জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
RagibBot (আলোচনা | অবদান)
clean up using AWB
Abusina (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
[[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] [[নভেম্বর ৭|৭ নভেম্বর]] তারিখটিকে '''জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস''' হিসাবে পালন করা হয়। [[১৯৭৫]] খ্রীস্টাব্দের এই দিনে সংঘটিত [[সিপাহী ও জনতার বিপ্লব]] এর স্মরণে এই দিবসটি পালিত হয়। [[আবু তাহের|কর্নেল (অবঃ) আবু তাহের]] এর নেতৃত্বে সংঘটিত এই বিপ্লব [[খালেদ মোশাররফ|জেনারেল খালেদ মোশাররফ]] এর ৩ দিনের সরকারের পতন ঘটায়। এই বিপ্লবের ফলস্রুতিতে [[জিয়াউর রহমান|জেনারেল জিয়াউর রহমান]] বন্দীদশা থেকে মুক্তি পান, এবং পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসেন। কোন নভেম্বরকোন তারিখটিসময়ে ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশে সরকারীসরকারি ছুটি হিসাবেহিসেবে পালিত হয়।হয়েছে।।
 
কিছু সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হবার পর [[খন্দকার মোশতাক আহমেদ]] নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। কিন্তু খন্দোকার মোশতাকের ক্ষমতার নেপথ্যে ছিলেন ১৫ই অগাষ্টের ঘটনার মুল নায়কেরা। জেনারেল [[খালেদ মোশাররফ]] (বীর উত্তম) এই ব্যাপারটি মেনে নিতে পারেননি। তিনি তার অনুগত সৈন্য বাহিনী নিয়ে ৩রা নভেম্বর একটি অভ্যুত্থান ঘটান। অভ্যুত্থানটি প্রাথমিক ভাবে সফলও হয়। কিন্তু তা ছিল মাত্র ৩ দিনের জন্য। বস্তুতঃ খালেদ মোশাররফ রক্তপাত এড়াতে চেষ্টা করেছিলেন, যা পরবর্তীতে তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।
 
৩রা নভেম্বরের অভ্যুত্থানে জেনারেল খালেদ মোশাররফ রক্তপাতহীন ক্যু করতে গিয়ে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে তার নিজ বাসভবনে গৃহবন্দী করেন। কর্নেল (অবঃ) [[আবু তাহের]] সে সময় চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন। কর্নেল তাহের ছিলেন জিয়াউর রহমানের একজন বিশেষ শুভাকাংখী। তিনি সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন। সৈনিক-অফিসার বৈষম্য তার পছন্দ ছিলনা। তার এই নীতির জন্য তাহের সেনাবাহিনীর সাধারন সৈনিকদের মাঝেও দারুন জনপ্রিয় ছিলেন। কর্নেল তাহের বিশ্বাস করতেন জিয়াও তারই আদর্শের লোক। ৩রা নভেম্বরের অভ্যুত্থানের পর তাহের জানতে পারেন জিয়াউর রহমানকে বন্দী করা হয়েছে। তিনি ঢাকাতে তার অনুগত ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সিপাহীদের বিদ্রোহের নির্দেশ দিয়ে তৎক্ষনাত চট্টগ্রামে থেকে ঢাকা রওনা হন, এ সময় তার সঙ্গী ছিল শত শত জাসদ কর্মী। কর্নেল তাহেরের এই পাল্টা অভ্যুত্থান সফল হয় ৭ই নভেম্বর। কর্নেল তাহের, জিয়উর রহমানকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসেন। ঐ দিনই পাল্টা অভ্যুত্থানে ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যরা জেনারেল খালেদ মোশাররফকে হত্যা করে।
 
এরপর জেনারেল জিয়া ক্ষমতায় উঠে আসেন। তিনি রহস্যজনক কারনে কর্নেল (অবঃ) আবু তাহেরের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার অভিযোগ আনেন। এতে ১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই কর্নেল তাহেরের ফাঁসি হয়। ধারনা করা হয় ৭ই নভেম্বরে কর্নেল তাহেরের জনপ্রিয়তা দেখে জিয়াউর রহমান শংকিত ছিলেন। তাই ক্ষমতা নিষ্কন্টক রাখার জন্যই তাহেরের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার অভিযোগ আনেন।
 
"বিপ্লব ও সংহতি" -শব্দটি সাধারনত সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের শ্লোগান হিসেবে ব্যাবহৃত হয়। কর্নেল তাহের যেহেতু সমাজতান্ত্রিক দর্শনে বিশ্বাস করতেন তাই ৭ই নভেম্বরের ঐ দিনটিকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস বলে আখ্যায়িত করা হয়।
 
 
{{অসম্পূর্ণ}}