ইস্পাহানি পরিবার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২৩ নং লাইন:
[[চিত্র:ইস্পাহানি পরিবার.jpg|thumb|বাম থেকে: মির্জা মেহেদী ইস্পাহানি, মির্জা মুহাম্মদ ইস্পাহানি , [[মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি]], মির্জা মেহেদী ইস্পাহানি, মির্জা আলী বেহরোজ ইস্পাহানি]]
 
[[পারস্য|পারস্যের]] হাজী মুহাম্মদ হাশেম ইস্পাহানিইস্পাহানী (১৭৮৯-১৮৫০) হচ্ছেন ইস্পাহানি পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৮২০ সালে [[পারস্য|পারস্যের]] [[এসফাহন]] শহর থেকে [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] [[মুম্বই]] নগরীতে (তৎকালীন ''[[মুম্বই|বোম্বে]]'') এসে ইস্পাহানি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা শুরু করেন। ১৮৩০-এর দশকে, তারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান্টি [[বঙ্গ|বাংলার]] [[কলকাতা]]য় প্রসারিত হয়েছিল। মুহাম্মদ হাশিম ছিলেন আসাম চা কোম্পানির কলকাতা কমিটির প্রথম ও একমাত্র উল্লেখযোগ্য মুসলিম সদস্য। ক্রমান্বয়ে তাদের এই পারিবারিক ব্যবসা [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] বিভিন্ন অংশে যেমন পশ্চিমে [[মুম্বই]] (তৎকালীন ''বোম্বে''), দক্ষিণে [[চেন্নাই]] (তৎকালীন মাদ্রাজ) এবং পূর্বে [[বার্মা]] (তৎকালীন বার্মা) পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। <ref name="বাংলাপিডিয়া">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|first=আশফাক|last=হোসাইন|title=ইস্পাহানি পরিবার|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=ইস্পাহানি_পরিবার|ওয়েবসাইট=bn.banglapedia.org|publisher= [[বাংলাপিডিয়া]] |accessdate=২০২০-০৪-০৪|language=bn}}</ref> তাদের বংশধরদের অনেকেই [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যের]] বিভিন্ন বেসরকারী স্কুল এবং শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে লেখাপড়া করেছেন।
 
মুহাম্মদ হাশিমের নাতি [[মির্জা মেহেদী ইস্পাহানি]] (১৮১৪-১৯১৩) প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর [[মুম্বাই]] (বোম্বে) থেকে [[চেন্নাই|চেন্নাইয়ে]] (মাদ্রাজ) প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর স্থানান্তর করেন। তিনি দীর্ঘপ্রায় ১২ বছর [[মিসর|মিসরের]] রাজধানী [[কায়রো]]তে অবস্থান করেন। সেখানে তিনি চা, চামড়া, মসলা সহ অন্যান্য ভারতীয় পণ্যেরপণ্যে দ্রব্যের বিশালবিরাট ব্যবসা গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে ১৮৮৮ সালে তিনি [[ঢাকা]]য় তাদের কোম্পানিরপ্রতিষ্ঠানের একটি শাখা অফিস স্থাপন করেন। <ref name="বাংলাপিডিয়া"/>
 
১৮৭১ সালে মির্জা মেহেদী ইস্পাহানির পুত্র মির্জা মুহাম্মদ ইস্পাহানি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯০০ সালে এম.এম. ইস্পাহানি অ্যান্ড সন্স-এর [[কলকাতা]] অফিস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। একই বছর লন্ডনেও একটি শাখা অফিস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। <ref>{{cite book |last=চ্যাটার্জী |first=জয়া |date=১৯৯৪ |title= বাংলা বিভক্ত: হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা এবং দেশভাগ, ১৯৩২-১৯৪৭ (Bengal Divided: Hindu Communalism and Partition, 1932-1947) |url=https://books.google.com/books?id=iDNAQcoVqoMC&pg=PA80 |publisher=ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস |page=৮০ |isbn=0-521-52328-1}}</ref> ১৯২৫ সালে তিনি মারা যান।
৩৩ নং লাইন:
১৯৪৭ সালে [[ভারত বিভাজন|পাকিস্তানের স্বাধীনতার]] পর নতুন সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত [[পাকিস্তান অধিরাজ্য|ডোমিনিয়নে]] কর্পোরেট সদর দপ্তর [[কলকাতা]] থেকে [[চট্টগ্রাম|চট্টগ্রামে]] স্থানান্তরিত করা হয়। যা এখনো সেখানেই আছে। <ref name="ইত্তেফাক"/> <ref name=star1>{{cite news |title=The four winners of Bangladesh Business Awards 2003 |url=http://www.thedailystar.net/2004/03/20/d40320050247.htm |work=[[দ্য ডেইলি স্টার]] |date=2004-03-20 |accessdate=2008-02-10 }}</ref>
 
[[ভারত সরকার]] কর্তৃক [[ভারত|ভারতে]] এর পরিচালনার ভার নিজের কর্তৃত্বে নেওয়ার আগে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত এই সংস্থাটি [[কলকাতা]]য় একটি বিদেশী সংস্থা হিসাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। [[মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি]]র দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে সংস্থাটি দ্রুত তার ব্যবসায় প্রসারিত করেছিল। ১৯৪৭ সালের মধ্যে [[এম. এম. ইস্পাহানি লিমিটেড]] শাল্যাক (গালার পাত) কেইপক (জাজিম ও লাইফবেল্ট), হোসিয়ান (চটের সুতা এবং কাপড়), পাটের ব্যাগ, [[চা]] এবং রাসায়নিক দ্রব্যেরপদার্থের অন্যতম প্রধানশীর্ষস্থানীয় রপ্তানিকারক কোম্পানিপ্রতিষ্ঠান হিসেবে আআবির্ভূতআবির্ভূত হয়। ১৯৪৮ সালে, মির্জা আহমেদদ ইস্পাহানি [[পাকিস্তান|পাকিস্তানে]] ([[বাংলাদেশের স্বাধীনতা|স্বাধীনতার]] পর [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]]) জনসেবা করার জন্য পারিবারিক ব্যবসা ছেড়ে দেন।
 
পরবর্তীতে [[মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি]]র পুত্র সাদরি ইস্পাহানি (মির্জা মেহেদী ইস্পাহানি) (১৯২৩-২০০৪) ১৯৪৯ সালে এম. এম. ইস্পাহানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান হন এবং তিনি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত এই পদে ছিলেন।<ref>{{cite news |title=Mirza Mehdy Ispahani passes away |url=http://www.thedailystar.net/2004/01/21/d40121011717.htm |work=[[দ্য ডেইলি স্টার]] |date=2004-01-21 |accessdate=2008-02-10 }}</ref> তারপর তাঁর পুত্র মির্জা আলী বেহরোজ ইস্পাহানি [[এম. এম. ইস্পাহানি লিমিটেড|ইস্পাহানি গ্রুপের]] চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। <ref name="বাংলাপিডিয়া"/>
 
এই সংস্থাটির [[চট্টগ্রাম]], [[ঢাকা]] এবং [[খুলনা]]য় কর্পোরেট অফিস রয়েছে যেখানে এটি চা, টেক্সটাইল, রিয়েল এস্টেট, ক্রিস্পস, পোল্ট্রি, শিপিং এবং ইন্টারনেট পরিষেবাদির মতো অনেক সেক্টরে ২০,০০০ এরও বেশি লোককে নিয়োগ দিয়েছে। <ref name=star1/>