বিশেষ আবহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
১৭ নং লাইন:
সিনেমায় এই চাতুরতা ব্যবহারে এটিই শুধু প্রথমই ছিল না, এটি চলমান ছবির প্রথম ফোটোগ্রাফিক চাতুরি ছিল, যেমন "স্টপ ট্রিক"। জর্জ মেলিয়েস ঘটনাক্রমে একই "স্টপ ট্রিক" আবিষ্কার করেছিলেন। মেলিয়েস অনুযায়ী, প্যারিসে রাস্তার দৃশ্য চিত্রগ্রহণের সময় তার ক্যামেরা কাজ করছিল না। যখন তিনি চলচ্চিত্রটি দেখেন, তিনি "স্টপ ট্রিকটি" আবিস্কার করেন, যেখানে একটি পথচারীদের দিক পরিবর্তন করতে এবং পুরুষদের মহিলাদের মাঝে নিয়ে যেতে একটি ট্রাক শবযানে রুপান্তরিত হয়েছিল। থিয়েটার রবার্ট-হাউডিনের মঞ্চ ব্যবস্থাপক মেলিয়েস ১৯১৪-এর মধ্যে ৫০০ [[স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র]] ধারাবাহিক গড়তে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, এই পদ্ধতিতে একাধিক এক্সপোজার, টাইম-ল্যাপ আলোকচিত্ৰবিদ্যা, দ্রবীভূত এবং হাতে আঁকা রং এর কৌশল উদ্ভাবন বা উন্নয়ন করেছিলেন। চলচ্চিত্রক্ষেপক ব্যাবহার করে নিপূণভাবে তার এই রূপান্তর করার দক্ষতার কারণে উর্বর মেলিয়েসকে অনেক সময় "সিনেম্যাজিশন" হিসেবে উল্লেখ হয়। তার সবচেয়ে বিখ্যাত চলচ্চিত্র এ ট্রিপ টু দ্যা মুন (১৯০২), জুলস ভার্নিসের ফ্রম দ্যা আর্থ টু মুন এর অদ্ভুত প্যারোডি ছিল। যাতে জীবন্ত দৃশ্য এবং এনিমেশনের সমন্বয় ঘটেছিল এবং ব্যাপকভাবে ক্ষুদ্রকায় এবং ঔজ্বল্যহীন অঙ্কন কাজের সংঘবদ্ধ করেছিল।
 
১৯১০ থেকে ১৯২০ পর্যন্ত বিশেষ আবহের প্রধান উদ্ভাবন ছিল নরটন ডন কর্তৃক ম্যাট শটের উন্নতি। মূল ম্যাট শট সঙ্গে, কার্ডবোর্ড টুকরা ফিল্ম রাখা হয়েছিল এক্সপোজারকে বাধা দেয়ার জন্য, যা পরে প্রকাশিত হত। ডন "গ্লাস শট" এর সাথে এর সমন্বয় করেছিলেন। ফিল্ম এক্সপোজার নির্দিষ্ট জায়গায় বাধাগ্রস্থ করার জন্য কার্ডবোর্ড ব্যবহার করার পরিবর্তে, ফিল্ম থেকে প্রকাশিত আলো প্রতিরোধ করার জন্য ডন কেবল কিছু অংশে কালো প্রলেপ দিয়েছিলেন। আংশিকভাবে উন্মুক্ত ফিল্ম থেকে একটি ফ্রেম চিত্রফলকের উপরে তখন অভিক্ষিপ্ত হয়, সেখানে তখন ম্যাট টানা হয়। ফিল্ম থেকে সরাসরি একটি ছবি নিয়ে ম্যাট তৈরির মাধ্যমে সঠিক মাপ ও দৃশ্যানুযায়ী একটি আঁকা অবিশ্বাস্যভাবে সহজ হয়ে যায়। সহজাত ছবি নির্মিত হওয়ার কারনেকারণে, ডন এর কৌশল ম্যাট শট জন্য পাঠ্যপুস্তকের মত হয়ে উঠে।
 
১৯২০ এর দশক থেকে ১৯৩০ এর দশকের মাঝের এই সময়টাতে বিশেষ আবহ কৌশলগুলো চলচ্চিত্র শিল্প দ্বারা উন্নত এবং পরিশীলিত হয়েছিল। সাফটান পদ্ধতির মত অনেক পদ্ধতি রঙ্গশালায় এবং স্থির ছবিতে (যেমন ডবল এক্সপোজার এবং ম্যাট কম্পোজিটিং) অক্ষিবিভ্রমে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছিল। রঙ্গশালায় অঙ্কিত পটভুমির পরিমার্জিত ছিল পশ্চাৎ অভিক্ষেপ, চলন্ত ছবি বদলের মাধ্যমে পরিবর্তনশীল পটভূমি তৈরি হত। মুখের অবয়বের ছাঁচ প্রচলিত মুখোশের আদলে করা হয়েছিল। মেকাপের উন্নতির সাথে সাথে চৎকার অনেক মুখোশ নির্মিত হয়েছিল, যা অভিনেতাদের সাথে সুন্দরভাবে মানিয়ে যেত। বস্তুগত বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে ভৌতিক সিনেমার মুখোশও সেভাবে উন্নতি লাভ করেছে।
৩০ নং লাইন:
 
===রঙিন যুগ===
রঙিন ফটোগ্রাফির উন্নয়ন, আবহ কৌশলগুলির অধিকতর উন্নয়নের জন্য অবশ্যকআবশ্যক ছিল। এটি নীল পর্দার হিসেবে ভ্রাম্যমান ম্যাট এবং সোডিয়াম বাষ্প প্রক্রিয়ার উন্নতির দ্বার উন্মোচন করেছিল। অনেক চলচ্চিত্র বিশেষ আবহ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ল্যান্ডমার্ক হয়ে ওঠে। ''ফরবিডেন প্ল্যানেট'' সিনেমায় দর্শনীয় এলিয়েন পরিবেশ তৈরি করতে ম্যাট পেইন্টিং, অ্যানিমেশন এবং ক্ষুদ্র প্রতিরূপের ব্যবহার করা হয়েছিল। ''দ্যা টেন কমান্ডমেন্টস'' এ প্যারামাউন্টের জন পি ফুলটন, এএসসি যত্নশীল কম্পোজিটিং এর মাধ্যমে জনাকীর্ণ দৃশ্যে ভীড়কে কয়েক গুণ দেখানো, রামসেস এর মডেল ব্যবহার করে সেটির বৃহদায়তন এবং স্থির-চিত্তাকর্ষক ভ্রাম্যমান ম্যাট এবং জল ট্যাংক এর সমন্বয় ঘটিয়ে লোহিত সাগর বিভক্ত করেছিলেন। রে হ্যারিহাওসেন ''জ্যাসন এন্ড আর্গোনাটস'' এ দর্শনীয় কাল্পনিক অভিযান দৃশ্যায়নে বিশেষ কৌশল ব্যবহার করে স্টপ-মোসন এর ব্যাপ্তি বৃদ্ধি করেছিলেন (যার ক্লাইম্যাক্সে ছিল সাতটি অ্যানিমেটেড কঙ্কালের একটি তলোয়ার যুদ্ধ, যা বিশেষ আবহের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়)।
 
===বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর বিকাশ===