তামবোরা পর্বত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
৫ নং লাইন:
এই অগ্নুৎপাত পৃথিবীজুড়ে আবহাওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যার মধ্যে রয়েছে "আগ্নেয় শীতকাল"। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের আবহাওয়ায় প্রভাবের ফলে ১৮১৬ সাল পরিচিত হয় "গ্রীষ্মকাল বিহীন বছর" নামে। উত্তর গোলার্ধের বিভিন্ন স্থানে শস্য ধ্বংস হয় ও গবাদি পশু মারা যায়। ফলশ্রুতিতে ১৯শ শতকের সবথেকে ক্ষতিকর দুর্ভিক্ষের সূত্রপাত হয়।
 
২০০৪ সালে সংঘটিত এক খননকার্যের সময় প্রত্নতাত্বিকরাপ্রত্নতাত্ত্বিকরা ১৮১৫ এর অগ্ন্যুৎপাতে চাপা পড়া বিভিন্ন সংস্কৃতিক নিদর্শন আবিষ্কার করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://today.uri.edu/news/?id=3467|শিরোনাম=News – URI Today|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2017-03-17}}</ref> এগুলো ৩ মিটার গভীর পাইরোক্লাস্টিকের নিচে চাপা পড়েছিল। এই নিদর্শনগুলো ঠিক ১৮১৫ সালের অবস্থানেই রয়েছে। এই স্থানকে "পূবের পাম্পেই" বলা হয়।
 
== ভৌগলিক অবস্থান ==
তামবোরা পর্বত সুমবাওয়া দ্বীপে অবস্থিত। এটি নিম্ন সুন্দা দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত। নিম্ন সুন্দা দ্বীপপুঞ্জ সুন্দা বাকের অংশ, যেটি আগ্নেয় দ্বীপসমুহের একটি ক্রমধারা যা ইন্দোনেশিয়ান আর্কিপেলাগোর দক্ষিণাংশ গঠন করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The petrology of Tambora volcano, Indonesia: A model for the 1815 eruption|শেষাংশ=Foden|প্রথমাংশ=J|প্রকাশক=Journal of Volcanology and Geothermal Research|বছর=1986|আইএসবিএন=|অবস্থান=|পাতাসমূহ=1–41}}</ref> তামবোরা সুমবাওয়ার সাংগার পেনিনসুলা গঠন করে। এই পেনিনসুলার উত্তরে ফ্লোরেস সাগর এবং দক্ষিণে সালেহ উপসাগর যা ৮৬ কিলোমিটার (৫৩ মাইল) লম্বা এবং ৩৬ কিলোমিটার (২২ মাইল) প্রশস্ত। সালেহ উপসাগরের উপকন্ঠে ৩০০০০ হেক্টর আয়তনের একটি দ্বীপ আছে যার নাম "মোয়ো" (ইন্দোনেশিয়ান ভাষায়ঃ পুলাও মোয়ো)। উক্ত দ্বীপে একটি অতিথী নিবাস ও সরাইখানা আছে যেখানে প্রিন্সেস ডায়ানা অবস্থান করেছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.asita-ntb.com/places-to-visit/sumbawa|শিরোনাম=Sumbawa|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|প্রকাশক=|সংগ্রহের-তারিখ=23 april 2012|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20111115200648/http://www.asita-ntb.com/places-to-visit/sumbawa|আর্কাইভের-তারিখ=১৫ নভেম্বর ২০১১|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>
 
