক ফর রয়েল ফায়ারওয়ার্ক্স'', যা আগের বছর, ১৭৪৮ এ বছর ঘোষণা করা হয়েছিল।
''উনিশ শতক এবং আধুনিক রসায়ন আবিষ্কারের পূর্বে আতশবাজি ছিল তুলনামূলক নিস্তেজ এবং মৃদু।''
==আতশবাজিতে ব্যাবহৃত উপাদান==
আতশবাজির গুলিতে রঙগুলি সাধারণত '' 'পাইরোটেকনিক স্টার' '' দ্বারা উত্পন্ন হয় – বলে এদের 'স্টার (তারা)' বলে ডাকা হয় - যা জ্বললে তীব্র আলো তৈরি করে। তারার মধ্যে পাঁচটি মৌলিক ধরণের উপাদান রয়েছে.
* একটি '''জ্বালানী'''
* একটি '''অক্সাইড'''—এমন একটি যৌগ যা জ্বালানীর সাথে যুক্ত হয়ে উচ্চ মাত্রায় তাপ উৎপাদন করতে পারে
* '''রঙ'''- প্রডাক্টিং সল্ট (যেহেতু জ্বালানীর নিজিস্ব রঙ নেই)
* একটি ''' মোড়ক''' যা সব গুলো উপাদানকে একসাথে ধরে রাখতে সক্ষম।
আরও কিছু সাধারণ পাইরোটেকনিক কলারেন্ট (রঙ-উত্পাদনকারী যৌগ) এখানে সারণীযুক্ত রয়েছে। ফায়ারওয়ার্কে ব্যবহৃত যৌগের রঙ, একই রঙের শিখা পরীক্ষা এর বর্ণের মতো হবে। রঙিন শিখা তৈরি করে এমন যৌগই কিন্তু আতশবাজির রঙ করার ক্ষেত্রে উপযুক্ত নয়। তবে আইডিয়াল কালারান্টগুলি খাঁটি, তীব্র বর্ণের সৃষ্টি করতে সক্ষম।
স্পার্ক (অগ্নিস্ফুলিঙ্গ) এর রঙ লাল / কমলা, হলুদ / সোনালি এবং সাদা / রূপাতে সীমাবদ্ধ। দ্যুতিময় যেকোনো যৌগের আলোক নির্গমন পরিক্ষার মাধ্যমে যা বর্ণনা করা সম্ভব।<ref>{{citation |url=https://books.google.com/books?id=e4GOAIA8HaEC&pg=PA49 |title=Pyrotechnic Spark Generation |author1=Kenneth L. Kosanke |author2=Bonnie J. Kosanke |pages=49–62 |journal=Journal of Pyrotechnics |isbn=978-1-889526-12-6 |year=1999 }}</ref> ধতব যৌগ থেকে নির্গত আলোককে '''কৃষ্ণ বিকিরণ''' বলে। এছাড়া নিম্ন স্ফুটনাংক বিশিষ্ট ধাতু সমূহ ঘন-সন্নিবেশিত আলো উৎপন্ন করতে পারে।<ref name=spark>{{cite journal |last1=Lederle |first1=Felix |last2=Koch |first2=Jannis |last3=Hübner |first3=Eike G. |title=Colored Sparks |journal=European Journal of Inorganic Chemistry |date=21 February 2019 |volume=2019 |issue=7 |pages=928–937 |doi=10.1002/ejic.201801300}}</ref> এটি ধাতুর দহন সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্যের দরুন হয়ে থাকে।
{| class="wikitable"
|-
!রঙ
!ধাতু
!যৌগের উদাহরন
|-
| লাল
| স্ট্রন্টিয়াম (তীব্র লাল)
লিথিয়াম (মাঝারি লাল)
| SrCO<sub>3</sub> (স্ট্রোটিয়াম কার্বনেট)
Li<sub>2</sub>CO<sub>3</sub> (লিথিয়াম কার্বনেট)
LiCl (লিথিয়াম ক্লোরাইড)
|-
| কমলা
| ক্যালশিয়াম
| CaCl<sub>2</sub> (ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড)
|-
| হলুদ
| সোডিয়াম
| NaNO<sub>3</sub> (সোডিয়াম নাইট্রেট)
|-
| সবুজ
| বেরিয়াম
| BaCl<sub>2</sub> (বেরিয়াম ক্লোরাইড)
|-
| নীল
| তামা হ্যালিড সমূহ
| CuCl<sub>2</sub> (কপার ক্লোরাইড), নিম্নতাপে
|-
| বেগুনী নীলবর্ণ
| সিজিয়াম
| CsNO<sub>3</sub> (সিজিয়াম নাইট্রেট)
|-
| বেগুনী
| পটাশিয়াম
রুবিডিয়াম (ভায়োলেট-লাল)
| KNO<sub>3</sub> (পটাসিয়াম নাইট্রেট)
RbNO<sub>3</sub> (রুবিডিয়াম নাইট্রেট)
|-
| সোনালী
| colspan="2"| কাঠকয়লা, লোহা, বা ল্যাম্পব্ল্যাক
|-
| সাদা
| colspan="2"| টাইটানিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, বেরিলিয়াম, বা ম্যাগনেসিয়াম গুঁড়ো
|}
[[বিষয়শ্রেণী:বিনোদন]]
|