জনি ক্যাশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ ক্যাট-এ-লট: বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন কণ্ঠশিল্পী থেকে বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন গায়ক-এ স্থানান্তরিত |
Foysol3195 (আলোচনা | অবদান) সংশোধন, পরিষ্কারকরণ |
||
১ নং লাইন:
| name = জনি ক্যাশ
| image = JohnnyCash1969.jpg
৫ নং লাইন:
| birth_name = জে. আর. ক্যাশ
| birth_date = {{জন্ম তারিখ|1932|2|26|mf=y}}
| birth_place = [[আর্কানসাস|কিংসল্যান্ড,
| death_date = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|2003|9|12|1932|2|26|mf=y}}
| death_place = [[
| resting_place = [[হেন্ডারসনভাইল মেমরি গার্ডেনস]], টেনিসি, যুক্তরাষ্ট্র
| occupation = {{hlist|গায়ক ও সঙ্গীত রচয়িতা|গিটারিস্ট|অভিনেতা|গ্রন্থকার<!-- Discuss on talk page before changing. -->}}
২৮ নং লাইন:
ক্যাশের অধিকাংশ কাজে দুঃখ, নৈতিক দুর্দশা এবং মুক্তি বিশেষভাবে স্থান পেয়েছে, বিশেষত পরবর্তী জীবনে তিনি এই ঘরানায় বেশি কাজ করেছেন। <ref name="Mulligan">{{উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Johnny Cash: American VI: Ain't No Grave}}</ref> তার অন্যান্য সিগনেচার সংয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য " আই ওয়াক দ্য লাইন ", " রিং অফ ফায়ার ", " গেট রিদম " এবং " ম্যান ইন ব্ল্যাক "। তিনি " ওয়ান পিস অ্যাট আ টাইম " এবং " এ বয় নেমড স্যু " এর মতো রসাত্মক গানও রেকর্ড করেছেন; আরও আছে তার ভাবী-স্ত্রী জুন কার্টারের সাথে একটি ডুয়েট, " জ্যাকসন " (তাদের বিয়ের পরে আরও অনেক গান তারা একসাথে করেন); এবং " হেই, পোর্টার ", " কমলা ব্লসম স্পেশাল ", এবং " রক আইল্যান্ড লাইন " সহ রেলপথের গানগুলি । <ref name="Cusic_book">For discussion of, and lyrics to, Cash's songs, see {{উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Johnny Cash: The songs}}</ref> তার ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে, ক্যাশ বিংশ শতাব্দীর বেশিরভাগ রক শিল্পীদের গানে কভার দিয়েছিলেন, নাইন ইঞ্চ নখের " হার্ট " এবং সাউন্ডগার্ডেনের " রাস্টি কেইজ " তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
==
[[চিত্র:Johnny_Cash_boyhood_home_Dyess_AR_2013-10-05_003.jpg|ডান|থাম্ব| আরাকানসাসের ডাইস নগরের এই বাড়িতে তিনি ছেলেবেলা কাটিয়েছেন। ১৯৩৫ সালে তিন বছর বয়স থেকে ১৯৫০ সালে উচ্চ বিদ্যালয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বাড়িতে বসবাস করেন। ২০১৩ সালে চিত্রিত সম্পত্তিটি ঐতিহাসিক স্থানগুলির জাতীয় নিবন্ধে তালিকাভুক্ত হয়েছে ।]]
