রঙ্গনাথস্বামী মন্দির, শ্রীরঙ্গম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ovijatrik (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Ovijatrik (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৬২ নং লাইন:
১৩১০-১৩১১ সালের [[মুসলিম]] সেনাপতি [[মালিক কফুর]] যখন এই অঞ্চলে লুটতরাজ চালায় তখন রঙ্গনাথ স্বামীর মূর্তিটি লুট করে দিল্লী নিয়ে যায়।শ্রীরঙ্গমের ভক্তরা মূর্তিটি ফেরত আনতে [[দিল্লী]] চলে যায় এবং তাদের নৃত্য ও নাটক দেখে সুলতান মোহিত হয়ে যায়। ভক্তরা সুলতানের কাছ থেকে মূর্তিটি ফেরত নিয়ে আসে। কিন্তু রাজকন্যা সুরাথানি রঙ্গনাথ স্বামীর প্রেমে পড়ে যান এবং তিনিও মূর্তির খোঁজে শ্রীরঙ্গম চলে আসেন। প্রায় হাজার মাইল পার হয়ে এসে সুরাথানি শ্রীরঙ্গমে রঙ্গনাথ স্বামীর মূর্তির সামনে প্রণিপাত করে মৃত্যু বরণ করেন। এখনও পর্যন্ত শ্রীরঙ্গমে অর্জুন মণ্ডপের কাছে সুরাথিনির চিত্র রয়েছে।<ref>Sundararajan 2003, p. 434</ref><ref name="Hopkins 2002, p. 69">Hopkins 2002, p. 69</ref> তামিল ভক্তরা এঁকে থালুকা নাচিয়ার বলে সম্বোধন করেন। প্রতিদিন তার উদ্দ্যেশে পূজা দেয়া হয়। প্রতিবছর সুরাথিনির কে উৎসর্গ করে কল্লানা উৎসব পালন করা হয়ে থাকে শ্রীরঙ্গমে।<ref>[1]</ref>
 
১৩২৩ সালে মালিক কফুর আবারও শ্রীরঙ্গম আক্রমণ করে। এটা ছিল আরও তীব্র এবং পাশবিক। মালিক কফুরের সৈন্য বাহিনী পৌঁছানর পূর্বে বৈষ্ণবতি আচার্য পিল্লাই লোকাঁচারিয়ার এবং স্বামী বেদান্ত দেশিকা স্বামী রঙ্গনাথ ও দেবী রঙ্গনায়িকার মূর্তি দুটি নিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে বেরিয়ে পড়েন। যাবার আগে যেখানে মূর্তি দুটি প্রকটতি ছিল সে জায়গা ইট দিয়ে গেথেগেঁথে বন্ধ করে দেন। পিল্লাই লোকাঁচারিয়ার যাত্রা পথেই মারা যান। মালিক কফুর যখন শ্রীরঙ্গমে পৌছায় তখন শ্রীরঙ্গমের ১৩,০০০ ভক্ত শ্রী বৈষ্ণব মন্দির রক্ষার্থে জীবন দিয়ে দেন।<ref name="Ramaswamy 2007, pp. 301–302">Ramaswamy 2007, pp. 301–302.</ref> রক্তের নদী বইতে শুরু করে কাবেরী বিধৌত শ্রীরঙ্গম জুড়ে।
পরবর্তী ৬০ টি বছর স্বামী রঙ্গনাথের মূর্তিটি [[মাদুরাই]], [[কেরালা]],[[মহীশুর]], ঘুরে [[তিরুমালা]] [[তিরুপতি]] পাহাড়ের নিয়ে রক্ষা করা হয়।<ref name="Ramaswamy 2007, pp. 301–302"/> ১৩৭১ সালে স্বামী বেদান্ত দেশিকা পুনারায় মূর্তি দুটি নিয়ে শ্রীরঙ্গমে প্রতিষ্ঠা করেন। <ref name="Hopkins 2002, p. 69"/>
 
রঙ্গনাথ স্বামীর মূর্তিটির একটি চোখ ছিল অরলভ নামে [[হীরা|হীরার]] তৈরি আরেক চোখ ছিল একই রকম দেখতে জেম পাথরের । অরলভ হীরক খণ্ডটি বর্তমানে [[রাশিয়া|রাশিয়ার]] [[মস্কো|মস্কোর]] ক্রেমলিনের ডায়মন্ড ফান্ড কালেকশনের সংরক্ষিত। এটি ছিল ১৮৯.৬২ ক্যারেট বা ৩৭.৯২৪ গ্রাম যা প্রায় একটি মুরগীর ডিমের অর্ধেক আয়তনের। কিংবদন্তি অনুসারে শ্রীরঙ্গমের প্রথম করনাটিক যুদ্ধের ([[ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি|ফ্রেন্স ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি]] ও [[ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি|ব্রিটিশ ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির]] মধ্যকার যুদ্ধ) সময় একজন [[ফরাসী]] যোদ্ধা আশ্রয় নেয়।১৭৭৪ সালে দ্বিতীয় করনাটিক যুদ্ধের সময় সে একজন হিন্দু হিসেবে ছদ্মবেশ ধারণ করে হীরক খণ্ডটি চুরি করে। <ref>Erlich 2002, p. 66.</ref>