মহিষাসুরমর্দিনী (বেতার অনুষ্ঠান): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্যসূত্রবিহীন, অপ্রাসঙ্গিক এবং কপি-পেস্ট অংশ গুলি মুছে ফেলা হল
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সংশোধন ও পরিমার্জন
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে}}
'''মহিষাসুরমর্দ্দিনী''' (অর্থাৎ মহিষাসুরকে দমনকারী) হল ১৯৩১ সাল থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ''আকাশবাণী'' বা [[অল ইন্ডিয়া রেডিও]]তে সম্প্রচারিত একটি বাংলা প্রভাতী বেতার অনুষ্ঠান। দেড় ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে রয়েছে ''শ্রীশ্রীচণ্ডী'' বা [[দেবীমাহাত্ম্য|দুর্গা সপ্তশতী]] থেকে গৃহীত দেবী [[চণ্ডী]]র স্তোত্র বা ''চণ্ডীপাঠ'', বাংলা ভক্তিগীতি, ধ্রুপদী সংগীত এবং পৌরাণিক কাহিনির নাট্যরূপ। অনুষ্ঠানটির একটি হিন্দি সংস্করণও তৈরি করা হয়, এবং বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচার হওয়ার একই সময়ে সারা ভারতের শ্রোতাদের জন্য সম্প্রচার করা হয়।এটি প্রথম প্রচারিত হয় মহাসষ্ঠীতে,কিন্তু মহালয়ার ভোরে তর্পণ করা হয় বলে,ওইদিন সকলকে ভোরবেলা জাগানোর উদ্দেশ্যে প্রতি বছর [[মহালয়া|মহালয়ার]] ভোরে এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়। প্রথমদিকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হত, কিন্তু ১৯৬৬ সাল থেকে রেকর্ড করা পূর্বের অনুষ্ঠানই শোনানো হয়। এই অনুষ্ঠানটি এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে, প্রায় ৮০ বছর পর আজও এর জনপ্রিয়তা তথা মহিমায় বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি।
{{তথ্যছক বেতার অনুষ্ঠান
| show_name = মহিষাসুরমর্দ্দিনী
| image =
| imagesize =
| caption =
| other_names = চণ্ডীপাঠ
| format = ধর্মীয়
| runtime = ১ ঘণ্টা ২৯ মিনিট
| country = [[ভারত]]
| language = [[বাংলা ভাষা|বাংলা]], [[সংস্কৃত]]
| home_station = [[আকাশবাণী]]
| syndicates =
| television =
| starring =
| creator =
| writer = * বাণীকুমার - রচনা ও প্রবর্তনা<br/>
* [[পঙ্কজ কুমার মল্লিক]] - সঙ্গীত পরিচালনা<br/>
==* [[বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র==]] - গ্রন্থনা ও শ্লোকপাঠ
| producer =
| executive_producer =
| narrated = [[বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র]]
| record_location =
| first_aired = ১৯৩২
| last_aired = বর্তমান
| num_series =
| num_episodes =
| audio_format =
| opentheme = শঙ্খধ্বনি
| endtheme = ''শান্তি দিলে ভরি'' সঙ্গীত ও শঙ্খধ্বনি
| website =
| podcast =
}}
'''মহিষাসুরমর্দ্দিনী''' (অর্থাৎ মহিষাসুরকে দমনকারী) হল ১৯৩১''[[আকাশবাণী]]'' সালথেকে সম্প্রচারিত একটি জনপ্রিয় বাংলা প্রভাতী বেতার অনুষ্ঠান। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ভারতেরআজ পশ্চিমবঙ্গপর্যন্ত রাজ্যেএই ''আকাশবাণী''অনুষ্ঠানটি বাপ্রতিবছর [[অলমহালয়ার ইন্ডিয়াদিন রেডিও]]তেসম্প্রচারিত হয়ে আসছে, যা ভারতের বেতার ইতিহাসে দীর্ঘতমকাল ধরে সম্প্রচারিত একটি বাংলা প্রভাতীস্থায়ী বেতার অনুষ্ঠান। দেড় ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে রয়েছে ''শ্রীশ্রীচণ্ডী'' বা [[দেবীমাহাত্ম্যদেবীমাহাত্ম্যম্|দুর্গা সপ্তশতী]] থেকে গৃহীত দেবী [[চণ্ডী]]র স্তোত্র বা ''চণ্ডীপাঠ'', বাংলা ভক্তিগীতি, ধ্রুপদী সংগীত এবং পৌরাণিক কাহিনির নাট্যরূপ। অনুষ্ঠানটির একটি হিন্দি সংস্করণও তৈরি করা হয়, এবং বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচার হওয়ার একই সময়ে সারা ভারতের শ্রোতাদের জন্য সম্প্রচার করা হয়।এটি প্রথম প্রচারিত হয় মহাসষ্ঠীতে,কিন্তু মহালয়ার ভোরে তর্পণ করা হয় বলে,ওইদিন সকলকে ভোরবেলা জাগানোর উদ্দেশ্যে প্রতি বছর [[মহালয়া|মহালয়ার]] ভোরে এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়। প্রথমদিকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হত, কিন্তু ১৯৬৬ সালখ্রিস্টাব্দ থেকে রেকর্ড করা পূর্বের অনুষ্ঠানই শোনানো হয়। এই অনুষ্ঠানটি এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে, প্রায় ৮০৮৭ বছর পর আজও এর জনপ্রিয়তা তথা মহিমায় বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। অনুষ্ঠানটির একটি হিন্দি সংস্করণও তৈরি করা হয়, এবং বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচার হওয়ার একই সময়ে সারা ভারতের শ্রোতাদের জন্য সম্প্রচার করা হয়।
 