তামবোরা পর্বতের প্রতি ভুতাত্বিকভুতাত্ত্বিক ও আগ্নেয়গিরী গবেষক এর যেমন আগ্রহ রয়েছে, ঠিক একইভাবে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য প্রত্নতাত্বিকপ্রত্নতাত্ত্বিক ও জীববিজ্ঞানীরাও সমান আগ্রহী। এছাড়াও হাইকিং ও প্রানীবৈচিত্র অবলোকনের জন্য এটি সুপরিচিত টুরিস্ট স্পট।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://groups.yahoo.com/neo/groups/nature_trekker/conversations/topics/22341|শিরোনাম=Yahoo! Groups|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2017-03-17}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://docstoc.com/?hg=0&nr=0|শিরোনাম="Potential Tourism as Factor of Economic Development in the Districts of Bima and Dompu"|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|প্রকাশক=West and East Nusa Tenggara Local Governments|সংগ্রহের-তারিখ=14 November 2006.}}</ref> এর নিকটবর্তী দুটি শহর হলো ডম্পু এবং বিমা। তামবোরা পর্বতের ঢালে তিনটি গ্রামাঞ্চল রয়েছে। পুর্বে রয়েছে সাঙ্গার গ্রাম, উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে ডোরো পেটি ও পেসাংগ্রাহান এবনবগ পশ্চিমে রয়েছে ক্যালাবাই নামক গ্রাম।
[[File:Sumbawa_Topography.png|সংযোগ=https://en.wikipedia.org/wiki/File:Sumbawa_Topography.png|থাম্ব|তামবোরা ও সুমবাওয়ার টপোগ্রাফিক মানচিত্র]]
ক্যালডেরা পৌছাতে তিনটি পথ ব্যবহার করা হয়। প্রথম পথ তামবোরা পর্বতের দক্ষিণে দোরো বোহা গ্রাম হতে শুরু হয়ে একটি বাধানো রাস্তা দিয়ে কাজুবাদামের বাগানের মধ্য দিয়ে যায়। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ১১৫০ মিটার (৩৭৭০ ফিট) উচ্চতা অবধি পৌছায়। এই পথের শেষেই ক্যালডেরার দক্ষিণাংশ অবস্থিত যা ১৯৫০ মিটার (৬৪০০ ফিট) উচ্চতায় অবস্থিত। এটি একট হাইকিং পথের মাধ্যমে পৌছানো যায়।<ref name=":2">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070929120305/http://merapi.vsi.esdm.go.id/?static/volcano/tambora/main.html|শিরোনাম=Pusat Vulkanologi dan Mitigasi Bencana Geologi|তারিখ=2007-09-29|সংগ্রহের-তারিখ=2017-03-17}}</ref> এই স্থানটি মাত্র ১ ঘণ্টা দুরত্বে হওয়ার আগ্নেয়গিরির কার্যক্রম পর্যবেক্ষনে এই স্থানটি বেস ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দ্বিতীয় পথটি তামবোরা পর্বতের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এটি সোরো পেটি গ্রাম হতে শুরু হয়। এখানেই তামবোরা আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষন কেন্দ্র অবস্থিত। তৃতীয় পথটি পানকাসিলা গ্রাম হতে শুরু হয় এবং একটি কফি বাগান এর মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়। তৃতীয় পথটি দ্বারা ক্যালডেরাতে শুধুমাত্র হেটে পৌছানো সম্ভব।<ref name=":2" /> তামবোরার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ক্যালডেরার পশ্চিম বলয়ে অবস্থিত।
১৬ নং লাইন:
আগস্ট, ২০১১ তে তামবোরা পর্বতের আসেপাশে ভুমিকম্প ও ধোয়া দেখা গেলে আগ্নেয়গিরিটির সতর্কতা সংকেত লেভেল ১ হতে লেভেল ২ এ উন্নিত করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://web.archive.org/web/20110908003204/http://portal.vsi.esdm.go.id/index.php?option=com_content&view=article&id=203:peningkatan-status-g-tambora-dari-normal-ke-waspada&catid=35:aktifitas-terkini-gai|শিরোনাম=Peningkatan Status G. Tambora dari Normal ke Waspada|তারিখ=2011-09-08|সংগ্রহের-তারিখ=2017-03-17}}</ref>
 
== ভু-তাত্বিকতাত্ত্বিক ইতিহাস ==
 
=== সৃষ্টি ===
[[File:Tambora_volc.jpg|সংযোগ=https://en.wikipedia.org/wiki/File:Tambora_volc.jpg|থাম্ব|মহাকাশ হতে তামবোরা ও সংলগ্ন অঞ্চলসমূহ]]
তামবোরা জাভা ট্রেঞ্চ সিস্টেমের ৩৪০ কিলোমিটার (২১০ মাইল) উত্তরে এবং সক্রিয় উত্তরবর্তী সাবডাকশন জোনের উপরীতলের ১৮০-১৯০ কিলোমিটার (১১০-১২০ মাইল) উপরে অবস্থিত। সুমবাওয়া উত্তর ও দক্ষিণ উভয় প্রান্তেই সামুদ্রিক খোলসে আবৃত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The petrology and tectonic setting of Quaternary—Recent volcanic centres of Lombok and Sumbawa, Sunda arc|শেষাংশ=Foden, Varne|প্রথমাংশ=J, R|প্রকাশক=Chemical Geology|বছর=1980|আইএসবিএন=|অবস্থান=|পাতাসমূহ=201–206}}</ref> এর অগ্রসরের হার প্রতি বছরে ৭.৮ সেমি (৩.১ ইঞ্চি)।<ref name=":7">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম="Plinian and co-ignimbrite tephra fall from the 1815 eruption of Tambora volcano"|শেষাংশ=igurdsson, H|প্রথমাংশ=Carey, S|প্রকাশক=Bulletin of Volcanology|বছর=1983|আইএসবিএন=|অবস্থান=|পাতাসমূহ=243–270}}</ref> তামবোরা আনুমানিক ৫৭০০০ বছর আগে গঠিত হয়েছিলো।<ref name=":1" /> এর অভ্যন্তরের একটি বড় ম্যাগমা প্রকোষ্ঠ শুষ্ক হয়ে যায়। উক্ত ভুতাত্বিকভুতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২৫০০০ বছর পুর্বে সালেহ উপসাগরে মোজো দ্বীপপুঞ্জের আবির্ভাব হয়।<ref name=":1" />
 