জনি ক্যাশ ০২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২ সালে আরকানসাসের কিংসল্যান্ডে {{Sfn|Miller|2003}} <ref>Ellis, A. (2004, 01). "The man in black: Johnny cash, 1932–2003". ''Guitar Player,'' 38, 31–32, 34.</ref> জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ক্যারি ক্লোভারি ( ''ন্যা'' রিভার্স) এবং রে ক্যাশের সাত সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ : রয়, মার্গারেট লুইস, জ্যাক, জে.আর., রেবা, জোয়ান এবং টমি (যিনি পরবর্তীতে সফল কান্ট্রি আর্টিস্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন)। । জন মূলতঃ ইংরেজ এবং স্কটিশ বংশোদ্ভূত। <ref name="Memoir1">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=A memoir|শেষাংশ=Cash|প্রথমাংশ=Roseanne|বছর=2010|প্রকাশক=Viking Press|আইএসবিএন=978-1-101-45769-6}}</ref> বড় হয়ে তিনি নিজের পারিবারিক নামের সঙ্গে একাদশ শতকের ফাইফ উপদ্বীপের সংযোগ আবিষ্কার করেন। এই তথ্য তাকে জানিয়েছিলেন তৎকালীন ফলল্যান্ডের লেয়ার্ড মেজর মাইকেল ক্রিকটন স্টুয়ার্ট। {{Sfn|Miller|2003}} <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books|শিরোনাম=Cash: The Autobiography|শেষাংশ=Cash|প্রথমাংশ=Johnny|শেষাংশ২=Carr|প্রথমাংশ২=Patrick|তারিখ=2003|প্রকাশক=Harper Collins|পাতা=3|আইএসবিএন=0060727535|সংগ্রহের-তারিখ=February 26, 2019}}</ref> ক্যাশ লক এবং ফাইফের অন্যান্য কিছু জায়গার নামের সঙ্গে তার পূর্বপুরুষদের নাম মিশে আছে। {{Sfn|Miller|2003}}
৫৭ নং লাইন:
=== প্রারম্ভিক কর্মজীবন ===
[[চিত্র:Johnny_Cash_Sun_Records_promotional_portrait.jpg|বাম|থাম্ব| সান রেকর্ডস, ১৯৫৫ সালের পাবলিসিটি ফটো]]
১৯৫৪ সালে ক্যাশ আর ভিভিয়ান [[মেম্ফিস|টেনেসির মেমফিসে]] বসবাস শুরু করেন। বেতারঘোষকের কাজে অধ্যয়নের যাবতীয় সরঞ্জাম তিনি এখানে এসে
১৯৫৬ সাল। ডিসেম্বরের ৪ তারিখে ফিলিপসের ষ্টুডিওতে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য এসেছিলেন এলভিস প্রিসলি। তখন কার্ল পার্কিন্স নতুন এক গান নিয়ে কাজ করছিলেন, জেরি লি ছিলেন পিয়ানোতে। ষ্টুডিওতে ক্যাশও ছিলেন, চারজন মিলে জ্যাম সেশন শুরু করেছিলেন তারা। ফিলিপস রেকর্ডিং শুরু করে দিয়েছেন ততক্ষণে, অর্ধেকই গসপেলধর্মী গান। তখন থেকেই তারা “মিলিয়ন দলের কার্লেট” নাম রিলিজ পেতে শুরু করেন। ক্যাশ: দ্য অটোবায়োগ্রাফি বইয়ে তিনি লিখেছেন, এলভিসের সাথে গলা মেলানোর জন্য তিনি মাইক্রোফোন থেকে যত সম্ভব দূরে অবস্থান নিয়েছিলেন, তারপর গেয়েছিলেন হাই পিচে।
ক্যাশের পরবর্তী রেকর্ড, “ফলসম প্রিজন ব্লুজ” কান্ট্রি টপ ফাইভে স্থান করে নেয়। তার “আই ওয়াক দ্য লাইন” কান্ট্রি সং তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে, ঢুকে যায় পপ তালিকার শ্রেষ্ঠ বিশেও। এরপর রিলিজ পায় জুলাই ১৯৫৭ সালে রেকর্ড করা
১৯৫৮ সালে কলম্বিয়া রেকর্ডসের দারুণ এক অফার লুফে নেন, সেই সঙ্গে শেষ হয় তার সান রেকর্ড ক্যারিয়ার। “টেক ইওর গানস টু টাউন” তার সর্বাধিক জনপ্রিয় একক অ্যালবামের
(আরসিএ ভিক্টর প্রিসলিকে সাইন করানোর সময় তার সান রেকর্ড মাস্টারগুলোও কিনে নিয়েছিল, তবে ক্যাশ প্রসঙ্গে ফিলিপস সান মাস্টার বিক্রি করতে রাজি হননি। কাজেই কলাম্বিয়া কিছু রেকর্ডিংয়ের মরণোত্তর স্বত্ব
