চামারা সিলভা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
Suvray (আলোচনা | অবদান)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
১১৭ নং লাইন:
'''লিন্ডামালিলাগে প্রজিত চামারা সিলভা''' ({{lang-si|චාමර සිල්වා}}; জন্ম: ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭৯) পানাদুরা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। [[শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দল|শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের]] অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ থেকে ২০১১ সময়কালে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। বারো বছরের অধিক সময় ধরে সকল স্তরের ক্রিকেটে পদচারণ করেছেন তিনি।
 
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে বাসনাহিরা সাউথ, ব্লুমফিল্ড ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব, ডেকান চার্জার্স, কন্দুরাতা ম্যারুনস, [[Panadura Sports Club|পানাদুরা স্পোর্টস ক্লাব]], সেবাস্টিয়ানিটেজ ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব, [[সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব]] ও শ্রীলঙ্কা এ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে লেগ স্পিন বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন '''চামারা সিলভা'''।<ref>http://www.espncricinfo.com/ci/content/player/50431.html</ref>
 
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
পানাদুরা রয়্যাল কলেজে অধ্যয়ন করেছেন তিনি।<ref>[http://www.sundayobserver.lk/2013/03/10/spo20.asp St. John's vs Royal Panadura clash will be interesting] {{webarchive|url=https://web.archive.org/web/20130316103352/http://www.sundayobserver.lk/2013/03/10/spo20.asp |date=16 March 2013 }}</ref><ref>[http://www.dailynews.lk/2013/03/11/spo13.asp St John's and Panadura Royal clash on March 15 and 16] {{webarchive |url=https://web.archive.org/web/20130315032441/http://www.dailynews.lk/2013/03/11/spo13.asp |date=15 March 2013 }}</ref> পানাদুরা স্পোর্টস ক্লাবে খেলেন। এ ক্লাবে অবস্থানকালে বেশ সমৃদ্ধ রেকর্ড রয়েছে তার। ১৯৯৮ সাল থেকে লিস্ট এ ক্রিকেট ও ২০০৪ সাল থেকে টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট খেলে আসছেন। মাঝারিমানের সফলতাসহ বেশ ভালোমানের গড়ের অধিকারী তিনি।
১৯৯৬-৯৭ মৌসুম থেকে চামারা সিলভা’র [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর]] খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রয়েছে।
 
১৯৯৬-৯৭ মৌসুম থেকে চামারা সিলভা’র [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর]] খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রয়েছে। বাঁকানো অবস্থায় পা রেখে ব্যাটিংয়ে অগ্রসর হতেন যা অনেকাংশেই বিখ্যাত ক্রিকেটার [[অরবিন্দ ডি সিলভা|অরবিন্দ ডি সিলভা’র]] সাথে তাকে তুলনা করা হতো।
 
পানাদুরা ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়কত্ব করেন। পরবর্তী চার বছর নিয়মিতভাবে রান সংগ্রহকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ২০০৪-০৫ মৌসুমে সেবাস্টিয়ানিটিসে স্থানান্তরের পর নিজেকে আরও মেলে ধরতে সচেষ্ট হন।
 
২০১৭-১৮ মৌসুমের সুপার ফোর প্রভিন্সিয়াল টুর্নামেন্টকে ঘিরে মার্চ, ২০১৮ সালে তাকে কলম্বো দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।<ref name="STimes">{{cite news |url=http://www.sundaytimes.lk/article/1041112/cricket-mixed-opinions-on-provincial-tournament |title=Cricket: Mixed opinions on Provincial tournament |publisher=Sunday Times (Sri Lanka) |date=26 March 2018 |accessdate=27 March 2018}}</ref><ref name="DailyS">{{cite news |url=https://dailysports.lk/all-you-need-to-know-about-the-sl-super-provincial-tournament/ |title=All you need to know about the SL Super Provincial Tournament |publisher=Daily Sports |date=26 March 2018 |accessdate=27 March 2018 |archive-url=https://web.archive.org/web/20180327213128/https://dailysports.lk/all-you-need-to-know-about-the-sl-super-provincial-tournament/ |archive-date=27 March 2018 |url-status=dead }}</ref> এছাড়াও, পরের মাসে ২০১৮ সালের সুপার প্রভিন্সিয়াল ওয়ান ডে টুর্নামেন্টের জন্যে কলম্বো দলে তাকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।<ref name="2018ODT">{{cite news |url=http://www.thepapare.com/slc-super-provincial-50-tournament-squads-fixtures/ |title=SLC Super Provincial 50 over tournament squads and fixtures |work=The Papare |accessdate=27 April 2018}}</ref> মার্চ, ২০১৯ সালে সুপার প্রভিন্সিয়াল ওয়ান ডে টুর্নামেন্টের জন্যে তাকে কলম্বো দলের সদস্য করা হয়।<ref>{{cite web|url=http://www.thepapare.com/squads-fixtures-announced-for-slc-provincial-50-overs-tournament-2019/ |title=Squads, Fixtures announced for SLC Provincial 50 Overs Tournament |work=The Papare |accessdate=19 March 2019}}</ref>
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে এগারোটি [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট]] ও পঁচাত্তরটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন চামারা সিলভা। ৭ ডিসেম্বর, ২০০৬ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩ এপ্রিল, ২০০৮ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
 
== আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ==
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে এগারোটি [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট]] ও পঁচাত্তরটি [[একদিনের আন্তর্জাতিক|একদিনের আন্তর্জাতিকে]] অংশগ্রহণ করেছেন চামারা সিলভা। ৭ ডিসেম্বর, ২০০৬ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে স্বাগতিক [[নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল|নিউজিল্যান্ড দলের]] বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩ এপ্রিল, ২০০৮ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
 
১৯৯৯ সালে ঐ সময়ের [[শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট|দল নির্বাচকমণ্ডলীর]] সভাপতি [[সিদাথ ওয়েতিমুনি|সিদাথ ওয়েতিমুনি’র]] গৃহীত যুব নীতির মাধ্যমে চামারা সিলভাকে প্রথম পরিচিতি এনে দেয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক ওডিআইয়ে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে শারজাহ ও জিম্বাবুয়ে, ২০০০ সালে পাকিস্তান ও ২০০২ সালে ইংল্যান্ডে গমন করেও দলে নিয়মিতভাবে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হন।
 
ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী স্বীকৃতিস্বরূপ [[টম মুডি|টম মুডি’র]] সুদৃষ্টিতে পড়েন ও জাতীয় দলে তার না থাকার বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। শ্রীলঙ্কা এ দলের পক্ষে খেলার পর ভারতে সফলতার সাথে সফর শেষ করেন। এরপর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুণর্যাত্রা শুরু হয় তার। ২৭ বছর বয়সে বিস্ময়করভাবে নিউজিল্যান্ড গমনের জন্যে মনোনীত হন ও ক্রাইস্টচার্চে প্রথমবারের মতো টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তার দল ৫ উইকেটে পরাভূত হয়। ওয়েলিংটনে নিজেকে মেলে ধরেন। [[২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ|২০০৭]] সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের রানার্স আপ হয় তার দল। এছাড়াও, ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত [[২০০৯ আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০|২০০৯]] সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ ও [[২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ|২০১১]] সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
১৯৯৯ সালে ঐ সময়ের [[শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট|দল নির্বাচকমণ্ডলীর]] সভাপতি [[সিদাথ ওয়েতিমুনি|সিদাথ ওয়েতিমুনি’র]] গৃহীত যুব নীতির মাধ্যমে চামারা সিলভাকে প্রথম পরিচিতি এনে দেয়। ১৯৯৯ সালে শারজাহ ও জিম্বাবুয়ে, ২০০০ সালে পাকিস্তান ও ২০০২ সালে ইংল্যান্ডে গমন করেও দলে নিয়মিতভাবে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হন।
 
তবে, খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের ছাঁপ পড়লে জাতীয় দলের বাইরে তাকে রাখা হয়। তাসত্ত্বেও, ঘরোয়া ক্রিকেটে পানাদুরা স্পোর্টস ক্লাবের পক্ষে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী স্বীকৃতিস্বরূপ [[টম মুডি|টম মুডি’র]] সুদৃষ্টিতে পড়েন ও জাতীয় দলে তার না থাকার বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। শ্রীলঙ্কা এ দলের পক্ষে খেলার পর ভারতে সফলতার সাথে সফর শেষ করেন। এরপর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুণর্যাত্রা শুরু হয় তার। ২৭ বছর বয়সে বিস্ময়করভাবে নিউজিল্যান্ড গমনের জন্যে মনোনীত হন ও ক্রাইস্টচার্চে প্রথমবারের মতো টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তার দল ৫ উইকেটে পরাভূত হয়। ওয়েলিংটনে নিজেকে মেলে ধরেন।
 
== তথ্যসূত্র ==