পার্বতী শংকর রায় চৌধুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
"Parbati Sankar Roy Choudhury" পাতাটি অনুবাদ করে তৈরি করা হয়েছে
 
সম্প্রসারণ
২ নং লাইন:
'''পার্বতী শঙ্কর রায় চৌধুরী''' ( '''রায় পার্বতীশঙ্কর চৌধুরী''') ('''১৮৫০-১৯১৮''') [[মানিকগঞ্জ জেলা|তেওতার]] [[জমিদার]] ছিলেন। তেওতা বর্তমানে বাংলাদেশের [[মানিকগঞ্জ জেলা|মানিকগঞ্জ জেলায়]] অবস্থিত। তিনি একজন পরোপকারী জমিদার ছিলেন। তিনি ১৮৫০ এর দশকের গোড়ার দিকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবার নাম জয়শঙ্কর চৌধুরী। তিনি ছিলেন ভাই ও বোনদের মধ্যে বয়সে সবচেয়ে বড়। তেওতা জমিদারী বাংলার অন্যতম বিখ্যাত জমিদারী ছিলো। তাদের পৈতৃক উপাধি ছিল দাশগুপ্ত (দাশ-শর্ম)।
 
== পড়াশোনা ==
পার্বতী শংকর কলকাতার হিন্দু কলেজ থেকে ডিসটিংশনসহ এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ও বৃত্তি লাভ করেন। এখানেই তাঁর শিক্ষা জীবনের ইতি ঘটে এবং তিনি খুব অল্প বয়স থেকেই তেওতার জমিদারীর বৈষয়িক কাজ তত্ত্বাবধানে মনোনিবেশ করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%9A%E0%A7%8C%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%80,_%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%80_%E0%A6%B6%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A6%B0_%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC|শিরোনাম=চৌধুরী, পার্বতী শংকর রায় - বাংলাপিডিয়া|ওয়েবসাইট=bn.banglapedia.org|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-02}}</ref>
 
== জনহিতকর কাজ ==
পার্বতী শঙ্কর ছিলেন ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন, [[ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন]], [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস|ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস]] এবং [[ঢাকা]] জেলা বোর্ডের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এই অঞ্চলের উপাদান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যারা ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। অর্থনৈতিক পুনর্গঠন কর্মসূচির অংশ হিসেবে পার্বতী শঙ্কর তেওতা জমিদারি (গোয়ালন্দ, ফরিদপুর এবং অন্যান্য জায়গায়) এর মধ্যে প্রাপ্ত কাঁচামালকে ব্যবহারের চেষ্টা করেছিলেন। তিনি মানিকগঞ্জে রেলপথ সম্প্রসারণের সাথেও যুক্ত ছিলেন। এটি পূর্বে ঢাকা শহর এবং পশ্চিমে গোয়ালন্দো নদীর বন্দরের সাথে সংযুক্ত একটি রেলপথ ছিলো।
 
== ধর্মগোলা পদ্ধতি ==
পার্বতী শঙ্করকে সবচেয়ে বেশি স্মরণ করা হয় তার ধর্মগোলা পদ্ধতির পথিকৃত হিসেবে। পদ্ধতিটিপ্রাথমিক পর্যায়ে তিনি তার বড় ভাই রাজা শ্যামাশংকর রায় এর সহযোগিতায় খাদ্য ঘাটতি ও দুর্ভিক্ষ দূর করতে সমবায়ের ভিত্তিতে ফসল জমা রাখার জন্য উদ্ভাবনপদ্ধতিটি করাউদ্ভাবন হয়।করেন।।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Food Security in Asia|শেষাংশ=Mukherjee|প্রথমাংশ=Amitava|বছর=2012|প্রকাশক=Sage Publications|পাতা=[https://books.google.com/books?id=bv6HAwAAQBAJ&pg=PA185 185], note 16|আইএসবিএন=978-81-321-0906-8}}</ref> <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://uncapsa.org/Publication/Community_Based.pdf|শিরোনাম=Cummonity Based Responses to Food Insecurity|শেষাংশ=Mukherjee|প্রথমাংশ=Amitava|তারিখ=June 2010|ধারাবাহিক=Occasional Papers 1|প্রকাশক=Centre for Alleviation of Poverty through Sustainable Agriculture, United Nations|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150910172847/http://uncapsa.org/Publication/Community_Based.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=10 September 2015|ইউআরএল-অবস্থা=dead}}</ref> তেওতা জমিদারীর ভিতরে এবং দিনাজপুরসহ অন্যান্য জায়গায় 'ধর্মগোলা' বা শস্য ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই সস্য ব্যাংকের প্রত্যেক সদস্য আট আনা বাৎসরিক চাঁদা জমা দেয়ার পাশাপাশি উৎপাদিত শস্যের উদ্ধৃত্ত অংশও ব্যাংকে জমা প্রদান করতেন। জমাকৃত এ শস্যই ব্যাংকের সদস্যদের মধ্যে সংকটকালে শস্য দানা বা বীজ হিসেবে নতুবা খাদ্য হিসেবে বিতরন করা হতো। প্রতি সদস্য শস্য উৎপাদনের পর গৃহীত প্রতি এক মণ শস্যের বিপরীতে দেড় মণ শস্য ব্যাংকে ফেরত দিতেন। শস্য জমা রাখার টিনের গুদাম নির্মাণ করা হয়েছিলো। তার এই ব্যবস্থাটি খাদ্য সংরক্ষণে সফল হয়েছিল। এই শস্য ব্যাংকগুলি বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে আনুষ্ঠানিক সমবায় সমিতি হিসাবে নিবন্ধিত হয়েছিল। পার্বতী শঙ্কর বেশ কয়েকটি নিবন্ধ লিখেছিলেন যাতে তিনি 'ধর্মগোলা' পদ্ধতির প্রাথমিক বৈশিষ্ট্যগুলিই কেবল রূপরেখাই বর্ণনা করেননি, বরং এর বহু গুণাবলী এবং সুবিধাগুলিও স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছেন। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=A note on dharma gola, or, A system of co-operative corn bank for prevention of famine, with rules and regulations|শেষাংশ=Chaudhuri, Rai Parvatisankara|বছর=1901|প্রকাশক=Baptist Mission Press}}</ref> ১৯০০ এর প্রথম দশকের গোড়ার দিকে কংগ্রেসের (আইএনসি) বার্ষিক অধিবেশনে তিনি "Indebtedness of the Bengal peasantry" বিষয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন।
 
== পদক ==
পার্বতী শঙ্কর রায় ১৯১২ সালে কায়সার-ই-হিন্দ পদক লাভ করেন। ১৯১৮ সালে তিনি কলকাতায় মারা যান।
 
== মৃত্যু ==
পার্বতী শঙ্কর রায় ১৯১২ সালে কায়সার-ই-হিন্দ পদক লাভ করেন। ১৯১৮ সালে তিনি কলকাতায় মারা যান।
১৯১৮ সালে তিনি কলকাতায় মারা যান।
 
== নোট এবং তথ্যসূত্র ==