সুনামি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
১৩ নং লাইন:
 
== বিবরণ ==
সুনামির ক্ষেত্রে কম্পনজনিত বা তাড়নজনিত কারণে ফুলে উঠা পানিজল [[সলিটন|সলিটনের]] মতো বিশাল এক বা একাধিক ঢেউয়ের সৃষ্টি করে, এবং তা চারিদিকে সমান মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ঢেউ দ্রুততার সাথে পাড়ে বা পাড়গুলোতে এসে আছড়ে পড়ে। বিশাল সমুদ্রের ক্ষেত্রে, উত্থিত ঢেউ নিকটবর্তি ভূভাগের দিকে ধাবিত হয়। কখনও কখনও এই পাহাড় সমান পানি, বিশাল জলক্ষেত্র ঠেলে আসতে আসতে দূর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু কখনও কখনও তীব্র মাত্রার ঢেউ সব বাধা পার হয়ে, কিংবা ভূভাগের কাছে সংঘটিত ভূত্বকের উত্থানে তীব্র মাত্রার ঢেউ কোনো বাধা ছাড়াই নিকটবর্তি ভূভাগে এসে আঘাত করে। এধরনের আকষ্মিক [[জলোচ্ছাস|জলোচ্ছাসে]] উপকূলীয় অঞ্চলে জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। জলক্ষেত্রের নিচে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হলেও পানি এভাবে ফুলে উঠতে পারে এবং সুনামি ঘটাতে পারে। আবার স্থলভাগের কোনো ভূমি থেকে ভূমিধ্বস হলেও তা জলক্ষেত্রে এমন সুনামির সৃষ্টি করতে পারে।
 
সুনামি যে সবসময়ই বিশাল ঢেউ হয়ে আসে এমনটাও ঠিক নয়। কখনও কখনও এমনও হতে পারে, সমুদ্রের গভীরে থাকাকালীন সুনামির ঢেউটি নৌকার নিচ দিয়ে চলে গেছে অথচ টেরই পাওয়া যায়নি। এর মূল কারণ হলো সমুদ্রের নিচ অনেক গভীর হয়ে থাকে এবং ফুলে উঠা পানি সহজেই স্থিতাবস্থায় আসার মতো তল পায়। কিন্তু সমুদ্র যতই ভূভাগের কাছাকাছি হয়, ততই অগভীর হতে থাকে সমুদ্র, তাই এধরনের ঢেউও চূঁড়ার আকার ধারণ করতে শুরু করে। কিছু কিছু সুনামি ভূভাগের দিকে অগ্রসর হতে হতে ১০০ ফুট (৩০ মিটার) পর্যন্ত উঁচুও হতে পারে। এপর্যন্ত সবচেয়ে বড় সুনামি মাপা হয়েছে ২১২ ফুট উচ্চতার (৬৫ মিটার)।<ref name="Discovery"/>