}}</ref> এছাড়াও তারতাঁর কারণেই [[তৈমুরীয় রাজবংশ]] প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই বংশ কোনকোনো না কোনভাবেকোনোভাবে ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে নেতৃত্বে আসীন ছিল। তিনি ''তিমুরে ল্যাংগ্'' ({{PerB|تیمور لنگ}}) নামেও পরিচিত, যার অর্থ '''খোঁড়া তৈমুর'''। তারতাঁর আসল নাম '''তৈমুর বেগ'''। যুদ্ধ করতে গিয়ে তিনি আহত হন, যার ফলে তারতাঁর একটি পা অকেজো হয়ে যায় এবং তিনি খোঁড়া বা ল্যাংড়া হয়ে যান। তিনি উনার পূর্বপুরুষ [[সেলযুক সাম্রাজ্য|মহান সেলযুক সাম্রাজ্যের]] শাসক সুলতান [[তুঘরিল বেগ]]কে অনুপ্রেরণা হিসেবে অনুসরণ করতেন। তিনি [[তুগরিলতুঘরিল বেগ]] এরবেগের সরাসরি বংশধর না হলেও [[তুঘরিল বেগ]] যে [[অর্ঘুজ]] গোত্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেই [[অর্গুজ]] গোত্রেই '''তৈমুর লং''' জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এবং তিনিও [[আলেকজান্ডার]] ও [[চেঙ্গিস খানেরখান]]ের মতো বিশ্বজয়ে উনার সৈন্যবাহিনী নিয়ে বের হয়েছিলেন। এ নিয়ে [[বিশ্ব বিজেতা তৈমুর লং]], [[দিগ্বিজয়ী তৈমুর]], [[দুনিয়া কাঁপানো তৈমুর লং]] নামের অনেকগুলো বইও রচিত হয়েছে। তারতাঁর সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল আধুনিক [[তুরস্ক]], [[সিরিয়া]], [[ইরাক]], [[কুয়েত]], [[ইরান]] থেকে [[মধ্য এশিয়া|মধ্য এশিয়ার]] অধিকাংশ অংশ যার মধ্যে রয়েছে [[কাজাখস্তান]], [[আফগানিস্তান]], [[রাশিয়া]], [[তুর্কমেনিস্তান]], [[উজবেকিস্তান]], [[কিরগিজিস্তান]], [[পাকিস্তান]], [[ভারত|ভারতবর্ষ]] এমনকি [[চীন|চীনের]] [[কাশগর]] পর্যন্ত। তিনি একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ রচনা করিয়ে যান যার নাম [[তুজুক ই তৈমুরী]]।