বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Gsmoitri (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Gsmoitri (আলোচনা | অবদান)
তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন
১ নং লাইন:
[[File:Bangladesh Students Solidarity.jpg|thumb|বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর দেয়াল লিখন]]
'''বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] একটি বামপন্থীসাম্রাজ্যবাদ-সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদ বিরোধী প্রগতিশীল ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠন। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন হতে নানা বিভক্তি ও একীকরণের মাধ্যমে এই দলটির উদ্ভব ঘটেছে।
 
==ইতিহাস==
৬ নং লাইন:
 
৮০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (রাকসু) ছাত্রলীগ ও জাসদের বিরুদ্ধে প্যানেল ঘোষণা করে সংগঠনটি। নির্বাচনে ছাত্রমৈত্রীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা ভিপি পদে বিপুল ভোটে জয়ী হন। এই পর্যন্ত ছাত্রমৈত্রীর ১৯টি কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ফারুক আহমেদ রুবেল সভাপতি এবং কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েল সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট এবং ৩১ সদস্যবিশিষ্ট সাংগঠনিক জেলা কাঠামোর সংখ্যা ৫৪।
 
==সংগঠনের লক্ষ্যসমূহ==
প্রধানত সংগঠনের লক্ষ্য জনগণতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার সংগ্রামে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার সর্বাত্মক সংগ্রাম অব্যাহত রাখা এবং শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ছাত্র সমাজকে সহায়ক শক্তি হিসাবে গড়ে তোলা।
এছাড়াও সংগঠন সাধারণসত নিম্নোক্ত লক্ষ্যে কাজ করে-
ক) ছাত্রসমাজের বিভিন্নমুখী সমস্যা নিয়ে নিরলসভাবে ব্যাপক ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন গড়ে তোলা।
খ) জনগণের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়ার ভিত্তিতে গণআন্দোলন গড়ে তুলে তাদের সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।
গ) শ্রমিক, কৃষক, মেহনতী জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সংগ্রামে শক্তি যোগানোর পাশাপাশি তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সংগ্রামে অংশগ্রহণ করা।
ঘ) বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রগতিশীল ছাত্র ও যুবসমাজের সাথে সাম্রাজ্যবাদ, নয়া উপনিবেশবাদ ও বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামে ঐক্য ও সংহতি জোরদার করা। সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ চক্রান্তের বিরুদ্ধে লেখক, শিল্পী, কৃষক, শ্রমিক জনতার বিশ্বব্যাপী সংগ্রামের সাথে সক্রিয়ভাবে একাত্ম হওয়া।
ঙ) আন্তর্জাতিক সর্বহারার আদর্শ মার্কসবাদ, লেনিনবাদের শিক্ষায় ছাত্রসমাজকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করা।
 
==সংগঠনের শহীদগণ==
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী শিক্ষা-কাজের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এবং সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা-সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক লড়ােই-সংগ্রামের কারণে স্বভাবতই শোষক-শাসকগোষ্ঠী এবং একাত্তরের পরাজিত সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী অপশক্তি জামায়াতে ইসলাম ও তোর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের রোষানলে পতিত হয়। দীর্ঘপথচলায় ছাত্র মৈত্রীর আদর্শের পতাকাকে সমুন্নত রাখতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংগঠনের সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয় শহীদ জামিল আকতার রতন, শহীদ জুবায়ের চৌধুরী রিমু, শহীদ ফারুকুজ্জামান ফারুক, শহীদ দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য রূপম, শহীদ বনি আমিন পান্না, শহীদ আশরাফুল ইসলাম নাসিম, শহীদ আসলাম, শহীদ আতিকুল বারী, শহীদ রাজু আহম্মেদ বাবলু, শহীদ আইয়ুব হোসেন, শহীদ সেলিম, শহীদ শামীম আহমেদ, শহীদ রেজওয়ানুল ইসলাম চৌধুরী সানিসহ অসংখ্য নেতাকর্মী এবং শারীরিকভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করে অসংখ্য নেতাকর্মী।
 
==তথ্যসূত্র==
<ref>{{বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত ও প্রচারিত “ঘোষণা-কর্মসূচি ও গঠনতন্ত্র”}}</ref>
<ref>{{বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত ও প্রচারিত “রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক রিপোর্ট, ২০১৯}}</ref>
 
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল]]