সুভাষ দত্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Salim Khandoker (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
Salim Khandoker (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
৩২ নং লাইন:
''সুভাষ দত্ত'' সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান ও সুশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও চলচ্চিত্র নির্মাণের কৌশল শিখতে [[ভারত|ভারতের]] [[বোম্বে|বোম্বেতে]] গিয়ে পঞ্চাশের দশকের গোড়ার দিকে একটি ছায়াছবির পাবলিসিটির ষ্টুডিওতে মাত্র ত্রিশ [[টাকা]] মাসিক বেতনে কাজ শুরু করেন। ১৯৫৩ সালে ভারত থেকে [[ঢাকা|ঢাকায়]] ফিরে যোগ দেন প্রচার সংস্থা এভারগ্রিন-এ। এরপর তিনি [[বাংলাদেশের চলচ্চিত্র]] জগতে পদার্পণ করেন চলচ্চিত্রের পোস্টার আঁকার কাজের মাধ্যমে। ১৯৫৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ দেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ''[[মুখ ও মুখোশ]]''-এর পোস্টার ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক ''এহতেশাম'' এর ''[[এ দেশ তোমার আমার]]'' চলচ্চিত্রে একজন দুষ্ট নায়েব (কানুলাল) এর ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। এটি মুক্তি পায় ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি। ষাটের দশকের শুরুর দিকে নির্মিত বহুল আলোচিত ''[[হারানো দিন]]'' চলচ্চিত্রেও তিনি অভিনয় করেছিলেন। মুস্তাফিজ পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি লাভ করে ৪ আগস্ট, ১৯৬১ এবং এটি [[বাংলা ভাষা]]র প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে এক পেক্ষাগৃহে পঁচিশ সপ্তাহ প্রদর্শনের রেকর্ড তৈরী করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=কিং ব দ ন্তি : নৃত্যশিল্পী থেকে শবনম |ইউআরএল=http://www.amardeshonline.com/pages/weekly_news/2010/04/08/1570 |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ নভেম্বর ২০১২ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160304222908/http://www.amardeshonline.com/pages/weekly_news/2010/04/08/1570 |আর্কাইভের-তারিখ=৪ মার্চ ২০১৬ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> এরপর তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে তিনি কৌতুকাভিনেতা হিসেবে অভিনয় করেও বেশ প্রশংসা অর্জন করেছিলেন।
 
১৯৫৭ সালে ভারতের হাই কমিশনের উদ্যোগে একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে ওয়ারিতে। সেখানে দেখানো হয় [[সত্যজিৎ রায়]]'র ''[[পথের পাঁচালী]]'' চলচ্চিত্রটি। এবং ''পথের পাঁচালী'' দেখেই তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুপ্রাণিত হন।
[[File:Subhash Dutta and Kabori.jpg| thumb|সুতরাং চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে সুভাষ দত্ত ও কবরী]]
১৯৬৩ সালের [[মে]] মাসে তিনি নির্মাণ শুরু করেন ''[[সুতরাং]]'' চলচ্চিত্রটি এবং ১৯৬৪ সালে এটি মুক্তি দেন।<ref name="P-Alo-306006" /> এর প্রধান অভিনেতা হিসেবে তিনি অভিনয় করেন সেই সময়কার নবাগতা অভিনেত্রী [[কবরী]]'র বিপরীতে। এবং এটি বাংলাদেশের প্রথন চলচ্চিত্র হিসেবে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সম্মাননা লাভ করেছিল। ১৯৬৮ সালে জহুরুল হক ও প্রশান্ত নিয়োগির লেখা কাহিনী নিয়ে ''[[আবির্ভাব]]'' চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন সুভাষ দত্ত এবং ছবির একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন তিনি। একাত্তরে [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] সময় ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী একবার আটক করে সুভাষ দত্তকে। তবে কয়েকটি উর্দু ছবিতেও অভিনয় করার কারণে তখন পাকিস্তানেও তিনি পরিচিত মুখ। সেই সুবাদে সেদিন পাকিস্তানি ক্যাপ্টেন তাকে ছেড়ে দিতে বলেন। এবং প্রাণে বেঁচে যান সুভাষ। [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] পটভূমিতে নির্মাণ করেন ''অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী'', যাকে তার বানানো অন্যতম সেরা ছবি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭৭ সালে [[আলাউদ্দিন আল আজাদ|আলাউদ্দিন আল আজাদের]] বিখ্যাত [[উপন্যাস]] '২৩ নম্বর তৈলচিত্র' অবলম্বনে ''[[বসুন্ধরা]]'' নামের যে চলচ্চিত্রটি সুভাষ দত্ত নির্মাণ করেন- তা আজো চলচ্চিত্র সমালোচকদের আলোচনার বিষয়।<ref name=autogenerated1 /> সত্তর দশকের শেষের দিকে ডক্টর আশরাফ সিদ্দিকীর লেখা গল্প ''গলির ধারের ছেলেটি'' অবলম্বনে তিনি নির্মাণ করছিলেন ''ডুমুরের ফুল'' চলচ্চিত্রটি।<ref>''শোবিজ; সাক্ষাৎকার'' [http://www.bd-pratidin.com/?view=details&type=gold&data=Recipe&pub_no=917&cat_id=3&menu_id=12&news_type_id=1&index=2 শেষ ফুলটি ঝরে গেল; আহমদ জামান চৌধুরী] ''বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৯ নভেম্বর, ২০১২''</ref> এ দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে তিনি একাধারে চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও শিল্প নির্দেশক ছিলেন। এবং এর প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছিল তার সৃজনশীল কর্মের ঈর্ষণীয় সাফল্য।<ref name="P-Alo-305440" /><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bangla.bdnews24.com/glitz/article1243617.bdnews|শিরোনাম=স্বর্ণযুগের অগ্নিসাক্ষী সুভাষ দত্ত|ওয়েবসাইট=bangla.bdnews24.com}}</ref>
 
== মঞ্চনাটক ==