জমিদার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jayantanth (আলোচনা | অবদান)
Jayantanth (আলোচনা | অবদান)
৪১ নং লাইন:
 
==জমিদারি প্রথায় প্রত্যাবর্তন==
পঁাচসনা বন্দোবস্ত নামে পরিচিত এক ধরনের ইজারা বন্দোবস্ত থেকেও প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যায় নি। খাজনাদাতা জোতদারদের অধিকাংশই ছিলেন বণিক শ্রেণীর। ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাদের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। সরকারকে কর পরিশোধ করা এবং নিজেদের জন্য মুনাফা করার বেপরোয়া প্রয়াসে তারা সাধারণভাবে রায়তদের কাছ থেকে উচ্চ হারে জমির খাজনা আদায় করতেন। তাদের অনেকেরই ভূমির সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে কোন সম্পর্ক ছিল না। উচ্চ হারে খাজনার চাপ এবং নিপীড়নের ফলে রায়তরা ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়ে যেত এবং নানা গোলযোগ সৃষ্টি করত। ফলে রাজস্ব আদায় হ্রাস পেতে থাকে এবং অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে।
 
{main|পাঁচসনা বন্দোবস্ত}}
কৃষি বন্দোবস্তের এমন ধ্বংসাত্মক পরিণতির পরিপ্রেক্ষিতে কোর্ট অব ডিরেক্টরস রাজস্ব আদায়ের জন্য পঁাচসনা বন্দোবস্তের মেয়াদ শেষে পুরানো জমিদারি প্রথা পুনঃপ্রবর্তনের জন্য কলকাতা প্রশাসনকে পরামর্শ দেয়। ১৭৭৭ সালে পাঁচসনা বন্দোবস্তের মেয়াদ শেষ হলে কোর্ট অব ডিরেক্টরস-এর পরামর্শ অনুযায়ী জমিদারদের সঙ্গে এক থেকে তিন বছর মেয়াদে রাজস্ব আদায় বিষয়ক বন্দোবস্ত করা হয়। ১৭৭৮-৭৯ খ্রিষ্টাব্দে আবার জমিদারদের সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি রাজস্ব বন্দোবস্ত হয়। কিন্তু ১৭৬৫ সালে কোম্পানির দেওয়ানি লাভের সময় থেকে শ্রেণী হিসেবে জমিদার ও তালুকদারদের মধ্যে যে অবক্ষয় শুরু হয় তা ঐ শতকের সত্তরের দশকে আরও প্রকট হয়ে ওঠে। ফলে ভূমির মালিকরা একটি দারিদ্রপীড়িত ও অজ্ঞ শ্রেণীতে পরিণত হন। নতুন পরিবেশ-পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং তার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে তারা ব্যর্থ হন। জমিদাররা কৃষি বন্দোবস্ত আমলের অনর্জিত ভাতায় জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন এবং জমিদারি প্রথায় প্রত্যাবর্তনের পর যখন তারা নিজেদের নামে জমির বন্দোবস্ত লাভ করেন তখন তাদের একই ইজারা ব্যবস্থার শরণাপন্ন হতে দেখা যায়। সকল বড় বড় জমিদার তাদের জমিদারি এস্টেটকে ছোট ছোট খণ্ডে বিভক্ত করে ইজারাদারদের কাছে ইজারা দিতেন। সে কারণে ১৭৭৮ সালের পরিবর্তনের ফলে প্রকৃতপক্ষে অবস্থার কোন উন্নতি ঘটে নি, অর্থনীতির অধোগতি রোধ করা সম্ভব হয় নি, কর সংগ্রহে নিশ্চয়তা ফিরে আসে নি।
 
পঁাচসনা[[পাঁচসনা বন্দোবস্ত]](১৭৭২-১৭৭৭) নামে পরিচিত এক ধরনের [[ইজারা বন্দোবস্ত]] থেকেও প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যায় নি। খাজনাদাতা [[জোতদার|জোতদারদের]] অধিকাংশই ছিলেন [[বণিক]] শ্রেণীর। ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাদের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। সরকারকে কর পরিশোধ করা এবং নিজেদের জন্য মুনাফা করার বেপরোয়া প্রয়াসে তারা সাধারণভাবে রায়তদের কাছ থেকে উচ্চ হারে জমির খাজনা আদায় করতেন। তাদের অনেকেরই ভূমির সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে কোন সম্পর্ক ছিল না। উচ্চ হারে খাজনার চাপ এবং নিপীড়নের ফলে রায়তরা ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়ে যেত এবং নানা গোলযোগ সৃষ্টি করত। ফলে রাজস্ব আদায় হ্রাস পেতে থাকে এবং অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে।
 
কৃষি বন্দোবস্তের এমন ধ্বংসাত্মক পরিণতির পরিপ্রেক্ষিতে [[কোর্ট অব ডিরেক্টরস]] রাজস্ব আদায়ের জন্য পঁাচসনাপাঁচসনা বন্দোবস্তের মেয়াদ শেষে পুরানো জমিদারি প্রথা পুনঃপ্রবর্তনের জন্য কলকাতা প্রশাসনকে পরামর্শ দেয়। ১৭৭৭ সালে পাঁচসনা বন্দোবস্তের মেয়াদ শেষ হলে কোর্ট অব ডিরেক্টরস-এর পরামর্শ অনুযায়ী জমিদারদের সঙ্গে এক থেকে তিন বছর মেয়াদে রাজস্ব আদায় বিষয়ক বন্দোবস্ত করা হয়। ১৭৭৮-৭৯ খ্রিষ্টাব্দে আবার জমিদারদের সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি রাজস্ব বন্দোবস্ত হয়। কিন্তু ১৭৬৫ সালে কোম্পানির [[দেওয়ানি লাভ|দেওয়ানি লাভের]] সময় থেকে শ্রেণী হিসেবে জমিদার ও তালুকদারদের মধ্যে যে অবক্ষয় শুরু হয় তা ঐ শতকের সত্তরের দশকে আরও প্রকট হয়ে ওঠে। ফলে ভূমির মালিকরা একটি দারিদ্রপীড়িত ও অজ্ঞ শ্রেণীতে পরিণত হন। নতুন পরিবেশ-পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং তার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে তারা ব্যর্থ হন। জমিদাররা কৃষি বন্দোবস্ত আমলের অনর্জিত ভাতায় জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন এবং জমিদারি প্রথায় প্রত্যাবর্তনের পর যখন তারা নিজেদের নামে জমির বন্দোবস্ত লাভ করেন তখন তাদের একই ইজারা ব্যবস্থার শরণাপন্ন হতে দেখা যায়। সকল বড় বড় জমিদার তাদের জমিদারি এস্টেটকে ছোট ছোট খণ্ডে বিভক্ত করে [[ইজারাদার|ইজারাদারদের]] কাছে ইজারা দিতেন। সে কারণে ১৭৭৮ সালের পরিবর্তনের ফলে প্রকৃতপক্ষে অবস্থার কোন উন্নতি ঘটে নি, অর্থনীতির অধোগতি রোধ করা সম্ভব হয় নি, কর সংগ্রহে নিশ্চয়তা ফিরে আসে নি।
 
==পিট্‌স ইন্ডিয়া অ্যাক্ট, ১৭৮৪==