বঙ্গভবন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
আবার (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৭ নং লাইন:
১৯০৫ সালের [[বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)|বঙ্গভঙ্গের]] পরে পূর্ববঙ্গ এবং আসামের সরকার এ স্থানটি কিনে নেয় এবং একটি প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করে যা ১৯১১ সাল পর্যন্ত ভারতের গভর্নর জেনারেলের অস্থায়ী বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৯১১ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রাসাদটিকে ''গভর্নর হাউস'' নামে ডাকা হত এবং বাংলার গভর্নরের অস্থায়ী বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হত। [[ভারত বিভাগ|ভারত বিভাগের]] পরে ১৯৪৭ সালে [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] জন্ম হয় এবং প্রাসাদটি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের বাসভবনে পরিণত হয়। ভবনটি বেশ কয়েক বার ১৯৬১ সালে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ১৯৬৪ সালে ভবনটি পুনঃনির্মাণ শেষ হয়।
 
[[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] পরে ১৯৭২ সালের [[জানুয়ারি ১২]] তারিখে গভর্নরহাউসের নাম পরিবর্তন করে ''বঙ্গভবন'' করা হয়। ওই দিনই [[আবু সাইদ চৌধুরী]] বাংলাদেশের প্রথম সাংবিধানিক রাষ্ট্রপতি হন এবং এ স্থানকে [[রাষ্ট্রপতি|রাষ্ট্রপতির]] বাসভবন হিসেবে ব্যবহার করেন। সামরিক শাসক [[জিয়াউর রহমান]] এবং [[হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ|হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের]] সময়ও ভবনটি রাষ্ট্রপতির বাসভবন ছিল।
 
বঙ্গভবন বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা। বঙ্গভবন যুক্তরাষ্ট্রের [[হোয়াইট হাউস]] এবং ভারতের [[রাষ্ট্রপতি ভবন|রাষ্ট্রপতি ভবনের]] সমমর্যাদা বহন করে। বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে এর পরিচর্যা করা হয়। কারণ এটি একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং এ সময় এটি জনসংযোগ মাধ্যমসমূহ ও পর্যটকদের মধ্যমনিতে পরিণত হয়। [[স্বাধীনতা দিবস]] এবং [[বিজয় দিবস|বিজয় দিবসে]] এখানে আমজনতার জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এ প্রাসাদে বসবাস এবং কাজ করে থাকেন, এবং এখানে প্রায়ই বিভিন্ন সভা, সম্মেলন এবং রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী এবং বৈদেশিক কূটনীতিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় ভোজের আয়োজন করা হয়।