আতশবাজি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩৪ নং লাইন:
সং রাজবংশীয় আমলে (৯৬০-১২৭৯) ক্রেতা সাধারণ আতশবাজি বাজার থেকেই কিনতে পারতেন বলে নিদর্শন পাওয়া গেছে।.<ref name="gernet1962">Gernet, Jacques (1962). ''Daily Life in China on the Eve of the Mongol Invasion, 1250–1276''. Translated by H.M. Wright. Stanford: Stanford University Press, pp. 186. {{ISBN|0-8047-0720-0}}.</ref> ১১১০ সনে সং সম্রাট “সম্রাট হুইজং” তার রাজদরবারে বিশাল এক আতশবাজির প্রদর্শনির আয়োজন করেছিলেন বলে ইতিহাসবিদেরা বর্ণনা করেন।<ref name="kelly2004">Kelly, Jack (2004). ''Gunpowder: Alchemy, Bombards, and Pyrotechnics: The History of the Explosive that Changed the World''. New York: Basic Books, Perseus Books Group, page 2.</ref> ১২৬৪ সালের এক নথি প্রমান করে যে “সম্রাজ্ঞী দোয়াগের” –এর সম্মান স্বরূপ তার পুত্র সং সম্রাট লিজং এক ভোজনের দাওয়াতে রকেটের আদলে বানানো একটি আতশবাজির প্রদর্শন করেন, যা সম্রাজ্ঞী দোয়াগের কে চমকে দেয়। <ref>Crosby, Alfred W. (2002), ''Throwing Fire: Projectile Technology Through History''. Cambridge: Cambridge University Press. {{ISBN|0-521-79158-8}}. Pages 100–103.</ref> যুদ্ধের ক্ষেত্রে রকেট হিসাবে ব্যবহার সাধারণ ছিল, যেমনটি হিউলংজিং লিউ বোয়েন (১৩১১–১৩৭৫) এবং জিয়াও ইউ দ্বারা সংকলিত (ফ্লা.সি. ১৩৫০–১৪১২) দ্বারা প্রমাণিত।<ref>Needham, Volume 5, Part 7, 489–503.</ref> ১২৪০ সালে আরবরা চীন থেকে বন্দুক এবং তার ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছিল। হাসান আল-রম্মাহ নামে একজন সিরিয়ান রকেট, আতশবাজি এবং ইত্যাদি সম্পর্কিত ঘটনা নিয়ে লিখেছিলেন। তিনি আতশাবজিকে “চীনা ফুল” হিসাবে প্রকাশ করেন।<ref name="temple-r"/><ref name="kellyj">Kelly, Jack (2004). ''Gunpowder: Alchemy, Bombards, & Pyrotechnics: The History of the Explosive that Changed the World''. Basic Books, page 22. {{ISBN|0-465-03718-6}}.</ref>
আতশবাজি ১৪’শ শতকে ইউরোপে প্রস্তুত শুরু হলেও তা জনপ্রিয় হয়ে উঠে ১৭’হ শতকে।<ref name=Ullmann>{{Ullmann|author=T. T. Griffiths, U. Krone, R. Lancaster|title=Pyrotechnics|year=2017|doi=10.1002/14356007.a22_437.pub2}}</ref><ref name="ssec">[https://web.archive.org/web/20160106154801/https://ssec.si.edu/stemvisions-blog/evolution-fireworks "The Evolution of Fireworks"], Smithsonian Science Education Center. ssec.si.edu.</ref><ref name="werret-181"/> পিটার দ্য গ্রেট এর রাষ্ট্রদূত লেভ ইজমেলভ একবার চীন থেকে রিপোর্ট করেছিলেন যে, "তারা এমন আতশবাজি তৈরি করতে সক্ষম যা ইউরোপের কেউ কখনও দেখেনি।"<ref name="werret-181">{{cite book|last=Werrett|first=Simon|title=Fireworks: Pyrotechnic arts and sciences in European history|year=2010|publisher=The University of Chicago Press|location=Chicago|isbn=978-0-226-89377-8|page=181}}</ref> 1758 সালে, জেসুইট ধর্মপ্রচারক পিয়ের নিকোলাস লে চেরন ডি'আইঙ্কারভিলি যিনি সেই সময়ে বেইজিং এ বসবাস করতেন, তিনি প্যারিস অফ সায়েন্সেস বইটিতে লিখেছেন কীভাবে বিভিন্ন ধরণের চাইনিজ আতশবাজি তৈরি করা হত ঐ সময়ে, যা লেখার পাঁচ বছর পরে প্রকাশিত হয়।<ref name="werret-183">{{cite book|last=Werrett|first=Simon|title=Fireworks: Pyrotechnic arts and sciences in European history|year=2010|publisher=The University of Chicago Press|location=Chicago|isbn=978-0-226-89377-8|page=183}}</ref><ref name="werret-183"/> অ্যামাডি-ফ্রেঞ্চোইস ফ্রেজিয়ার তার সংশোধিত রচনা ''Traité des feux d'artice pour le spectacle '' (ফায়ার ফায়ারসে ট্রিটসিস) ১৭৪৭ সালে প্রকাশ করেছিলেন,<ref name=werret-144>{{cite book|last=Werrett|first=Simon|title=Fireworks: Pyrotechnic arts and sciences in European history|year=2010|publisher=The University of Chicago Press|location=Chicago|isbn=978-0-226-89377-8|pages=144–145}}</ref> যাতে আতশবাজিকে তাদের সামরিক ব্যবহারের চেয়ে বিনোদনমূলক এবং আনুষ্ঠানিক কাজে বেশি ব্যবহারের প্রমান মেলে। আইস-লা-চ্যাপেলের শান্তি চুক্তি উদযাপনের জন্য ১৭৪৯ সালে, জর্জ ফ্রিডেরিক হ্যান্ডেল রচনা করেন ''মিউজিক ফর রয়েল ফায়ারওয়ার্ক্স'', যা আগের বছর, ১৭৪৮ এ বছর ঘোষণা করা হয়েছিল।
''উনিশ শতক এবং আধুনিক রসায়ন আবিষ্কারের পূর্বে আতশবাজি ছিল তুলনামূলক নিস্তেজ এবং মৃদু।''<ref name=Ullmann/> ১৭৮৬ সালে বার্থোলেট আবিষ্কার করে যে পটাসিয়াম ক্লোরেটের সাথে জারণের ফলে বেগুনী রঙ তৈরি করা সম্ভব। পরবর্তীতে আবিষ্কৃত হয় যে বেরিয়াম, স্ট্রন্টিয়াম, তামা এবং সোডিয়ামের ক্লোরেটের সাথে জারণগুলির ফলেও উজ্জ্বল বর্ণ বিশিষ্ট ফুলকি সৃষ্টি হয়। ধাতব ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যালুমিনিয়ামের [আইসুলেশন] আরও একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার হিসাবে চিহ্নিত হয় কারণ এই ধাতুগুলিো তীব্র রৌপ্য আলো উৎপন্ন করতে পারত।<ref name=Ullmann/>