==ইতিহাস==
দেবীপক্ষের সূচনায় মহালয়া অমাবস্যা ও দুর্গাপুজোর সাথে এই অনুষ্ঠানের নাড়ির যোগ। এই মহালয়ার পুণ্যলগ্নে শিশিরভেজা মৃদুশীতল ভোরে প্রায় প্রত্যেক বাঙালি জেগে ওঠেন এবং "মহিষাসুরমর্দ্দিনী" সম্প্রচার শুনবার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে থাকেন। ইদানীং আকাশবাণীর স্বত্ব গ্রহণ করে এর রেকর্ডিং HMV-RPG-এর অডিও ক্যাসেট এবং কম্প্যাক্ট ডিস্ক রূপেও বিক্রি হচ্ছে। এর সিডি সংস্করণে (২০০২এ) ১৯টি ট্র্যাক আছে।
১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের চৈত্র মাসে বাসন্তী ও অন্নপূর্ণা পূজার সন্ধিক্ষণে প্রথম সম্প্রচারিত হয় ''বসন্তেশ্বরী'' শীর্ষক অনুষ্ঠান, যা মার্কণ্ডেয় চণ্ডীর উপর ভিত্তি করে বাণীকুমারের লেখা একটি বেতার লিপিলিখন। ''বসন্তেশ্বরী'' শীর্ষক অনুষ্ঠানের অনুকরণেই কিছু পরিমার্জনের মাধ্যমে সেই বছরই দুর্গাষষ্ঠীর দিন অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত করা হয়। এই অনুষ্ঠানের সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন [[রাইচাঁদ বড়াল]], চণ্ডীপাঠ করেন [[বাণীকুমার]] স্বয়ং এবং নাট্যকথা সূত্র এবং গীতাংশ গ্রহণে ছিলেন [[বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র]]। পরবর্তীতে ১৩৩১-৩৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রতিবছরই কিছু পরিমার্জন করে নতুন স্তবস্ততি, দেবীসূক্তি, নতুন গান এবং পুরাতন গানের সুরের পরিবর্তন ঘটিয়ে অনুষ্ঠানটির সম্প্রচার করা হয়। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানটি ''মহিষাসুর বধ'', ''শারদ বন্দনা''<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://banglasonglyrics.com/14059/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%8b-%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%8b-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%8b-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%97/|শিরোনাম=জাগো, তুমি জাগো, জাগো দুর্গা|শেষাংশ=Acharjya|প্রথমাংশ=Sanjoy|তারিখ=2015-08-10|ওয়েবসাইট=বাংলায় গানের কথা {{!}} Bangla Song Lyrics|ভাষা=bn-BD|সংগ্রহের-তারিখ=2020-03-31}}</ref> নামে সম্প্রচারিত হয়, যার সঙ্গীত পরিচালনা করেন [[পঙ্কজ কুমার মল্লিক]] এবং শ্লোকপাঠ ও গ্রন্থনা করেন [[বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র]]। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে এই অনুষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে ''মহিষাসুরমর্দিনী'' রাখা হয়, যা এখনও একই নামে সম্প্রচারিত হয়ে চলেছে।<ref>http://jugasankhasuppli.zohosites.com/files/KOLKATA/KK%2042_18%20September%2C%202017.pdf</ref> এই প্রভাতী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বছর সঙ্গীতশিল্পীদের বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে বোম্বাইতে গানের রেকর্ড করাতে যাওয়ায় হেমন্ত মুখোপাধ্যায় সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে রিহার্সালে অংশ নিতে পারেননি এবং বাণীকুমারের নির্দেশে তিনি অনুষ্ঠান থেকে বাদ পরেন। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বদলে শচীন গুপ্তের নাম ঠিক করা হলেও শারিরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর বদলে ''জাগো দুর্গা'' গানটি করেন দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হত। অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে [[বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র]] স্নান করে শুভ্র পোশাকে এসে শ্লোক পাঠ করতেন। বর্তমানে ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের রেকর্ডটিই মহালয়ার দিন ভোর চারটের সময় সম্প্রচারিত করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.anandabazar.com/editorial/a-short-history-of-birendra-krishna-bhadra-s-mahisasura-mardini-in-all-india-radio-kolkata-1.1052232|শিরোনাম=মহিষাসুরমর্দিনী: বাঙালির মহালয়া|ওয়েবসাইট=anandabazar.com|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2020-03-31}}</ref>
===১৯৭৬-এর ঘটনা===
১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে সরকারমহলের চাপে [[আকাশবাণী]] ''মহিষাসুরমর্দিনীর'' পরিবর্তে ধ্যানেশনারায়ণ চক্রবর্তী রচিত ''দেবীং দুর্গতিহারিণীম্'' নামে একটি ভিন্ন অনুষ্ঠান মহালয়ার দিন একই সময়ে সম্প্রচার করে। যেখানে অনুষ্ঠানে শ্লোকপাঠ করেন [[উত্তমকুমার]], সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন [[হেমন্ত মুখোপাধ্যায়]]। অনুষ্ঠানে [[মান্না দে]], [[লতা মঙ্গেশকর]], [[আশা ভোঁসলে]], আরতি মুখোপাধ্যায়, [[সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়]] প্রমুখ বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীদের দিয়ে গান গাওয়ানো হয়। কিন্তু বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর এবং ''মহিষাসুরমর্দিনীর'' অনুষ্ঠানের বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে বাঙালি জনগণ নতুন অনুষ্ঠানটিকে মেনে নেননি। অনুষ্ঠান শেষ হতেই বিশাল জনতা আকাশবাণীর সামনে বিক্ষোপ দেখাতে শুরু করে। তৎকালীন আকাশবাণীর একজন জনপ্রিয় উপস্থাপক মিহির বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, {{cquote|দেবীদুর্গতিহারিণীম্’ অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারের মধ্যপথেই টেলিফোনে শ্রোতাদের অবর্ণনীয় গালিগালাজ আসতে শুরু করে অকথ্য ভাষায়। অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই আকাশবাণী ভবনের সামনে সমবেত হয় বিশাল জনতা। ফটকে নিয়োজিত প্রহরীরা সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যান। ফটকের গেট ভেঙে ঢুকে পড়তে চায় উত্তাল মানুষের দল।}}
এই জনরোষ সামলাতে না পেরে এবং জনগণের দাবিতে [[আকাশবাণী]] সেইবছরই দুর্গাষষ্ঠীর দিন পুনরায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে অনুষ্ঠিত পূর্বের ''মহিষাসুরমর্দিনী'' সম্প্রচার করে এবং ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে আজ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়েই ''মহিষাসুরমর্দিনী'' সম্প্রচারিত হয়ে আসছে।
 
