সখারাম গণেশ দেউস্কর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
পাতা পরিমার্জন ও রচনা শৈলী
১ নং লাইন:
{{অনুচ্ছেদসমূহ|date=মে ২০১৯}}
'''সখারাম গণেশ দেউস্কর''' একজন জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ও লেখক। তিনি জন্মসূত্রে মরাঠী। কিন্তু তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অশেষ ব‍্যুৎপত্তি লাভ করেছিলেন। তিনি মূলত বাংলা ও মরাঠীতে লেখালেখি করেছেন। ভারতীয় চিন্তাচেতনার অগ্রপথিকদের ভিতর সখারামের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।
 
১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই ডিসেম্বর দেওঘরের কাছাকাছি তাঁর জন্ম হয়। তাঁদের আদি বাসস্থান ছিল মহারাষ্ট্রের অন্তর্গত রত্নগিরি জেলায় দেউস নামক গ্রামে। ১৮৯১ সালে সখারাম বৈদ‍্যনাথ ইংরেজি স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা পাস করেন এবং কিছুদিন পর ঐ স্কুলেই সেকেন্ড পণ্ডিত পদে নিযুক্ত হন। মরাঠী সাহিত্যের পাশাপাশি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি তাঁর ছাত্রাবস্থা থেকেই অনুরাগ ছিল। "প্রতিভা" নামক মাসিকপত্রে তিনি প্রবন্ধ লিখতেন। সখারাম গণেশ দেউস্কর একজন প্রগতিশীল ও নির্ভীক মানুষ ছিলেন। "হিতবাদী" পত্রিকায় দেওঘরের তৎকালীন ম‍্যাজিস্ট্রেট লর্ড হার্ডের বিরুদ্ধে কলম ধরার ফলে তিনি কোপের মুখে পড়েন। ১৮৯৭ সালে তিনি বিদ‍্যালয় থেকে ইস্তফা দিয়ে কলকাতায় চলে আসেন এবং সাংবাদিকতাকেই পূর্ণসময়ের পেশা হিসাবে গ্রহণ করেন। "হিতবাদী" পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক কালীপ্রসন্ন বিদ‍্যাবিশারদ সখারামকে ঐ পত্রিকার প্রুফ-রিডার হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। ১৯০৭ সালে কালীপ্রসন্নের মৃত‍্যুর পর, সখারাম গণেশ দেউস্করই পত্রিকার সম্পাদক পদে নিযুক্ত হন। পরে তিনি জাতীয় শিক্ষা পরিষদের বাংলা ভাষা ও ভারতীয় ইতিহাসের অধ‍্যাপক পদ বরণ করে নেন। এর ভিতরেই ১৯১০-এ তাঁর "দেশের কথা" প্রকাশিত হয়। বইটিতে তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ‍্যবাদী শক্তি-কৃত ব‍্যাপক অর্থনৈতিক লুন্ঠন ও শোষণের নির্মম সমালোচনা করেছিলেন। ফলত স্বাভাবিকভাবেই বইটি বাজেয়াপ্ত হয়। এইরকম একজন রাজরোষে পতিত ও বিতর্কিত অধ‍্যাপককে নিয়ে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ কর্তৃপক্ষ বিব্রত ও শঙ্কিত বোধ করছেন বুঝতে পেরে সখারাম গণেশ দেউস্কর স্বেচ্ছায় ইস্তফা দেন। এই সময়েই তাঁর স্ত্রী ও একমাত্র পুত্র উভয়েই প্রয়াত হলে পরে সখারাম মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তিনি তাঁর কর্মভূমি কলকাতা ছেড়ে, পিতৃপুরুষের ভিটে মহারাষ্ট্রে ফিরে যান। ১৯১২ সালের ২৩শে নভেম্বর জন্মভূমি দেওঘরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত‍্যাগ করেন।
==জীবনী==
তাঁর রচিত গ্রন্থসমূহ: দেশের কথা, তিলকের মকদ্দমা, বাজীরাও, এটা কোন যুগ, ঝাঁঁসির রাজকুমার, মহামতি রাণাডে, আনন্দীবাঈ ইত‍্যাদি।
