সেন্ট মার্টিন দ্বীপ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
RockyMasum (আলোচনা | অবদান)
RockyMasum (আলোচনা | অবদান)
পরিষ্কারকরণ
১৭ নং লাইন:
 
== ইতিহাস ==
[[চিত্র:StMartin Island Bangladesh.JPG|200px|thumb|right|সেন্ট মার্টিনস্ থেকে দূরের অস্পষ্ট মায়ানমারের পাহাড়শ্রেনী সমূহ]]
কবে প্রথম এই দ্বীপটিকে মানুষ শনাক্ত করেছিল তা জানা যায় না। প্রথম কিছু আরব বণিক এই দ্বীপটির নামকরণ করেছিল জিঞ্জিরা। উল্লেখ্য এরা [[চট্টগ্রাম]] থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যাতায়াতের সময় এই দ্বীপটিতে বিশ্রামের জন্য ব্যবহার করতো। কালক্রমে চট্টগ্রাম এবং তৎসংলগ্ন মানুষ এই দ্বীপটিকে জিঞ্জিরা নামেই চিনতো। ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে কিছু বাঙালি এবং [[রাখাইন]] সম্প্রদায়ের মানুষ এই দ্বীপে বসতি স্থাপনের জন্য আসে। এরা ছিল মূলত মৎস্যজীবি। যতটুকু জানা যায়, প্রথম অধিবাসী হিসাবে বসতি স্থাপন করেছিল ১৩টি পরিবার। এরা বেছে নিয়েছিল এই দ্বীপের উত্তরাংশ। কালক্রমে এই দ্বীপটি বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় পরিণত হয়। আগে থেকেই এই দ্বীপে কেয়া এবং ঝাউগাছ ছিল। সম্ভবত বাঙালি জেলেরা জলকষ্ট এবং ক্লান্তি দূরীকরণের অবলম্বন হিসাবে প্রচুর পরিমাণ নারকেল গাছ এই দ্বীপে রোপণ করেছিল। কালক্রমে পুরো দ্বীপটি একসময় 'নারকেল গাছ প্রধান' দ্বীপে পরিণত হয়। এই সূত্রে স্থানীয় অধিবাসীরা এই দ্বীপের উত্তরাংশকে নারিকেল জিঞ্জিরা নামে অভিহিত করা শুরু করে। ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ব্রিটিশ ভূ-জরীপ দল এই দ্বীপকে [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ-ভারতের]] অংশ হিসাবে গ্রহণ করে। জরীপে এরা স্থানীয় নামের পরিবর্তে খ্রিষ্টান সাধু মার্টিনের নামানুসারে সেন্ট মার্টিন নাম প্রদান করে। এরপর ধীরে ধীরে এই অঞ্চলের বাইরের মানুষের কাছে, দ্বীপটি সেন্ট মার্টিন নামেই পরিচিত লাভ করে।<ref name="parjatan">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.parjatan.gov.bd/site/page/2458a4be-29f5-4294-86e1-07a6f9a34ca9/%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%AA|শিরোনাম=Bangladesh Parjatan Corporation|কর্ম=parjatan.gov.bd}}</ref>
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক শেখ বখতিয়ার উদ্দিন এর মতে, ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে দ্বীপটিকে যখন ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তখন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মার্টিনের নাম অনুসারে দ্বীপটির নামকরণ করা হয়। <ref name="বিবিসি বাংলা">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
৩০ ⟶ ৩১ নং লাইন:
 
সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে প্রায় ৬৬ প্রজাতির [[প্রবাল]], ১শ ৮৭ প্রজাতির [[শামুক]]-[[ঝিনুক]], ১শ ৫৩ প্রজাতির সামুদ্রিক [[শৈবাল]], ১শ ৫৭ প্রজাতির গুপ্তজীবী উদ্ভিদ, ২শ ৪০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, চার প্রজাতির [[উভচর প্রাণী|উভচর]] ও ১শ ২০ প্রজাতির [[পাখি]] পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে পেজালা নামে পরিচিত Sea weeds বা অ্যালগি (Algae) এক ধরনের সামুদ্রিক শৈবাল সেন্ট মার্টিন্সে প্রচুর পাওয়া যায়। এগুলো বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে তবে লাল অ্যালগি (Red Algae) বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়াও রয়েছে ১৯ প্রজাতির [[স্তন্যপায়ী]] প্রাণী।<ref name="ReferenceA">সাপ্তাহিক ২০০০, ২২ অক্টোবর ২০১০, পৃ-১২</ref> অমেরুদন্ডী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে স্পঞ্জ, শিল কাঁকড়া, সন্যাসী শিল [[কাঁকড়া]], [[গলদা|লবস্টার]] ইত্যাদি। মাছের মধ্যে রয়েছে পরী মাছ, প্রজাপতি মাছ, বোল করাল,রাঙ্গা কই, সুঁই মাছ, লাল মাছ,উড়ুক্কু মাছ ইত্যাদি।<ref name="ReferenceA"/> সামুদ্রিক কচ্ছপ [[সবুজ সাগর কাছিম]] এবং [[জলপাইরঙা সাগর কাছিম]] প্রজাতির ডিম পাড়ার স্থান হিসেবে জায়গাটি খ্যাত।
 
