চারু মজুমদার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ
৩৪ নং লাইন:
 
==কৃষক বিদ্রোহে নেতৃত্বদান==
পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদের নির্বাচনে (১৯৬৭) কংগ্রেসকে পরাজিত করে বামফ্রন্ট জয়ী হলে সিপিআই (এম)-এর [[বামফ্রন্ট]] সরকারে যোগদানের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সিপিআই (এম)-এর সংগে তার বিরোধ বাধলে সিপিআই (এম) ত্যাগ। বামফ্রন্ট সরকারের অভিষেক অনুষ্ঠান (জুন ১৯৬৭) শেষ হওয়ার পরপরই তার ও কানু স্যান্যালের নেতৃত্বে দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ি এলাকায় সশস্ত্র কৃষক বিদ্রোহ সংগঠিত। কৃষকদের জমির মালিকানার দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরাঞ্চল, কেরালা ও পূর্ব উড়িষ্যায় এই সশস্ত্র আন্দোলনের ব্যাপকভাবে বিস্তারলাভ।<ref name="বাংলা"/>

==সিপিআই (এম-এল) গঠন==
১৯৬৮-তে [[কানু সান্যাল]], [[জঙ্গল সাঁওতাল]], [[নাগি রেড্ডি]] প্রমুখের সহযোগিতায় তার কর্তৃক কমিউনিস্ট কনসোলিডেশন গঠন। ১৯৬৯-এর ১ মে কলকাতা ময়দানে এক জনসভায় [[কানু সান্যাল]] কর্তৃক [[ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)|সিপিআই (এমএল)]] গঠনের কথা ঘোষণা। চারু মজুমদার এদলের সভাপতি নির্বাচিত। অতঃপর সারা ভারতে একজন বিপ্লবী নেতারূপে পরিচিতি লাভ। তার পরিচালিত আন্দোলন নকশাল আন্দোলন নামে খ্যাত। [[নকশালবাড়ি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক|নকশালবাড়ির]] সশস্ত্র কৃষক বিদ্রোহ (১৯৬৭) থেকে এ আন্দোলনের উৎপত্তি। শোষণহীন সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের আশায় অনেক প্রতিভাবান যুবক ও যুবতী তার এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ। ভারত সরকার কর্তৃক নকশালদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি প্রয়োগ। ১৯৭০-এর মাঝামাঝি সময়ে সিপিআই (এমএল) এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টি। চারু মজুমদারের নেতৃত্বকে অস্বীকার করে অসীম চট্টোপাধ্যায় ও [[সন্তোষ রানা|সন্তোষ রাণার]] দলত্যাগ। ভারত সরকার কর্তৃক তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড পরিচালনা ও সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অভিযোগ আনয়ন। তার উপর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি। কয়েক বছর পলাতক জীবন যাপন। ১৯৭২-এর ১৬ জুলাই কলকাতার এন্টালী রোডের এক বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার। ২৮ জুলাই হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ভারত সরকার কর্তৃক ঘোষণা প্রচার।<ref name="বাংলা">সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত, ''বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান''; [[বাংলা একাডেমী]], ঢাকা, এপ্রিল, ২০০৩; পৃষ্ঠা-১৫৮-৫৯।</ref>
 
== আরো দেখুন ==