বের্টল্ট ব্রেখট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:মার্কসবাদী লেখক যোগ
এই হলো অভীক (আলোচনা | অবদান)
→‎জীবন: ব্যাকরণ ঠিক করা হয়েছে, লিংক সংযোজন, তথ্যসূত্র উল্লেখ করতে বলা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
৩ নং লাইন:
 
== জীবন ==
ব্রেশ্‌ট জার্মানির [[বায়ার্ন]] রাজ্যে জন্ম নেন। জীবনের প্রথম ২৫ বছর তিনি সেখানেই কাটান। তারতাঁর প্রথমদিককার সাহিত্য এখানেই প্রকাশিত হয়। ১৯১৭ সাল থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত ব্রেশ্‌ট [[মিউনিখ|মিউনিখে]] চিকিৎসাবিদ্যার ওপর পড়াশোনা করেন, কিন্তু তারতাঁর ঝোঁক ছিল সাহিত্যের দিকে। ১৯২২ সালে ব্রেশ্‌ট অপেরা গায়িকা মারিয়ান ৎসফ্‌-কে বিয়ে করেন। তাদেরতাঁদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তবে ব্রেশ্‌ট অনুগত স্বামী ছিলেন না। ১৯১৯ ও ১৯২৬ সালের মাঝে তিনজন মহিলার গর্ভে ব্রেশ্‌টের তিনটি সন্তান জন্মে। এদের মধ্যেই একজন হলেন মারিয়ান। ১৯২৪ সালে ব্রেশ্‌ট ঠিকানা বদল করে বার্লিনে যান। সেখানে তিনি কিছুদিনের জন্য মঞ্চ পরিচালক মাক্স রাইনহার্ট ও এর্ভিন পিস্কাটর, এবং নাট্যকার কার্ল ৎসুক্‌মাইয়ারের সাথে কাজ করেন। ১৯২৮ সালে ব্রেশ্‌ট সুরকার কুর্ট ভাইলের সহযোগিতায় ইংরেজি অপেরা "দ্য বেগার্স অপেরা"-র একটি সম্পূর্নসম্পূর্ণ সংশোধিত সংস্করণ প্রস্তুত করেন। অপেরাটি ''ডি দ্রাইগ্রোশেন্‌ওপার'' (''Die Dreigroschenoper'') নামে বার্লিনের থিয়েটার আম শিফবাউয়ারডাম-এ মুক্তি পায় ও দারুণ সাফল্য লাভ করে। ১৯২৯ সালের ১০ই এপ্রিল ব্রেশ্‌ট হেলেনে ভাইগেল-কে বিয়ে করেন। এই দম্পতির তিন বছর আগেই একটি পুত্রসন্তান হয়েছিল। বিয়ের পরে তাদেরতাঁদের আরেকটি সন্তান হয়। ১৯৩০ সালে ব্রেশ্‌টের আউফষ্টিগআউফশটিগ উন্ট ফাল ডের ষ্টাটশ্টাট মাহাগোনি অপেরাটি মুক্তি পাওয়ার পর চরম নিন্দিত হয়। ১৯৩১ সালে ডি দ্রাইগ্রোশেন্‌ওপার-এর চলচ্চিত্র সংস্করণ মুক্তি পায়। ১৯৩৩ সালে, রাইখষ্টাগেরাইখশ্টাগে আগুন লাগার একদিন পর ব্রেশ্‌ট সপরিবারে জার্মানি ত্যাগ করেন। প্রথমে [[প্রাগ]] শহরে ও পরে [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেযুক্তরাষ্ট্র]]ে আশ্রয় নেন। কিছুদিন (১৯৪৫-১৯৪৭) তিনি হলিউডে[[হলিউড]]ে কাজ করেন। ১৯৪৭ সালে মার্কিন-[[সোভিয়েত রাশিয়া]] [[ঠান্ডা যুদ্ধেরযুদ্ধ]]ের জের হিসেবে ব্রেশ্‌টকে অন্যান্য অনেক চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের সাথে মার্ক্সবাদী সাম্যবাদী সন্দেহে জেরা করা হয়। জেরার পরপরই একই দিনে, ৩০শে অক্টোবর, তিনি যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেন। ১৯৪৯ সালে ব্রেশ্‌ট জুরিখ ছেড়ে পূর্ব বার্লিনে চলে আসেন। এখানে তিনি বার্লিনার অঁসম্বল গঠন করেন। ১৯৫৬ সালের ১৪ই আগস্ট ব্রেশ্‌ট পূর্ব বার্লিনে হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
 
ব্রেশ্‌ট কবি হিসেবেই বেশি পরিচিত। তারতাঁর নাটকগুলির বেশির ভাগই অন্যের রচনার উপর ভিত্তি করে লেখা। তবে তারতাঁর সৃষ্টিশীলতা অন্যখানে; ব্রেশ্‌ট তারতাঁর "ফেরফ্রেমডুংস্‌এফেক্ট" ("Verfremdungseffekt", অর্থাৎ দূরত্বের ক্রিয়া)-এর জন্য পরিচিত ছিলেন, যার মাধ্যমে তিনি নাটকের দর্শকদেরকে নাটকীয় ইন্দ্রজালের নিষ্ক্রিয় পর্যবেক্ষকের ভূমিকার পরিবর্তে সক্রিয়, চিন্তাশীল অংশগ্রহণকারীর ভূমিকা পালনে উদ্বুদ্ধ করতেন। আজকাল ব্রেশ্‌টের মূল পরিচিতি ডি দ্রাইগ্রোশেনওপার অপেরায় লেখা তারতাঁর গানগুলির জন্য। অন্য অনেক শিল্পীর মতমতো ব্রেশ্‌টও মৃত্যুর পরেই তারতাঁর শিল্পকর্মের স্বীকৃতি পান।
 
১৯৩৩ সালে নাৎসিদের অত্যাচারে দেশ ছাড়ার পর ব্রেশ্‌ট বাকীবাকি জীবনটা অনেকটা ভবঘুরের মতইমতোই দেশ থেকে দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন; নিজের দেশ বলে তারতাঁর কিছু ছিল না। কিছুদিন হলিউডে কাজ করলেও সে জায়গাটি তারতাঁর পছন্দ হয়নি। পশ্চিমে তিনি নিন্দিত হয়েছিলেন কট্টর মার্ক্সবাদী হিসেবে। সাম্যবাদী সন্দেহে তাকেতাঁকে জেরা করা হয়। ১৯৪৯ সালে পূর্ব বার্লিনে ফেরত আসার পরে সেখানেও মূলধারার বাইরের নাটক লেখার কারণে সন্দেহের শিকার হন।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন}}
 
== ব্রেশ্‌টের লেখা কিছু সাহিত্যকর্ম ==