পূর্ব পাকিস্তান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
BanglaBot (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
Bot: Reverted to revision 4046888 by Nahian Anmun on 2020-03-11T20:45:30Z
৫৪ নং লাইন:
|stat_year1 =
|stat_area1 = 147570
|currency = [[পাকিস্তানীপাকিস্তানি রুপি]]<!--?: (M)<small>১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১</small>-->
|today = {{flagcountry|বাংলাদেশ}}
}}
১৩২ নং লাইন:
=== সামরিক বৈষম্য ===
 
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীতে [[বাঙালি জাতি|বাঙালিরা]] অবহেলিত ছিল। পাকিস্তানীপাকিস্তানি সশস্ত্রবাহিনীর কর্মকর্তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ ছিলেন বাঙালি এবং এঁদের মধ্যে অধিকাংশই প্রযুক্তিগত বা ব্যবস্থাপনার পদে ছিলেন। খুব অল্প সংখ্যক বাঙালি অফিসার আদেশদানকারী পদ লাভের সুযোগ পেতেন। পশ্চিম পাকিস্তানীরাপাকিস্তানিরা বিশ্বাস করত বাঙালিরা পশতুন বা পাঞ্জাবিদের মত "সাহসী" নয়। পাকিস্তানের বাজেটের একটি বিশাল অংশ সামরিক খাতে বরাদ্দ থাকলেও পূর্ব পাকিস্তান এর সুফল সামান্যই পেত। ১৯৬৫ সালে কাশ্মীর নিয়ে [[ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫|ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ]] পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি আরো বাড়িয়ে দেয়।
 
=== রাজনৈতিক অসমতা ===
১৫৩ নং লাইন:
== বাংলাদেশের অভ্যুদয় ==
 
১৯৭০ সালের ১১ নভেম্বর এক প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৫ লক্ষ লোকের মৃত্যু ঘটে। এ সময় বাঙালিদের প্রতি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতা ও ঔদাসীন্য প্রকট হয়ে ওঠে। ১৯৭০ সালের সংসদীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করতে থাকে<ref>Baxter, pp. 78—79</ref>। মুজিবের সাথে গোলটেবিল বৈঠক সফল না হওয়ার পর পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জেনারেল ইয়াহিয়া খান ২৫ মার্চ গভীর রাতে মুজিবকে গ্রেপ্তার করেন এবং পাকিস্তানীপাকিস্তানি সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের অংশ হিসাবে বাঙালিদের উপর নির্বিচারে আক্রমণ শুরু করে। পাকিস্তানীপাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এই নারকীয় হামলাযজ্ঞে রাতারাতি বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সেনাবাহিনী ও তার স্থানীয় দালালদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল বুদ্ধিজীবী ও সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠী। গণহত্যা থেকে নিস্তার পেতে প্রায় ১ কোটি অসহায় মানুষ দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নেয়<ref>LaPorte, pp. 103</ref>। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মোট জীবনহানির সংখ্যার হিসাব কয়েক লক্ষ হতে শুরু করে ৩০ লক্ষ পর্যন্ত অনুমান করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা [[ভারত|ভারতে]] আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারা ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আমবাগানে অস্থায়ী সরকার গঠন করেন। এর প্রধানমন্ত্রী হন তাজউদ্দিন আহমদ। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা প্রায় ৯ মাস পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরূদ্ধে লড়াই করে। [[মুক্তিবাহিনী]] ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভারতের সহায়তায় ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে পরাভূত করে।ভারতীয় মিত্রবাহিনী প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল নিয়াজী ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় ৯০,০০০ পাকিস্তানীপাকিস্তানি সৈন্য যুদ্ধবন্দি হিসেবে আটক হয়; যাদেরকে ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়। ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র বাংলাদেশ গঠন করে।
 
== তথ্যসূত্র ==