জমিদার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jayantanth (আলোচনা | অবদান)
Jayantanth (আলোচনা | অবদান)
৩৬ নং লাইন:
মুগল আমলের জমিদারি প্রথায় ঔপনিবেশিক শাসনামলে নানা বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে। জমিদাররা তাদের পুরানো অনেক অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা হারান এবং একই সঙ্গে নতুন অনেক অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা লাভ করেন। পরিবর্তিত এই প্রথার রূপান্তর ১৯৫১ সালে জমিদারি ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক বিলোপের পূর্বপর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
 
ইংরেজ [[ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]] কর্তৃক বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ ছিল জমিদারদের নতুন পদমর্যাদার প্রথম পদক্ষেপ। তবে ১৭৭২ সালে খাজনাদাতা জোতদাররা জমিদারদের স্থলাভিষিক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিদারি প্রথায় তেমন কোন কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটে নি। নায়েব দেওয়ান সৈয়দ মোহাম্মদ রেজা খান কোম্পানির পক্ষে দেওয়ানি ব্যবস্থা পরিচালনা করতেন। তিনি ছিলেন মুগল রাজস্ব ব্যবস্থার প্রতি দৃঢভাবে আস্থাশীল। তাই তার কার্যকালে জমিদাররা কোন প্রকারে তাদের পদমযাÆদা রক্ষা করতে পেরেছিলেন, যদিও সেই সময়টিতে জমিদারি ক্ষমতার অবক্ষয় শুরু হয়ে গিয়েছিল। আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা ছাড়াই জমিদাররা তাদের চিরাচরিত ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা হারিয়ে নিছক খাজনা আদায়কারীতে পরিণত হয়েছিলেন।
 
[[ওয়ারেন হেস্টিংস]] প্রথমে বাংলায় [[ফোর্ট উইলিয়ম|ফোর্ট উইলিয়মের]] এর গভর্নÆর[[গভর্নর]] (১৭৭২-১৭৭৪) ও পরে [[গভর্নর জেনারেল]] (১৭৭৪-১৭৮৫) নিযুক্ত হন। তিনি [[কোর্ট অব ডিরেক্টরস]]-এর নির্দেশে [[দেওয়ানি]] ব্যবস্থার দায়িত্ব নিজ হাতে গ্রহণ করেন এবং নায়েব দেওয়ান [[রেজা খান|রেজা খানকে]] অব্যাহতি দেন। ভূমি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় হেস্টিংস এক বৈপ্লবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। শতাব্দী প্রাচীন কর ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে তিনি প্রতিষ্ঠিত জমিদার ও তালুকদারদের স্থলে সেইসব ইজারাদার বা খাজনাদাতা জোতদারদের নিয়োগ করেন, যারা সবোÆচ্চ খাজনা প্রদানের অঙ্গীকার করেন। সনাতন জমিদারদের জন্য এই পদক্ষেপ ছিল নিঃসন্দেহে একটি বড় আঘাত। কিন্তু তবুও তারা এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে প্রতিবাদ করেন নি, কারণ তাদের জন্য সংগৃহীত রাজস্বের দশ শতাংশ হারে অনর্জিত মালিকানা ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ফলে তাদের ক্ষোভ অনেকটা প্রশমিত হয়। মালিকানা ভাতা বরাদ্দ করার ফলে তারা আর্থিক দিক থেকে আদৌ কোন ক্ষতির সম্মুখীন না হয়ে বরং লাভবান হন। কারণ খাজনা আদায়ের ঝামেলা ও অর্থ ব্যয় ছাড়াই তাদের উপার্জন রয়ে যায় কম-বেশি আগের মতোই।
 
==জমিদারি প্রথায় প্রত্যাবর্তন==