[[চিত্র:Johnny_Cash_and_The_Tennessee_Three_1963.JPG|ডান|থাম্ব|১৯৬৩ সালে দ্য টেনিসি থ্রির সাথে ক্যাশ]]
ক্যারিয়ারের প্রথমদিকে ক্যাশকে তার সহকর্মীর মজা করে “আজরাইল” বলে ডাকতেন। কারণ, তিনি সব সময় কালো জামা পরে গান করতে অভ্যস্ত ছিলেন। এর ব্যাখ্যায় তিনি জানান, দীর্ঘ টুরে কালো পড়লে সব সময় পরিচ্ছন্ন দেখায়। <ref>{{ম্যাগাজিন উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.rollingstone.com/music/news/10-things-you-didnt-know-about-johnny-cash-20131031|তারিখ=2013-10-31|সংগ্রহের-তারিখ=August 29, 2014}}</ref>
ষাটের দশকের শুরুতে ক্যাশ কার্টার পরিবারে সঙ্গে কিছু টুরে
লন্ডন ও অন্টারিওর প্রমোটার সল হলিফ ক্যাশের ক্যারিয়ারের দেখভাল করছিলেন তখন।
=== আউটল ইমেজ ===
পঞ্চাশের দশকে যখন ক্যারিয়ারে নানা রকম সফলতার দেখা পাচ্ছিলেন, একই সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গেলেন অত্যধিক
এতো সমস্যায় জড়িয়েও তিনি তার কাজে সৃজনশীলতার অনবদ্য স্বাক্ষর রেখেই যাচ্ছিলেন। “রিং অফ ফায়ার” গানটির অনুবাদটি দারুণ হিট হয়েছিল। কান্ট্রি চার্টে আবারও প্রথম হল গানটি, ঢুকে গেল পপ গানের শ্রেষ্ঠ বিশে। গানটি মূলতঃ করেছিল জুনের বোন, তবে ক্যাশ তার নিজস্ব ধাঁচের ম্যারিয়াকি স্টাইলের স্বাক্ষর রাখার কারণেই তা অন্যে এক উচ্চতায় পৌঁছে যায়। পরবর্তীতে ক্যাশ বলেন, গানটি স্বপ্নে পেয়েছিলেন তিনি। ভিভিয়ান লিবার্তো অবশ্য আরেকটা গল্প বলেছেন তার “আই ওয়াকড দ্য লাইন: মাই লাইফ উইথ জনি” বইয়ে. সেখানে তিনি উল্লেখ করেন গীতিকারের কৃতিত্ব অর্ধেকটা কার্টারকে দেওয়ার পেছনে অর্থনৈতিক ভূমিকা ছিল। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=TmkBUE0f3HAC&pg=PA294#v=onepage&q&f=false|শিরোনাম=I Walked the Line: My Life with Johnny|শেষাংশ=Cash|প্রথমাংশ=Vivian|শেষাংশ২=Sharpsteen|প্রথমাংশ২=Ann|তারিখ=2007|প্রকাশক=[[Simon & Schuster]]|পাতা=294|আইএসবিএন=978-1416532927|সংগ্রহের-তারিখ=February 28, 2019|সংস্করণ=Hardcover}}</ref>
১৯৬৫ সালের জুন মাসে লস পাদ্রেস ন্যাশনাল ফরেস্টে এক মাছধরার প্রমোদভ্রমণে গিয়েছিলেন তিনি, সঙ্গে ছিল ভাতিজা ডেমন ফিল্ডার। ক্যাশের ক্যাম্পারে সেবার আগুন ধরে যায়. সেখান থেকে ছড়িয়ে যায় গোটা বনেই। সে যাত্রায় আরেকটু হলেই প্রাণ হারিয়েছিলেন তিনি। ক্যাশ দাবী করেন, আগুনটা ধরেছিল তার ক্যাম্পারের ত্রূটিপূর্ণ এগজস্ট সিস্টেমের কারণে। তার বক্তব্য অবশ্য ফিল্ডার গ্রহণ করেননি। তিনি মনে করেন আগুনটা ক্যাশ নিজেই ধরিয়েছিলেন, মাতাল অবস্থায় উষ্ণতার খোঁজে। পরবর্তীতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায়
