দারাসবাড়ি মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Md Arif bd (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Sromei (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন, চিত্র, তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন
৮৫ নং লাইন:
 
==অবস্থান==
'''দারাসবাড়ি মসজিদ''' এর অবস্থান [[চাঁপাইনবাবগঞ্জ]] জেলার [[ছোট সোনা মসজিদ|ছোট সোনা মসজিদের]] সন্নিকটে।সন্নিকটে<ref>{{Cite book | url=https://books.google.com/?id=Uunyz4qFZwEC&pg=PA94&dq=darasbari+mosque+bangladesh#v=onepage&q=darasbari%20mosque%20bangladesh&f=false |title = Sultans and Mosques: The Early Muslim Architecture of Bangladesh|isbn = 9781845113810|last1 = Hasan|first1 = Perween|date = 2007-06-29}}</ref>। মসজিদটির অবস্থান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। [[সোনামসজিদ স্থল বন্দর]] থেকে [[মহানন্দা]] নদীর পাড় ঘেঁষে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ রাইফেলস-এর [[সীমান্ত তল্লাশী ঘাঁটি]] ; এই ঘাটিঁর অদূরে অবস্থিত [[দখল দরওয়াজা]]।দরওয়াজা। দখল দরওয়াজা থেকে প্রায় এক কি্লোমিটার হেঁটে আমবাগানের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে একটি দিঘী পার হয়ে দক্ষিণ পশ্চিমে ঘোষপুর মৌজায় দারাসবাড়ি মসজিদ ও দারাসবাড়ি মাদ্রাসা অবস্থিত।
 
==ইতিহাস==
ঐতিহাসিক অনুসন্ধানের সময় মুনশী এলাহী বখ্শ কর্তৃক আবিষ্কৃত একটি [[আরবী লিপি|আরবী শিলালিপি]] অনুযায়ী (লিপি-দৈর্ঘ্য ১১ ফুট ৩ ইঞ্চি, প্রস্থ ২ফুট ১ ইঞ্চি) ১৪৭৯ খ্রিষ্টাব্দে (হিজরী ৮৮৪) [[শামসুদ্দিন আবুল মুজাফ্ফর ইউসুফ শাহ|সুলতান শামস উদ্দীন ইউসুফ শাহের]] রাজত্বকালে তারই আদেশক্রমে এই মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এই মসজিদ এর নাম দারুস বাড়ী ছিল না। ফিরোজপুর নামে মসজিদ ছিল। ১৫০২ খ্রিষ্টাব্দে যখন সুলতান হোসেন শাহ্ কর্তৃক দারুসবাড়ী বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হয় তখন অত্র অঞ্চলের নাম দারুসবাড়ী নামে প্রসিদ্ধ লাভ করে। ফিরোজপুর জামে মসজিদ নাম হারিয়ে দারুসবাড়ী নাম ধারন করে।
 
==মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসা==
৯৪ নং লাইন:
 
==অবকাঠামো==
[[চিত্চিত্র:Darashbari Mosque PRG 8155.jpg|thumbথাম্ব|দারাসবাড়ি মসজিদ এর ভিতরের দৃশ্য]]
দীর্ঘদিন মাটিচাপা পড়েছিল এ মসজিদ। সত্তর দশকের প্রথমভাগে খনন করে এটিকে উদ্ধার করা হয়। মসজিদটি দীর্ঘকাল আগে পরিত্যাক্ত হয়েছে, বর্তমানে চারপাশে গাছগাছালির ঘের। পরিচর্যার অভাবে এ মসজিদটি বিলীয়মান। এর সংলগ্ন সমসাময়িক আরেকটি স্থাপনা হলো [[দারাসবাড়ি মাদ্রাসা]]। দিঘীর এক পারে মসজিদ এবং অন্য পারে মাদ্রাসা অবস্থিত। আকারে এটি ছোট সোনা মসজিদের চেয়েও বড়।
 
ইট নির্মিত এই মসজিদের অভ্যন্তরের আয়তক্ষেত্র দুই অংশে বিভক্ত। এর আয়তন ৯৯ ফুট ৫ ইঞ্চি, ৩৪ ফুট ৯ ইঞ্চি।ইঞ্চি<ref name=Banglapedia>{{cite book |last=Husain |first=ABM |year=2012 |chapter=Darasbari Mosque |chapter-url=http://en.banglapedia.org/index.php?title=Darasbari_Mosque |editor1-last=Islam |editor1-first=Sirajul |editor1-link=Sirajul Islam |editor2-last=Jamal |editor2-first=Ahmed A. |title=Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh |edition=Second |publisher=[[Asiatic Society of Bangladesh]]}}</ref>। পূর্ব পার্শ্বে একটি বারান্দা, যা ১০ ফুট ৭ ইঞ্চি। বারান্দার খিলানে ৭টি প্রস্ত্তর স্তম্ভের উপরের ৬টি ক্ষুদ্রাকৃতি গম্বুজ এবং মধ্যবর্তীটি অপেক্ষাকৃত বড় ছিল। উপরে ৯টি গম্বুজের চিহ্নাবশেষ রয়েছে উত্তর দক্ষিণে ৩টি করে জানালা ছিল। উত্তর পশ্চিম কোণে [[মহিলা|মহিলাদের]] [[নামাজ|নামাজের]] জন্য প্রস্তরস্তম্ভের উপরে একটি ছাদ ছিল। এর পরিচয় স্বরূপ এখনও একটি মেহরাব রয়েছে। এতদ্ব্যতীত পশ্চিম দেয়ালে পাশাপাশি ৩টি করে ৯টি কারুকার্য খচিত মেহরাব বর্তমান রয়েছে। এই মসজিদের চারপার্শ্বে দেয়াল ও কয়েকটি প্রস্তর স্তম্ভের মূলদেশ ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এখানে প্রাপ্ত তোগরা অক্ষরে উৎকীর্ণ ইউসুফি শাহী লিপিটি এখন কোলকাতা জাদুঘরে রক্ষিত আছে।
 
==চিত্রশালা==