==সঙ্গীত ও চণ্ডীপাঠ==
==বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র==
পৌরাণিক পটভূমিতে আধারিত এবং বৈদিক মন্ত্র সমন্বিত হওয়া সত্ত্বেও এই অনুষ্ঠানটি একটি অতুল্য অদ্বিতীয় সৃষ্টি। এরবাণীকুমারের রচনা ও প্রবর্তনায় সৃষ্ট এই অনুষ্ঠানে শ্লোকপাঠ ও গ্রন্থনা করেছেন [[বাণীকুমারবীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র]] ,এবং বীরেন্দ্রকৃষ্ণ[[পঙ্কজ ভদ্রকুমার করেছেনমল্লিক|পঙ্কজ শ্লোকপাঠকুমার এবংমল্লিকের]] পরিচালনায় [[দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়]] (জাগো দুর্গা দশপ্রহরণধারিণী), [[মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়]] (তব অচিন্ত্য), [[সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়]], [[আরতি মুখোপাধ্যায়]], উৎপলা সেন (''শান্তি দিলে ভরি'' ), [[শ্যামল মিত্র]] (''শুভ্র শঙ্খ-রবে'') এবং সুপ্রীতি ঘোষ (বাজলো তোমার আলোর বেণু) তাদেরতাঁদের মধুর স্বরে গান গেয়েছেন। সংগীত-পরিচালনামৃত্যুঞ্জয় করেছেনবন্দ্যোপাধ্যায়ের [[পঙ্কজকুমারশাঁখে মল্লিক]]।তিনবার অনুষ্ঠানফুঁ শুরুদেওয়ার হওয়ারপর সাথেসমবেত সাথেকণ্ঠে শঙ্খধ্বনিতেগীত আকাশ-বাতাস''যা চণ্ডী মধুকৈটভাদি'' গানের মাধ্যমে মুখরঅনুষ্ঠানের হয়েসূচনা ওঠে।হয়।
মহিষাসুরমর্দ্দিনীর আড়ালে তার মন্ত্রমুগ্ধকর কণ্ঠের জন্য এবং বাঙালির মহালয়ার প্রভাতকে মোহময় করে তোলার জন্য [[বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র]] চিরস্মরণীয় থাকবেন। এই কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী চমৎকারভাবে সংস্কৃত শ্লোক এবং দেবী দুর্গার মর্ত্যে অবতরণের কাহিনি ফুটিয়ে তুলেছেন। মহালয়া উপলক্ষ্যে দেবীপক্ষের সূচনায় দেব-দেবীরা শারদোৎসবের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেন। ১৯৩১ সালে [[কলকাতা|কলকাতার]] আকাশবাণী বেতারে প্রথম মহালয়া সম্প্রচারিত হয়। [[প্রেমাঙ্কুর আতর্থী]], বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, [[নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়]] এবং [[রাইচাঁদ বড়াল]] এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন।
 
