হামিদুজ্জামান খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
২৪ নং লাইন:
| website =
}}
'''হামিদুজ্জামান খান''' একজন বাংলাদেশী শিল্পী ও ভাস্কর। ফর্ম, বিষয়ভিত্তিক ও নিরীক্ষামূলক ভাস্কর্যের জন্য তিনি সুপরিচিত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় নির্মিত একাত্তর স্মরণে শীর্ষক কাজের জন্য তিনি ভাস্কর্য হিসেবে ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশে খ্যাতি লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অলিম্পিক ভাস্কর্য উদ্যানে ভাস্কর্য স্থাপনের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক পরিসরে পরিচিতি অর্জন করেন।
'''হামিদুজ্জামান খান''' হলেন একজন বাংলাদেশী ভাস্কর। তার নকশাকৃত অন্যতম ভাস্কর্য হল [[সংশপ্তক (ভাস্কর্য)|সংশপ্তক]]। তিনি ঢাকা আর্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক এবং বর্তমানে বাংলাদেশ আর্ট সেন্টারের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://dhakaartcenter.org/artist_directory/Hamiduzzaman_Khan.html |শিরোনাম=Hamiduzzaman Khan |কর্ম=Dhaka Art Center |সংগ্রহের-তারিখ=২১ মে ২০১৭ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170524054055/http://dhakaartcenter.org/artist_directory/Hamiduzzaman_Khan.html |আর্কাইভের-তারিখ=২৪ মে ২০১৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> ভাস্কর্যে অবদানের জন্য তিনি ২০০৬ সালে [[বাংলাদেশ সরকার]] প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান [[একুশে পদক]] লাভ করেন।
 
১৯৫০-এর দশকে ভাস্কর্য নভেরা আহমেদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভাস্কর্যে আধুনিক ধারার সূচনা ঘটার পরে হামিদুজ্জামান খান তাঁর স্বকীয় ধারার আধুনিক কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভাস্কর্যের প্রসারে অবদান রাখেন। তাঁর ভাস্কর্যে এক্সপ্রেশনিজম, মিনিমালিজম বা অল্পায়নের মত নির্মাণশৈলী লক্ষ্য করা যায়। তিনি ভাস্কর্য হিসেবে ফিগারেটিভ ও বিমূর্ত – উভয় ধারাতেই কাজ করেছেন।
 
ভাস্কর্য ছাড়াও হামিদুজ্জামান খান তাঁর চিত্রকর্মের জন্যেও সুপরিচিত। ১৯৬০-এর দশকে শিল্পাচার্য [[জয়নুল আবেদীন]] জলরঙের চিত্রকর্মের জন্য তাঁকে প্রসংশা করেছিলেন ও উৎসাহ হিয়েছিলেন। এছাড়া ১৯৭৬ সালে প্রখ্যাত ভারতীয় শিল্পী [[মকবুল ফিদা হুসেন]] মুম্বাইতে একটি প্রদর্শনীতে তাঁর ভাস্কর্যের প্রসংশা করেন। হামিদুজ্জামান খানের জলরঙ ও অ্যাক্রিলিক চিত্রকর্মে বিমূর্ত এক্সপ্রেশনিজমের ধারা লক্ষ্য করা যায়। তাঁর চিত্রকর্মের বিষয়বস্ত প্রধান নিসর্গ ও মানবশরীর।
 
ভাস্কর্যে অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তিনি [[একুশে পদক]] লাভ করেন। ১৯৭০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। পাঁচ দশকেরও অধিক সময়ের কর্মজীবনে তাঁর শিল্পকর্ম বাংলাদেশ, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, বুলগেরিয়া ও যুক্তরাষ্টে প্রদর্শিত বা স্থাপিত হয়েছে।
 
==প্রাথমিক ও শিক্ষা জীবন==