এই দাবানলে ৫০৮ একর বনভূমি ধ্বংস হয়েছিল, তিনটি পাহাড়ের সব পর্ণরাজি পুড়ে চাই হয়ে যায়, সেই সাথে বিপন্নপ্রায় ৫৩ ক্যালিফোর্নিয়ার শকুনের ৪৯ টিই গৃহহীন হয়ে যায়। তথ্যটি জানার পর ক্যাশকে মোটেও অনুতপ্ত হতে দেখা যায়নি। বরং তিনি কেবল বলেছিলেন, “তোমাদের ওসব হলুদ পাখি নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই!”<ref name="LAT Hilburn">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://articles.latimes.com/2013/oct/12/entertainment/la-et-ms-johnny-cash-calif|শিরোনাম=Johnny Cash's dark California days|শেষাংশ=Hilburn|প্রথমাংশ=Robert|তারিখ=October 12, 2013|কর্ম=[[LA Times]]|সংগ্রহের-তারিখ=20 February 2018}}</ref> ফেডারেল গভর্নমেন্ট তার থেকে ১২৫,১৭২ ডলার ক্ষতিপূরণ দাবী করে, শেষতক মামলাটা মিটমাট হয়েছিল ক্যাশ ৮২,০০১ ডলার দেওয়ার পর। ২০১৭ সালের হিসেবে অনুসারে গোটা বিশ্বেই বন্য এবং সংরক্ষিত সব মিলিয়ে মাত্র ৪৬৩টি ক্যালিফোর্নিয়া কনডোর রয়েছে।
এমন এক আইনবিরোধী ইতিহাস থাকার পরও ক্যাশকে কখনও জেলে যেতে হয়নি। সাত বার আদালতে হাজির হয়েছিলেন তিনি, অথচ প্রতিবার হাজতে মাত্র এক রাত কাটিয়েই বেরিয়ে গেছেন তিনি। ১৯৬৫ সালের মে মাসের ১১ তারিখ তাকে স্টার্কভাইলে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অপরাধ: অন্যের জমিতে ঢুকে ফুল তুলছিলেন। এই ঘটনার কথা তিনি লিখেছিলেন স্টার্কভাইল সিটি জেইল গানে। একই বছর অক্টবরের ৪ তারিখ টেক্সাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন নারকোটিক স্কোয়াডের হাতে। তাদের সন্দেহ ছিল মেক্সিকো থেকে তিনি হেরোইন পাচার করছিলেন। তার বদলে ওরা গায়কের গিটারের মধ্যে খুঁজে পেল ৬৮৮টি ডেক্সাড্রাইন ক্যাপসুল (মূলতঃ অ্যাম্ফিট্যামিন) আর ৪৭৫টি ইকুয়ারিল (সিডেটিভ)। অবৈধ মাদকদ্রব্যর বদলে প্রেসক্রিপশন ড্রাগস নিয়ে ধরা পড়েই বেঁচে গেলেন তিনি। স্বল্প সময়ের জন্য সাজা হল সে যাত্রা। ১৫০০ ডলারের
ষাটের দশকের মাঝামাঝি ক্যাশ বেশ কয়েকটি কনসেপ্ট অ্যালবাম প্রকাশ করেন। তার বিটার টিয়ার্স (১৯৬৪) অ্যালবাম তিনি নেটিভ আমেরিকানদের জন্য লিখেছিলেন, বলেছিলেন সরকারের করা তাদের প্রতি যত অনাচারের কথা। হিট চার্টে গানগুলি বেশ জনপ্রিয়তা পেলেও তীব্র সমালোচনা হয়েছিল রেডিও ও ভক্তদের মধ্যে। তাদের ধারণা ছিল এই গানগুলো থেকে সমাজে বিতর্ক জন্ম নিতে পারে। ২০১১ সালে এক বইয়ে এই অ্যালবামের কথা লেখা হওয়ার আগে ব্যাপারটি মানুষ ভুলেই গিয়েছিল। পরবর্তীতে পুরো অ্যালবামটিকেই সমসাময়িক
ধ্বংসাত্মক এই কাজগুলোর পাশাপাশি মাদকের আসক্তির কারণে প্রথম বিয়েটা টিকল না আর। শুধু বৈবাহিক জীবনই নয়, ক্যাশ বেশ কয়েকটি শো ক্যান্সেল করতে বাধ্য হন একই কারণে। অবশেষে ১৯৬৭ থেকে আবারও সফলতার দেখা পেতে শুরু করলেন তিনিম জুন কার্টারের সাথে জ্যাকসন গানে ডুয়েট করে একটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড পেয়ে যান তিনি। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.grammy.com/nominees/search?artist=%22johnny+cash%22&field_nominee_work_value=&year=All&genre=All/|শিরোনাম=Past Winners Search|তারিখ=2017-04-30|ওয়েবসাইট=The GRAMMYs}}</ref>