বীরেন্দ্রকৃষ্ণের জনপ্রিয়তা এতটাই তুঙ্গে উঠেছিল যে, ১৯৭৬ সালে বাংলার সর্বকালের সেরা অভিনেতা [[উত্তম কুমার]]কে দিয়ে সেই শ্লোকপাঠ করালে, আপামর শ্রোতা মেনে নেয়নি। বীরেন ভদ্র আবার স্বস্থানে সসম্মানে ফিরে আসেন।
 
বীরেন্দ্রের মৃত্যু হয়েছে অনেককাল হল, কিন্তু তার কণ্ঠ ছাড়া মহালয়ার সকাল এখনও ভাবা যায় না। আশ্বিনের ভোরের দুটো ঘণ্টা তার উদাত্ত কণ্ঠের উচ্চারণে নিমজ্জিত হয়, তার শ্লোকপাঠে মন্ত্রমুগ্ধ বাঙালি দেবীর প্রতি সশ্রদ্ধ প্রণাম জানায়।
 
==সংগীত==
পৌরাণিক পটভূমিতে আধারিত এবং বৈদিক মন্ত্র সমন্বিত হওয়া সত্ত্বেও এই অনুষ্ঠানটি একটি অতুল্য অদ্বিতীয় সৃষ্টি। এর রচনা করেছেন [[বাণীকুমার]] , বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র করেছেন শ্লোকপাঠ এবং দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় (জাগো দুর্গা দশপ্রহরণধারিণী), [[মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়]] (তব অচিন্ত্য), [[সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়]], [[আরতি মুখোপাধ্যায়]], উৎপলা সেন (''শান্তি দিলে ভরি'' ), [[শ্যামল মিত্র]] (''শুভ্র শঙ্খ-রবে'')এবং সুপ্রীতি ঘোষ (বাজলো তোমার আলোর বেণু) তাদের মধুর স্বরে গান গেয়েছেন। সংগীত-পরিচালনা করেছেন [[পঙ্কজকুমার মল্লিক]]। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার সাথে সাথে শঙ্খধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখর হয়ে ওঠে।
 
