মা আনন্দময়ী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Md. Sadman Sakib Bd আনন্দময়ী মা কে মা আনন্দময়ী শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৭ নং লাইন:
|footnotes=}}
{{অন্য ব্যবহার|মা (দ্ব্যর্থতা নিরসন)}}
'''শ্রী আনন্দময়ী মা''' (১৮৯৬-১৯৮২) হিন্দু আধ্যাত্মিক সাধিকা। ১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ এপ্রিল [[ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলারজেলা]]র [[খেওড়া]] গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।<ref name=LaT/><ref name=UC>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Hawley |প্রথমাংশ=John Stratton|বছর=2006 |অধ্যায়= Anandamayi Ma: God came as a Women|অধ্যায়ের-ইউআরএল=https://books.google.de/books?id=UOYlDQAAQBAJ&dq=0520249135&hl=de&sa=X&redir_esc=y |সম্পাদক১-প্রথমাংশ= |সম্পাদক১-সংযোগ= |সম্পাদক২-শেষাংশ=|সম্পাদক২-প্রথমাংশ= |শিরোনাম= The life of Hinduism|সংস্করণ=|পাতাসমূহ= 173–183|প্রকাশক=Univ. of California Press|আইএসবিএন=0520249135}}</ref> তার পৈতৃক নিবাস ছিল একই জেলার [[বিদ্যাকুট]] গ্রামে। পিতা বিপিনবিহারী ভট্টাচার্য মুক্তানন্দ গিরি নামে সন্ন্যাসজীবন গ্রহণ করেন। হয়তো পৈতৃক সূত্রেই আনন্দময়ীর মধ্যেও আধ্যাত্মিক চেতনা জাগ্রত হয়, কারণ ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যে দৈবশক্তির লক্ষণ দেখা দেয়। তখন থেকেই হরিনামকীর্তন শুনে তিনি আত্মহারা হয়ে যেতেন।</ref name=FlowerIntro>[http://www.anandamayi.org/books/Flower1.pdf Introduction],
 
আন্দময়ীর প্রকৃত নাম নির্মলা সুন্দরী; দাক্ষায়ণী, কমলা ও বিমলা নামেও তিনি পরিচিত ছিলেন। তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না বললেই চলে। ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে বিক্রমপুরের রমণীমোহন চক্রবর্তীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। স্বামীও পরবর্তীকালে সন্ন্যাস গ্রহণ করে ভোলানাথ নামে পরিচিত হন।<ref name=FlowerIntro/><ref name=banglapedia>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Ghosh |প্রথমাংশ=Monoranjan |বছর=2012 |অধ্যায়=Anandamayi, Ma |অধ্যায়ের-ইউআরএল=http://en.banglapedia.org/index.php?title=Anandamayi,_Ma |সম্পাদক১-শেষাংশ=Islam |সম্পাদক১-প্রথমাংশ=Sirajul |সম্পাদক১-সংযোগ=Sirajul Islam |সম্পাদক২-শেষাংশ=Jamal |সম্পাদক২-প্রথমাংশ=Ahmed A. |শিরোনাম=Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh |সংস্করণ=Second |প্রকাশক=[[Asiatic Society of Bangladesh]]}}</ref> রমণীমোহন ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার নবাবের বাগানের তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত হলে নির্মলা তার সঙ্গে শাহবাগে চলে আসেন এবং সিদ্ধেশ্বরীতে কালীমন্দির (১৯২৬) প্রতিষ্ঠা করে ধর্মকর্মে আত্মনিয়োগ করেন।<ref name=FlowerIntro/><ref name=banglapedia/> এই মন্দিরেই একদিন দিব্যভাবে মাতোয়ারা নির্মলা আনন্দময়ী মূর্তিতে প্রকাশিত হন এবং তখন থেকেই তার নাম হয় '''আনন্দময়ী মা'''। <ref name=LaT>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Lipski |প্রথমাংশ=Alexander |বছর=1993 |ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=wkntyXrcW6EC&pg=PA28|পাতা=28|শিরোনাম=Life and Teaching of Sri Anandamayi Ma|সম্পাদক২-শেষাংশ= |সম্পাদক২-প্রথমাংশ= |কর্ম=|প্রকাশক=Motillal Benarsidass Publishers}}</ref> ঢাকার রমনায় তার আশ্রম গড়ে ওঠে। তার আধ্যাত্মিক ভাবধারায় অনেক গুণিজন আকৃষ্ট হন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Chaudhuri|প্রথমাংশ=Narayan|শিরোনাম=That Compassionate Touch of Ma Anandamayee|প্রকাশক=Motilal Banarsidass|বছর=1986|আইএসবিএন=978-81-208-0204-9|পাতাসমূহ=16–18; 24–26; 129–133}}</ref> তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুজন হলেন মহামহোপাধ্যায় গোপীনাথ কবিরাজ এবং ডাক্তার ত্রিগুণা সেন। মা আনন্দময়ীনৃত্যশিল্পী উদয়শঙ্করও নৃত্য সম্পর্কে আনন্দময়ীর বিশ্লেষণ শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন। আনন্দময়ীর মতে জগৎটাই নৃত্যময়; জীবের মধ্যে যে প্রাণের স্কন্দন, এমনকি বীজ থেকে যখন অঙ্কুরোদগম হয় তখন সেখানেও এক ধরনের তরঙ্গময় নৃত্যের সৃষ্টি হয়। এই তরঙ্গরূপ নৃত্য যে মূল থেকে উদ্ভূত হয়, একসময় স্তিমিত হয়ে আবার সেই মূলেই মিলিয়ে যায়। এই রূপকের মধ্য দিয়ে তিনি মূলত জীবাত্মা ও পরমাত্মার সম্পর্ককেই নির্দেশ করেছেন।