সত্যব্রত সামশ্রমী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সূত্র
সূত্র
৪ নং লাইন:
১৮৪৬ সাল তাঁর জন্ম হয়। তাঁর আসল নাম কালিদাস চট্টোপাধ্যায়। পিতা রামদাস চট্টোপাধ্যায় ছিলেন [[পাটনা|পটনার]] বিচারক। পাঁচ বছর বয়সে কাশীর সরস্বতী মঠে সংস্কৃত শিক্ষার জন্য তাকে পাঠানো হয়। দুই দশক সেখানে [[সংস্কৃত সাহিত্য]], চতুর্বেদ, স্মৃতি, [[বেদান্ত]], [[উপনিষদ্‌|উপনিষদ]], ইত্যাদি অধ্যয়নের পরে পায়ে হেঁটে সমস্ত ভারত ভ্রমণ করেন। [[রাজস্থান|রাজস্থানের]] বুন্দি রাজ্যে যাওয়ার পর তাঁর মেধা ও বেদ সংক্রান্ত পান্ডিত্যে চমৎকৃত হয়ে বুন্দিরাজ তাঁকে ‘সামশ্রমী’ উপাধি দেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.anandabazar.com/supplementary/rabibashoriyo/feature-on-indologist-satyavrata-samayshreni-1.1131673|শিরোনাম=বেদ থেকে দেখিয়েছিলেন, সমুদ্রযাত্রায় জাত যায় না|শেষাংশ=সান্যাল|প্রথমাংশ=রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য|ওয়েবসাইট=anandabazar.com|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-05}}</ref>
==কর্মকান্ড==
[[কলকাতা|কলকাতায়]] এসে তিনি একটি টোল চালু করেন। সেখানে ছাত্রদের বিনা পয়সায় থাকা-খাওয়া ও সংস্কৃত পঠন পাঠন চলত। এসময় নিজ উদ্যোগে তিনি দুটি পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনা করতেন। সংস্কৃত ভাষায় লেখা পত্রিকা ‘প্রত্নকম্রনন্দিনী’ আর বাংলা ও সংস্কৃত ভাষায় লেখা পত্রিকা ‘ঊষা’।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://14.139.116.20:8080/jspui/bitstream/10603/209269/1/satarupa%20mukhopadhyay-for%20pdf.pdf|শিরোনাম=সামবেদ ও ভারতীয় মার্গসঙ্গীত|শেষাংশ=শতরূপা চক্রবর্তী|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=৫ এপ্রিল ২০২০}}</ref> এইসময় তার যোগাযোগ হয় জার্মান পণ্ডিত ফ্রিডরিখ ম্যাক্সমুলারের সঙ্গে। কলকাতা ফিলোলজিকাল সোসাইটির আজীবন সভ্য সত্যব্রত সামশ্রমী জানতেন ফারসি, ইংরেজি ভাষাও। বেদ সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদ, শ্রৌত, গৃহ ও ধৰ্ম্মসূত্র ইত্যাদির ওপর নিবন্ধ লিখেছেন রমেশচন্দ্র দত্তের সাথে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bn.wikisource.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE:%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%95-%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE_%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%AE_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1.pdf/%E0%A7%AB%E0%A7%AA%E0%A7%A6|শিরোনাম=পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৫৪০ - উইকিসংকলন একটি মুক্ত পাঠাগার|ওয়েবসাইট=bn.wikisource.org|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-05}}</ref> বিদ্যাসাগরের সঙ্গে নিয়মিত পত্র যোগাযোগ ছিল তাঁর। বিধবা বিবাহের স্বপক্ষে থাকলেও, তিনি বহুবিবাহের সমর্থক ছিলেন। কলিকাতা ছাড়াও ভারতের ন’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদের পরীক্ষক ছিলেন তিনি। ১৯১০ সালে ভাষাচার্য ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে অহিন্দু হওয়ার কারণে বেদপাঠে অনুমতি দিতে চাননি সামশ্রমী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনাটি কলিকাতা উচ্চ আদালতের নির্দেশে মীমাংসিত হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bbc.com/bengali/news-50492208|শিরোনাম=সংস্কৃত পড়াতে মুসলিম শিক্ষক নিয়োগের পর বিক্ষোভ|শেষাংশ=ঘোষ|প্রথমাংশ=শুভজ্যোতি|তারিখ=2019-11-20|কর্ম=BBC News বাংলা|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-05|ভাষা=bn}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.anandabazar.com/editorial/ভ-ঙত-হল-জ-নত-হয়-1.36646|শিরোনাম=ভাঙতে হলে জানতে হয় - Anandabazar|ওয়েবসাইট=anandabazar.com|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-05}}</ref>
 
==তথ্যসূত্র==