১৮১৫ সালের পুর্বের ভু-তাত্বিকতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, তামবোরার আকার যেকোন স্ট্রাটো-আগ্নেয়গিরির মতই। এক্ষেত্রে তামবোরা একটি প্রতিসম কোনাকার আগ্নেয়গিরি যার উচ্চতা ৪৩০০ মিটার (১৪১০০ ফিট)। এতে একটিমাত্র অগ্নিনির্গমন ছিদ্র রয়েছে।<ref name=":3">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20061116040311/http://www.vsi.esdm.go.id/volcanoes/tambora/geology.html|শিরোনাম="Geology of Tambora Volcano".|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=2006-11-16|ওয়েবসাইট=|প্রকাশক=Vulcanological Survey of Indonesia|সংগ্রহের-তারিখ=2017-03-17}}</ref> কেন্দ্রীয় অগ্নিনির্গমন পথ প্রায়ঃশই গলিত লাভা উদঃগীরন করতো, যা একটি ঢালু পথে গড়িয়ে পড়তো।
 
১৮১৫ সালের অগ্নূৎপাতের পর, তামবোরা পর্বতের সর্বনিম্ন অংশটি একাধিক স্তরীভূত লাভা ও পাইরোক্লাসটিক বস্তুতে গঠিত হয়। ১ হতে ৪ মিটার পুরূ লাভার প্রবাহ এই স্তরের ৪০% গঠন করে।<ref name=":3" /> লাভা প্রবাহের ভগ্নাংশের ফলেই পুরূ স্কোরিয়া তট তৈরি হয়। অপেক্ষাকৃত উপরের দিকে লাভা মিশ্রিত হয় স্কোরিয়া, টাফ ও পাইরোক্লাসটিক উপাদান এর সাথে। অন্ততপক্ষে ২০ টি শাখা বা অনুজীবি কোনের উপস্থিতি লক্ষনীয়,<ref name=":7" /> যার মধ্যে রয়েছে টেহে, ৮৪৪ মিটার (২৭৬৯ ফিট); মোলো, ৬০২ মিটার (১৯৭৫ ফিট); কাডিয়েন্ডিনেই; কুবাহ, ১৬৪৮ মিটার (৫৪০৭ ফিট) এবং ডোরো আপি টই। বেশিরভাগ অনুজীবি কোন ব্যাসাল্টিক লাভা উদঃগীরণ করে।
৩৯ নং লাইন:
১৮১৫ সালের আগ্নেয় বিস্ফোরক মানদন্ডে ৭ মাত্রার অগ্নূৎপাতটির টেফরা ইজেক্টা আয়তন ছিলো ১৬০ বর্গ কিলোমিটার (৩৮ কিউবিক মাইল)।<ref name=":4" /> উক্ত অগ্নূৎপাতটি বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় প্রকোষ্ঠ অগ্নূৎপাত ছিলো এবং এর সাথে পাইরোক্লাসটিক প্রবাহও ঘটে ও ক্যালডেরা ধ্বসে যায়। ফলশ্রুতিতে সুনামি ঘটে এবং জান ও মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। এই অগ্নূৎপাত বৈশ্বিক আবহাওয়ায় দীর্ঘ মাত্রায় বিরূপ প্রভাব ফেলে। ১৫ জুলাই ১৮১৫ তে আগ্নেয়গিরীর সক্রিয়তা প্রশমিত হয়। পরবর্তীতে ১৮১৯ এর আগস্টে পুনরায় সক্রিয়া দেখা যায় ও আগ্নেয় বিস্ফোরক মানদন্ডে ২ মাত্রার অগ্নূৎপাত ও ভুমিকম্প অনুভূত হয়। এই ঘটনাটিকে ১৮১৫ সালের অগ্নূৎপাতেরই অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।<ref name=":0" /> ১৮৮০ ± ৩০ বছর পুর্বে তামবোরায় পুনরায় অগ্নূৎপাত শুরু হয়, তবে এটি ক্যালডেরার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো।<ref name=":4" /> ক্ষুদ্রাকৃতির লাভা প্রবাহ ও লাভা গম্বুজ সৃষ্টি হয়। উক্ত অগ্নূৎপাতের ফলে ক্যালডেরার অভ্যন্তরে ''ডোরো আপি টই'' অনুজীবি কোন সৃষ্টি হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070927043444/http://www.vsi.esdm.go.id/volcanoes/tambora/history.html|শিরোনাম="Tambora Historic Eruptions and Recent Activities"|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=2007-09-27|ওয়েবসাইট=|প্রকাশক=|সংগ্রহের-তারিখ=2017-03-17}}</ref> ১৮১৫ সালের অগ্নূৎপাত তামবোরা পর্বত অগ্নূৎপাত, ১৮০ খ্রীষ্টাব্দের তাউপো হৃদের অগ্নূৎপাত এবং বায়েকডুর তিয়ানশি অগ্নূৎপাত বিগত ৫০০০ বছরের ভেতর সবথেকে বড় অগ্নূৎপাতগুলোর অন্তর্গত। বিগত ২০০০ বছরে ১৮১৫ সালের অগ্নূৎপাতটি সবথেকে বিদ্ধংশী বলে বিবেচিত হয়।
 