 
== উদ্ভিদবৈচিত্র ==
[[চিত্র:Keya Tree of Saint Martin Island.JPG|thumb|কেয়া বন]]
দ্বীপে কেওড়া বন ছাড়া প্রাকৃতিক বন বলতে যা বোঝায় তা নেই। তবে দ্বীপের দক্ষিণ দিকে প্রচুর পরিমাণে [[কেওড়া]]র ঝোপ-ঝাড় আছে। দক্ষিণ দিকে কিছু [[ম্যানগ্রোভ]] গাছ আছে। অন্যান্য উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে কেয়া, শ্যাওড়া, সাগরলতা, বাইন, নারিকেল গাছ ইত্যাদি।<ref>সাপ্তাহিক ২০০০, ২২ অক্টোবর ২০১০, পৃ-১৩</ref>
 
== অধিবাসী ==
[[চিত্র:StMartin Island Bangladesh.JPG|200px|thumb|right|সেন্ট মার্টিনস্ থেকে দূরের অস্পষ্ট মায়ানমারের পাহাড়শ্রেনী সমূহ]]
প্রায় ১০০ থেকে ১২৫ বছর আগে এখানে লোক বসতি শুরু হয়। বর্তমানে এখানে সাত হাজারেরও বেশি লোক বসবাস করে।{{cn}} দ্বীপের লোকসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানকার বাসিন্দাদের প্রধান পেশা মাছ ধরা। পর্যটক ও হোটেল ব্যবসায়ীরাই প্রধানত তাদের কাছ থেকে মাছ কেনেন। ছোট মাছ পাটিতে বিছিয়ে, পিটকালা মাছ বালুতে বিছিয়ে এবং বড় জাতের মাছ পেট বরাবর ফেড়ে মাচায় শুকানো হয়। এ ছাড়াও দ্বীপবাসী অনেকে মাছ, নারিকেল, পেজালা এবং ঝিনুক ব্যবসা করে{{cn}}। এছাড়াও কিছু মানুষ দোকানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। ছোট ছোট শিশুরা দ্বীপ থেকে সংগৃহীত শৈবাল পর্যটকদের কাছে বিক্রি করে থাকে। সম্পূর্ণ সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপেই প্রচুর নারিকেল এবং ডাব বিক্রি হয়। মায়ানমারের আরাকন থেকে বাংলা ভাষি রোহিঙ্গাদের দ্বীপ অঞ্চলে প্রায়শই দেখা যায়।
 
৪৭ নং লাইন:
চিত্র:Coconut garden Saint Martins Island.jpg|নারিকেল বাগান সেন্ট মার্টিন্‌স
চিত্র:View from St. Martin's Island.jpg|সেন্ট মার্টিন্‌স দ্বীপ এর নৌকা
চিত্র:Coral of Saintmarin front.jpg|ছেঁড়া দ্বীপ এর [[প্রবাল]]
চিত্র:Saint Martin Island Back side twilight view.JPG|সূর্যস্তর দৃশ্যরূপ
চিত্র:Keya Tree of Saint Martin Island.JPG|কেয়া বন
চিত্র:Main jeti saint martin's island.jpg|সেন্ট মার্টিন্‌স দ্বীপের প্রধান জেটি
চিত্র:Light house saint martin's island.jpg|সেন্ট মার্টিন্‌স দ্বীপের একটি রিসোর্ট
৫৮ ⟶ ৫৬ নং লাইন:
 
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা|30em}}
 
== বহিঃসংযোগ ==