জাগো, তুমি জাগো, জাগো দুর্গা,
 
জাগো দশপ্রহরণধারিণী,
 
অভয়াশক্তি বলপ্রদায়িনী তুমি জাগো।
 
প্রণমি বরদা অজরা অতুলা
 
বহুবলধারিণী রিপুদলবারিণী জাগো মা।
 
শরণময়ী চন্ডিকা শংকরী জাগো, জাগো মা,
 
জাগো অসুরবিনাশিনী তুমি জাগো।।
 
মহিষাসুরমর্দিনী গীতি-আলেখ্য সম্পর্কে তথ্য:
 
রচনা ও প্রবর্তনা – বাণীকুমার। সঙ্গীত-সর্জন – পঙ্কজকুমার মল্লিক। গ্রন্থনা ও স্তোত্রপাঠ – বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। “আজ দেবীপক্ষের প্রাক-প্রত্যুষে জ্যোতির্ম্ময়ী জগন্মাতা মহাশক্তির শুভ আগমন-বার্ত্তা আকাশ-বাতাসে বিঘোষিত। মহাদেবীর পুণ্য স্তবনমন্ত্রে মানবলোকে জাগরিত হোক ভূমানন্দের অপূর্ব্ব প্রেরণা। আজ শারদ গগনে-গগনে দেবী ঊষা ঘোষণা করছেন মহাশক্তির শুভ আবির্ভাব-ক্ষণ।” এরপর তিনবার শঙ্খধ্বনির পর শুরু হয় অনুষ্ঠান। সুপ্রীতি ঘোষের পরিশীলিত কন্ঠে গাওয়া সেই গান – “বাজল তোমার আলোর বেণু”। ১৩৩৯ বঙ্গাব্দের আশ্বিনে প্রথম প্রচারিত হয় অনুষ্ঠানটি, কিন্তু তখন এর নাম ছিল ‘শারদ বন্দনা’। ১৯৩৪-এর ৮ ই অক্টোবর ( ১৩৪১ বঙ্গাব্দ ) মহালয়ার সকাল ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছিল অনুষ্ঠানটি।
 
===শিল্পী===
====প্রধান শিল্পী====
* [[বাণীকুমার]] ― রচনা ও প্রবর্তনা
* [[পঙ্কজ কুমার মল্লিক]] ― সংগীত-পরিচালনা
* [[বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র]] ― গ্রন্থনা ও শ্লোকপাঠ
 
====গান ও গায়ক====
*''যা চণ্ডী মধুকৈটভাদি'' ― সমবেত কণ্ঠ
*''সিংহস্থা শশিশেখরা'' ― সমবেত কণ্ঠ
*''বাজলো তোমার আলোর বেণু'' ― সুপ্রীতি ঘোষ
*''জাগো দুর্গা দশপ্রহরণধারিণী'' ― [[দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়]]
*''ওগো আমার আগমনী-আলো'' ― শিপ্রা বসু
*''তব অচিন্ত্য রূপ-চরিত-মহিমা'' ― [[মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়]]
*''অহং রুদ্রেভির্বসুভিশ্চরা'' ― সমবেত কণ্ঠ
*''অখিল-বিমানে তব জয়-গানে'' ― কৃষ্ণা দাশগুপ্ত
*''জয়ন্তী মঙ্গলা কালী'' ― সমবেত কণ্ঠ
*''শুভ্র শঙ্খ-রবে'' ― [[শ্যামল মিত্র]], অসীমা ভট্টাচার্য, আরতি মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্য
*''জটাজুটসমাযুক্তামর্দ্ধেন্দুকৃতশেখরাম'' ― সমবেত কণ্ঠ
*''নমো চণ্ডী, নমো চণ্ডী'' ― বিমলভূষণ
*''মাগো তব বিনে সঙ্গীত প্রেম-ললিত'' ― সুমিত্রা সেন
*''বিমানে বিমানে আলোকের গানে'' ― গীতশ্রী [[সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়]]
*''জয় জয় জপ্যজয়ে'' ― সমবেত কণ্ঠ
*''হে চিন্ময়ী'' ― তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
*''অমল-কিরণে ত্রিভুবন-মনোহারিণী'' ― প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়
*''জয়ন্তী মঙ্গলা কালী'' ― পঙ্কজকুমার[[পঙ্কজ কুমার মল্লিক]] ও অন্যান্য
*''শান্তি দিলে ভরি'' ― উৎপলা সেন
 
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
 
# https://banglasonglyrics.com/14059/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%8B-%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%8B-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%8B-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97/
 
[[বিষয়শ্রেণী:দুর্গাপূজা]]