== প্রত্নতাত্বিকপ্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য ==
প্রত্নতাত্বিকপ্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুসারে তামবোরা পর্বতের ১৮১৫ সালের অগ্নূৎপাত সংলগ্ন সুমবাওয়ার সংস্কৃতিকে চিরতরে মুছে দেয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/2/hi/science/nature/4748902.stm|শিরোনাম=BBC NEWS {{!}} Science/Nature {{!}} 'Pompeii of the East' discovered|সংগ্রহের-তারিখ=2017-03-17}}</ref>
 
== বাস্তুতন্ত্র ==
৫৮ নং লাইন:
== তামবোরা পর্বত পর্যবেক্ষন ==
[[File:Tambora_EFS_highres_STS049_STS049-97-54.jpg|সংযোগ=https://en.wikipedia.org/wiki/File:Tambora_EFS_highres_STS049_STS049-97-54.jpg|থাম্ব|তামবোরা পর্বতের অবলোহিত আলোকচিত্র (উত্তরদিক বামে)]]
ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ১৮১৫ সালের অগ্নূৎপাতের পর থেকে দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে। ২০০৬ সালে ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২২২ মিলিয়নে পৌছায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20060927070525/http://www.bps.go.id/releases/files/kemiskinan-01sep06.pdf|শিরোনাম="Tingkat Kemiskinan di Indonesia Tahun 2005–2006" (PDF) (Press release) (in Indonesian)|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=1 September 2006|ওয়েবসাইট=|প্রকাশক=Indonesian Central Statistics Bureau|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> শুধুমাত্র জাভা দ্বীপেই ১৩০ মিলিয়ন অধিবাসী রয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.worldislandinfo.com/POPULATV2.htm|শিরোনাম=Most Populous Islands|শেষাংশ=Calder|প্রথমাংশ=Joshua|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|প্রকাশক=|সংগ্রহের-তারিখ=2017-03-17}}</ref> সুতরাং ১৮১৫ সালের ন্যায় পুনরায় আরেকটি অগ্নূৎপাতের ফলাফল হবে ভয়াবহ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ১৮১৫ সাল অপেক্ষা কয়েকগুন বেশি হবে। উক্ত কারনেকারণে ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরীর কার্যকলাপ, বিশেষ করে তামবোরা পর্বতের কার্যকলাপ সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষন করা হয়।
 
ইন্দোনেশিয়ার অগ্নেয়গিরীসমূহ পর্যবেক্ষনের দায়িত্বে রয়েছে ডিরেক্টরেট অব ভলকানোলজি এন্ড জিওলজিকাল হ্যাজার্ড মিটিগেশন, ইন্দোনেশিয়া। তামবোরা পর্বতের পর্যবেক্ষন পোস্ট ডোরো পেটি গ্রামে অবস্থিত।<ref name=":6">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070929120048/http://merapi.vsi.esdm.go.id/?static/volcano/tambora/bahaya.html|শিরোনাম=Pusat Vulkanologi dan Mitigasi Bencana Geologi|তারিখ=2007-09-29|সংগ্রহের-তারিখ=2017-03-17}}</ref> তারা সাইসমোগ্রাফ যন্ত্রের সাহায্যে সাইসমিক ও টেকটোনিক কর্মকান্ড পর্যবেক্ষন করে। যদিও ১৮৮০ সালের পরে সাইসমিক কর্মকান্ডে কোন লক্ষ্যনীয় পরিবর্তন আসেনি,<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070929120113/http://merapi.vsi.esdm.go.id/?static/volcano/tambora/geofisika.html|শিরোনাম=Pusat Vulkanologi dan Mitigasi Bencana Geologi|তারিখ=2007-09-29|সংগ্রহের-তারিখ=2017-03-17}}</ref> তবুও ক্যালডেরার অভ্যন্তরে বিশেষ করে ডোরো আপি টই প্যারাসিটিক কোনের বিরতিহীন পর্যবেক্ষন পরিচালিত হয়।