১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই ডিসেম্বর দেওঘরের কাছাকাছি তাঁর জন্ম হয়। তাঁদের আদি বাসস্থান ছিল মহারাষ্ট্রের অন্তর্গত রত্নগিরি জেলায় দেউস নামক গ্রামে। ১৮৯১ সালে সখারাম বৈদ‍্যনাথ ইংরেজি স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা পাস করেন এবং কিছুদিন পর ঐ স্কুলেই সেকেন্ড পণ্ডিত পদে নিযুক্ত হন। মরাঠী সাহিত্যের পাশাপাশি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি তাঁর ছাত্রাবস্থা থেকেই অনুরাগ ছিল। "প্রতিভা" নামক মাসিকপত্রে তিনি প্রবন্ধ লিখতেন।
==অবদান==
১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই ডিসেম্বর দেওঘরের কাছাকাছি তাঁর জন্ম হয়। তাঁদের আদি বাসস্থান ছিল মহারাষ্ট্রের অন্তর্গত রত্নগিরি জেলায় দেউস নামক গ্রামে। ১৮৯১ সালে সখারাম বৈদ‍্যনাথ ইংরেজি স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা পাস করেন এবং কিছুদিন পর ঐ স্কুলেই সেকেন্ড পণ্ডিত পদে নিযুক্ত হন। মরাঠী সাহিত্যের পাশাপাশি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি তাঁর ছাত্রাবস্থা থেকেই অনুরাগ ছিল। "প্রতিভা" নামক মাসিকপত্রে তিনি প্রবন্ধ লিখতেন। সখারাম গণেশ দেউস্কর একজন প্রগতিশীল ও নির্ভীক মানুষ ছিলেন। "[[হিতবাদী]]" পত্রিকায় দেওঘরের তৎকালীন ম‍্যাজিস্ট্রেট লর্ড হার্ডের বিরুদ্ধে কলম ধরার ফলে তিনি কোপের মুখে পড়েন। ১৮৯৭ সালে তিনি বিদ‍্যালয় থেকে ইস্তফা দিয়ে কলকাতায় চলে আসেন এবং সাংবাদিকতাকেই পূর্ণসময়ের পেশা হিসাবে গ্রহণ করেন। "হিতবাদী" পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক [[কালীপ্রসন্ন বিদ‍্যাবিশারদকাব্যবিশারদ]] সখারামকে ঐ পত্রিকার প্রুফ-রিডার হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। ১৯০৭ সালে কালীপ্রসন্নের মৃত‍্যুর পর, সখারাম গণেশ দেউস্করই পত্রিকার সম্পাদক পদে নিযুক্ত হন। পরে তিনি জাতীয় শিক্ষা পরিষদের বাংলা ভাষা ও ভারতীয় ইতিহাসের অধ‍্যাপক পদ বরণ করে নেন। এর ভিতরেই ১৯১০-এ তাঁর "দেশের কথা" প্রকাশিত হয়। বইটিতে তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ‍্যবাদী শক্তি-কৃত ব‍্যাপক অর্থনৈতিক লুন্ঠন ও শোষণের নির্মম সমালোচনা করেছিলেন। ফলত স্বাভাবিকভাবেই বইটি বাজেয়াপ্ত হয়। এইরকম একজন রাজরোষে পতিত ও বিতর্কিত অধ‍্যাপককে নিয়ে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ কর্তৃপক্ষ বিব্রত ও শঙ্কিত বোধ করছেন বুঝতে পেরে সখারাম গণেশ দেউস্কর স্বেচ্ছায় ইস্তফা দেন। এই সময়েই তাঁর স্ত্রী ও একমাত্র পুত্র উভয়েই প্রয়াত হলে পরে সখারাম মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তিনি তাঁর কর্মভূমি কলকাতা ছেড়ে, পিতৃপুরুষের ভিটে মহারাষ্ট্রে ফিরে যান। ১৯১২ সালের ২৩শে নভেম্বর জন্মভূমি দেওঘরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত‍্যাগ করেন।
 
==মৃত্যু==
তাঁর স্ত্রী ও একমাত্র পুত্র উভয়েই প্রয়াত হলে পরে সখারাম মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তিনি তাঁর কর্মভূমি কলকাতা ছেড়ে, পিতৃপুরুষের ভিটে মহারাষ্ট্রে ফিরে যান। ১৯১২ সালের ২৩শে নভেম্বর জন্মভূমি দেওঘরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত‍্যাগ করেন।
==রচিত গ্রন্থ==
তাঁর রচিত গ্রন্থসমূহ: দেশের কথা, তিলকের মকদ্দমা, বাজীরাও, এটা কোন যুগ, ঝাঁঁসির রাজকুমার, মহামতি রাণাডে, আনন্দীবাঈ ইত‍্যাদি।