শেষবার ক্যাশ গ্রেফতার হয়েছিলেন ১৯৬৭ সালে, জর্জিয়ার ওয়াকার কাউন্টিতে। সেবার গাড়ি দুর্ঘটনার পর যথারীতি এক ব্যাগ প্রেসক্রিপশন ড্রাগস পাওয়া গেল, পরিস্থিতি আরও খারাপ করতেই হয়ত তিনি সেই পুলিশ অফিসারকে ঘুষ সেধে বসলেন। নীতিপরায়ণ এই পুলিশ সেই ঘুষটি নেননি। বিখ্যাত গায়কের সেই রাতটা জর্জিয়ার লাফ্যায়াটের জেলে। শেরিফ রালফ জোনস তাকে ছাড়ার আগে দীর্ঘ এক ভাষণ দিয়ে তবেই
১৯৬৭ সালের এক ঘটনার কথা জানা যায়, অবশ্য কেউ এই ঘটনার সত্যতা নিরূপণ করতে পারেননি, নিক্যাজ্যাক গুহায় তিনি অলৌকিক দর্শনের দেখা পেয়েছিলেন। গুজব অনুসারে, মাদকাসক্তির এক পর্যায়ে ক্যাশ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। গুহার গভীরে ঢুকে নিজেকে ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি, বাইরে আর ফেরার ইচ্ছে তার ছিল না। মরতে তিনি অবশ্য পারেননি, বরং জ্ঞান হারিয়ে পরে ছিলেন মেঝেতে। ক্রমভাবে হতাশ হয়ে তিনি হৃদয়ের মধ্যে যিশুর উপস্থিতি অনুভব করেন এবং এক সময় অনুভব করেন অদ্ভুত এক আলো তাকে গুহার বাইরে যাওয়ার পথ দেখাচ্ছে। <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://edition.cnn.com/2013/12/30/showbiz/music/johnny-cash-biography/index.html|শিরোনাম=The stories of Johnny Cash - CNN|শেষাংশ=CNN|প্রথমাংশ=By Todd Leopold,|কর্ম=CNN|সংগ্রহের-তারিখ=2018-11-08}}</ref> তার মনে হয়েছিল এই ঘটনার মাধ্যমে তিনি পূণর্জন্ম লাভ করেছেন। জুন, মেবেল আর এজরা কার্টার ক্যাশের প্রাসাদে চলেই এলেন তাকে আসক্তি থেকে দূরে থাকায় সাহায্য করতে। এরপর ১৯৬৮ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারিতে লাইভ পারফরম্যান্সে স্টেজের ওপরই জুনকে প্রস্তাব দেন তিনি। কানাডার অন্টারিওর সেই প্রস্তাবনার এক সপ্তাহ পরুই এই প্রেমিকযুগল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ক্যাশ নেশার পথ থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরই জুন সে প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলেন বলে তিনি পরবর্তীতে জানান। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Will You Miss Me When I'm Gone: The Carter Family and Their Legacy in American Music|শেষাংশ=Zwonitzer|প্রথমাংশ=Mark|বছর=2002|প্রকাশক=Simon & Schuster|আইএসবিএন=978-0-684-85763-3}}</ref>
১০০ নং লাইন:
আত্মজীবনীতে ক্যাশ লিখেছিলেন ১৯৭৭ সালে নিউ ইয়র্কের এক ট্রিপে থাকা অবস্থায় তার দেহে শাই-ড্র্যাগার সিনড্রোম ধরা পড়েছিল। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Cash: The Autobiography|শেষাংশ=Cash|প্রথমাংশ=Johnny|শেষাংশ২=Carr|প্রথমাংশ২=Patrick|তারিখ=1998|প্রকাশক=HarperCollins Publishers|পাতাসমূহ=400–403|আইএসবিএন=0061013579}}</ref>
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
[[বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেতা]]
|